ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

ভেজাল ও নকল ওষুধে বাজার সয়লাব

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ এএম
ভেজাল ও নকল ওষুধে বাজার সয়লাব

নগর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ। প্রকাশ্যে এ ধরনের ওষুধ বিক্রি চললেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। অভিযান চালিয়ে জরিমানা পর্যন্ত করে থেমে যাচ্ছে প্রশাসন। ফলে এ অপকর্মের মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই দেশের ওষুধ ব্যবসা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, যেখানে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে প্রয়োজন স্বাস্থ্য সচেতনতা, ডাক্তার ও ওষুধ। আর ওষুধই অসুস্থতার একমাত্র নিয়ামক। বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধশিল্প অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক ভালো সময় পার করছে।

 বাংলাদেশের ওষুধশিল্প দেশের প্রয়োজনীয় সব ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করতে সমর্থ। তা ছাড়া দেশের অর্থনীতিতে রাখছে বিরাট ভূমিকা। বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধের চাহিদা ও ব্যবহার বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে। এত সব সুখবরের মধ্যে বিশ্ববাজারে যখন বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধের চাহিদা বেড়ে চলেছে ঠিক তখনই এর বিপরীত চিত্র দেশের ওষুধের বাজারে। দেশীয় বাজারে উৎপাদিত হচ্ছে ভেজাল ও নকল ওষুধ। ফলে ক্রমশই অস্থির হয়ে উঠছে ওষুধশিল্প ও চিকিৎসাব্যবস্থা। ভেজাল ওষুধের রমরমা বাণিজ্যের কারণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩-এ নকল ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। 

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
লেখক
[email protected]

সব রুটের পরিবহন ভাড়া কমান

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
সব রুটের পরিবহন ভাড়া কমান

দিনকে দিন বাড়তি পরিবহন ভাড়ায় যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠেছে। পরিবহন যেমন অপরিকল্পিতভাবে বাড়ছে, সেই সঙ্গে ভাড়ার পাল্লাও সমানতালে বাড়ছে। হাইওয়েসহ লোকাল রাস্তাঘাটের ভাড়া জনমনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বেকার মানুষের জন্য যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া প্রতিকূল নগর অঞ্চলে লোকাল ট্রান্সপোর্টগুলো ঊর্ধ্বমাত্রার ভাড়া রাখছে। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হচ্ছে- বাজারে জ্বালানি তেল, নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগামী হওয়ায় ভাড়াটাও বেশি রাখতে হচ্ছে। কারণ এই আয়ের পুঁজি দিয়েই বউ-বাচ্চা নিয়ে তাদের সংসার চালাতে হয়। বেকার জনগণ ও শিক্ষার্থীরা এই মুহূর্তে খুব দুর্দশায় আছে। 

যাতায়াতব্যবস্থার এই বিপুল খরচে তারা চরম অসহায়ত্বের শিকার। দূরপাল্লার বাস, ট্রেনে করে যাওয়া-আসা করা এখন কমার্শিয়াল হয়ে উঠেছে। গুনতে হয় বাড়তি অনেক পয়সা। এতে করে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হতে হয়। দ্রুত পরিবহন খাতের সুষ্ঠু ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে এবং সেটা অবশ্যই সব শ্রেণির জনগণের কথা মাথায় রেখে। তা ছাড়া দিনকে দিন এমন লাগামহীন ভাড়া বাড়ানোয় আমাদের দেশের দরিদ্র ও বেকার মানুষের জন্য একপ্রকার জুলুম। অবশ্য চালক ও মালিকদের কথাও বিবেচনা করতে হবে। পরিবহন খাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও আর্ধিক প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে পরিবহনে ন্যায্য ভাড়া নিশ্চিত করুন। 


ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয় 
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ
[email protected]

ধানের ভরা মৌসুমে চালের মূল্যবৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায় না

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
ধানের ভরা মৌসুমে চালের মূল্যবৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায় না

এ দেশের কৃষকরা ফসল ফলিয়ে ন্যায্যমূল্য পান না। যখন ধান কাটা শুরু হয় তখন কৃষকের চোখে থাকে পানি। তারা উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারেন না। কিন্তু সেই ধান যখন রাক্ষস সিন্ডিকেটধারীদের পেটে যায়, তখনই ধান-চালের মূল্য আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। কৃষক দিনরাত শরীরের ঘাম ঝরিয়ে যেখানে থাকেন কপর্দকশূন্য, সেখানে ব্যবসায়ীরা চালের মূল্য বাড়াতেই থাকেন। হাটে যখন ধান ওঠে, সে সময় সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ করা হয় না। আবার যখন ধান ক্রয়ের জন্য তারা ঘোষণা করেন, তখন বাজারদরের চেয়ে অনেক কম মূল্যে নির্ধারণ করে থাকেন। তাতে সরকারি পর্যায় কাঙ্ক্ষিতভাবে ধান-চাল সংগ্রহ সম্ভব হয় না। সরকার যখন দেশে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তখন আবার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।

