সম্প্রতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হলে রাজধানীজুড়ে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক গুণ চাহিদা বেড়েছে হিউম্যান অ্যালবুমিনের। আমদানিকারক পণ্য হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নকল ও ভেজাল প্রোডাক্ট বিক্রি করছে দেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা।
আসল মেডিসিনের মোড়ক হুবহু কপি করার ফলে, আসল আর নকলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারা কঠিন হয়ে পড়ছে। ব্যবসায়ীদের এমন আচরণের শিকার হয়ে অনেকেই ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে। অ্যালবুমিন কী? মানবশরীরের অপরিহার্য প্রোটিন উপাদান অ্যালবুমিন। যা শরীরের কোষগুলোকে সুস্থ রাখতে ও রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। মানবদেহে অ্যালবুমিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে লিভারের রোগ, কিডনির রোগ ও দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক রোগের সৃষ্টি হয়। ওই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হিউম্যান অ্যালবুমিনের ব্যবহার হয়ে থাকে।
এ ছাড়া বিভিন্ন অপারেশন-পরবর্তী চিকিৎসায় হিউম্যান অ্যালবুমিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অবস্থান ভেদে এক একজন রোগীর চিকিৎসায় ৩ থেকে ৫টা পর্যন্ত ডোজ ব্যবহার করা হয়। এক একটা অ্যালবুমিনের দাম ৯ হাজার থেকে ১১ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু নকল ওষুধ ব্যবহারের ফলে ভুক্তভোগীর যেমন বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি তেমনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তার পরিবার। নকল ও ভেজাল ওষুধ বন্ধে প্রশাসনের শক্ত অবস্থান থাকলেও দিনের পর দিন প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে এসব অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা। এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি পরিবর্তন একান্ত অত্যাবশ্যকীয়।
তপন কুমার ঘোষ
মিরপুর, ঢাকা
[email protected]