নগর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ। প্রকাশ্যে এ ধরনের ওষুধ বিক্রি চললেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। অভিযান চালিয়ে জরিমানা পর্যন্ত করে থেমে যাচ্ছে প্রশাসন। ফলে এ অপকর্মের মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই দেশের ওষুধ ব্যবসা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, যেখানে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে প্রয়োজন স্বাস্থ্য সচেতনতা, ডাক্তার ও ওষুধ। আর ওষুধই অসুস্থতার একমাত্র নিয়ামক। বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধশিল্প অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক ভালো সময় পার করছে।
বাংলাদেশের ওষুধশিল্প দেশের প্রয়োজনীয় সব ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করতে সমর্থ। তা ছাড়া দেশের অর্থনীতিতে রাখছে বিরাট ভূমিকা। বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধের চাহিদা ও ব্যবহার বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে। এত সব সুখবরের মধ্যে বিশ্ববাজারে যখন বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধের চাহিদা বেড়ে চলেছে ঠিক তখনই এর বিপরীত চিত্র দেশের ওষুধের বাজারে। দেশীয় বাজারে উৎপাদিত হচ্ছে ভেজাল ও নকল ওষুধ। ফলে ক্রমশই অস্থির হয়ে উঠছে ওষুধশিল্প ও চিকিৎসাব্যবস্থা। ভেজাল ওষুধের রমরমা বাণিজ্যের কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩-এ নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু তার প্রয়োগ নেই।
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
লেখক
[email protected]