 সে চাল দেশে পৌঁছতে পৌঁছতে সিন্ডিকেটধারীরা সাধারণ মানুষের পকেট কেটে সাবাড় করে। দেশে কয়েকটি কোম্পানি ৮০ শতাংশ ধান কিনে তাদের গুদামে স্টক করে রাখছে। তারা সব সময়ই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই তাদের ইচ্ছাতেই দেশে ধান-চালের দামে ঊর্ধ্বগতি হয়। ধান ওঠার পর ফড়িয়া এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের খাওয়ার পর চলে যায় মাফিয়াদের কবলে। সেখানে ধান-চালের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে থাকে। তাই দেশের চালের সংকট এবং দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারকে দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। ধানের মৌসুমের আগেই ধান কেনার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। ধান উৎপাদন কম হলে আমদানির এলসিও যথাসমায়ে খুলতে হবে। তা হলেই সিন্ডিকেটধারীদের ধরাশায়ী করা সম্ভব হবে।

হাজি মো. রাসেল ভূঁইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

অতিথি পাখি শিকার, দেখার কেউ নেই!

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
অতিথি পাখি শিকার, দেখার কেউ নেই!

রাজশাহীর পদ্মার চরসহ দেশের বিভিন্ন চরে চলছে পরিযায়ী পাখি হত্যার মহোৎসব। চরগুলোর বেশ কিছু জায়গায় বিষটোপ দিয়ে পাখি মারা হচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। 
শীত মৌসুমে শীতপ্রধান দেশ থেকে এ দেশে ঝাঁকে ঝাঁকে আসে এসব পরিযায়ী পাখি। নদী-নালা, খাল-বিল আর হাওর-বাঁওড়ে বিচরণ করে। এ দেশের জলাশয় আর ডাঙা থেকে জোগাড় করা খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে চায়। শীত মৌসুম শেষে আবার আগের ঠিকানায় ফিরে যায়। কিন্তু রাজশাহীতে এসব পাখি বাঁচতে এসে নিষ্ঠুর মানবিকতার কাছে হার মানছে। হায়রে বাংলাদেশের মানুষ! ‘ধরো মারো খাও, করো লুটপাট, আবার করো অতিথি পাখি হত্যা! এই কি তোমাদের চরিত্র, দিনে দিনে কুস্বভাব বাড়ে! সবাই ভাবে, অতিথি পাখি মারে মারুক তাতে আমার কী!’


লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

আসুন, দেশের জন্য কাজ করি

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আসুন, দেশের জন্য কাজ করি

দেশ আমাদের মাতৃভূমি, আমাদের গর্ব। এর উন্নতি ও মঙ্গল নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের সবার একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি দমন, সামাজিক সম্পৃক্ততা, পরিবেশ রক্ষা- এসব ক্ষেত্রে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। সবাইকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হবে। শিশুদের হাতে বই-খাতা ও কলম তুলে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

 কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করে বেকারত্ব দূর করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে হবে। দেশের সম্পদ লুট করাকে বরদাশত করা যাবে না। গরিব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়াতে হবে, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে হবে। তরুণসমাজকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারা দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের দেশপ্রেমিক, কর্মঠ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সততা, পরিশ্রম ও মানবিকতার সঙ্গে কাজ করলে আমরা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারব। আসুন, দেশ গড়ার পথে হাত মিলিয়ে নিই।


মো.আবু তালেব 
শিক্ষার্থী, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া 
[email protected]

শহরে নারীদের নামাজের স্থান প্রসঙ্গে

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৪ এএম
শহরে নারীদের নামাজের স্থান প্রসঙ্গে

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নারী-পুরুষের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায়ের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। কোনো বিশেষ প্রয়োজনে নারীরা বাসার বাইরে গেলে তখন তারা কোথায় নামাজ আদায় করবেন? সে বিষয়ে ভাবতে হবে। যদিও নারীদের জন্য নিজ নিজ ঘরে নামাজ আদায় করা উত্তম বলে হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, তবু বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারীদের পড়াশোনা, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে নানা কারণে বাসার বাইরে যেতে হয়। এ সময় তাদের ফরজ নামাজ আদায়ের জন্য পৃথক নামাজের জায়গা প্রয়োজন। 

বিশেষ করে মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অফিস-আদালত, শিল্পকারখানা, শপিং সেন্টার, বাসস্টেশন, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, বিনোদন কেন্দ্র হোটেল-মোটেল ইত্যাদি স্থানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যেন শরিয়তসম্মতভাবে নামাজ আদায় করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। কেননা এসব স্থানে পুরুষের পাশাপাশি বিপুল নারী বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। 

নামাজের ওয়াক্ত হলে পুরুষরা ঠিকই সময়মতো নামাজ আদায় করতে পারেন। কিন্তু সুযোগের অভাবে প্রতিদিন অসংখ্য নারীকে নামাজ কাজা করে বাড়ি ফিরতে হয়। অন্যদিকে প্রস্রাব-পায়খানার বেগ চেপে রেখে অনেক নারী রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। অন্তত শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মুসলিম নারীদের জন্য আলাদা বাথরুম, অজুর স্থান, নামাজঘর নির্মাণের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করা জরুরি।

মুহাম্মদ আবদুল হামিদ
শিক্ষক, সভাপতি, ইসলামী তরুণ সংঘ
[email protected]