ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

রেলক্রসিং কেন কেড়ে নিচ্ছে এত প্রাণ?

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
রেলক্রসিং কেন কেড়ে নিচ্ছে এত প্রাণ?

আমাদের দেশে সড়ক ও রেল দুর্ঘটনা যেন অনেকটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সারা দেশে ট্রেনে কাটা পড়ে হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। 

সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, কুমিল্লার ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ সাত যাত্রী মারা গেছেন। অসচেতনতা ও অবৈধ রেলক্রসিং এই ধরনের মর্মান্তি দুর্ঘটনার মূল কারণ। জানা গেছে, দুর্ঘটনাস্থলের রেলক্রসিংটি অবৈধ ছিল। এমন দুর্ঘটনা যেন দেশের রেল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার করুণ চিত্র তুলে ধরে। এক জরিপে দেখা গেছে- দেশের ৮২ শতাংশ রেলক্রসিং অরক্ষিত; অর্থাৎ ট্রেন চলাচলের সময় যানবাহন আটকানোর জন্য এসব ক্রসিংয়ে কোনো পাহাড়াদার নেই, সুরক্ষাব্যবস্থা অপ্রতুল এবং ট্রেন আসার সংকেত কার্যকর নয়। ফলে একেকটি রেলক্রসিং যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। 

প্রতিবছরই গড়ে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এগুলো কেবল পরিসংখ্যান নয়; এটি রেললাইনের চরম নিরাপত্তা দুর্বলতার ইঙ্গিতও বটে। এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে রেলক্রসিংগুলো সুরক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। অবৈধ রেলক্রসিংগুলো অবিলম্বে উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি ব্যাপক জনসচেতনা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নিরাপদ রেলপথ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে মূল্য দিতে হবে হাজারো নিরীহ প্রাণের। অতএব, রেলপথ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত সংস্কার এখন সময়ের দাবি।

তুহিন চাকমা
শিক্ষার্থী, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
[email protected]

বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্য

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্য

বাংলাদেশ একটি গ্রামপ্রধান দেশ, যার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মূল শিকড় গ্রামীণ জীবনে নিহিত। দেশের গ্রামীণ ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক ও বাহক হলো বরিশাল। বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্য প্রকৃতি, কৃষি, খাদ্য, লোকসংস্কৃতি এবং উৎসবের মাধ্যমে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। বরিশালের গ্রামীণ ঐতিহ্য নদীমাতৃক পরিবেশের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। অসংখ্য নদী ও খালের প্রবাহিত অঞ্চল বরিশালকে ‘দ্বীপের জেলা’ হিসেবে পরিচিত করেছে। এখানকার মানুষের জীবিকা মূলত কৃষি ও মৎস্য শিকারনির্ভর। বরিশালের ইলিশ মাছ যেমন দেশের পরিচিতি বহন করে, তেমনি নারকেল, পান ও ধানের চাষ এখানকার ঐতিহ্যের অংশ। বাংলাদেশের অন্যান্য গ্রামীণ অঞ্চলের মতো বরিশালেও লোকসংগীত, বিশেষ করে ভাটিয়ালি ও বাউল গানের চর্চা রয়েছে। বরিশালের গ্রামে নৌকাবাইচ, বৈশাখী মেলা এবং নবান্ন উৎসবের মাধ্যমে ঐক্য ও আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

 এ ছাড়া শীতের মৌসুমে নতুন ধান থেকে চাল বের করে তা থেকে পিঠা তৈরি এবং খেজুরগাছের রস সংগ্রহ এখানকার ঐতিহ্যের মধুর অংশ। শহর থেকে অনেক মানুষ সপরিবারে গ্রামে তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যান এই উৎসবগুলো উপভোগ করতে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশ ও বরিশালের গ্রামীণ ঐতিহ্য আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির পরিচায়ক। এ ঐতিহ্য আমাদের শিকড়ের প্রতি ভালোবাসা এবং গ্রামীণ জীবনের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যকে ধারণ করে। এটি শুধু ইতিহাস নয়, বরং আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অমূল্য সম্পদ।


অভিজিৎ শর্মা
শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

গোড়ায় গলদ!

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
গোড়ায় গলদ!

নিজের জোরে ঠিকমতো দাঁড়াতে না পারলে যেকোনো বস্তুই হেলে পড়ে। এ ঘটনা ঢাকা মহানগরীর বাড়ির ব্যাপারে নতুন কিছু নয়। ভালোভাবে অনুসন্ধান করলে ঢাকায় এমন বাড়ির সংখ্যা হয়তো খুব একটা কম হবে না। দুর্ঘটনা ঘটলে তাদেরই তো বদনাম হবে। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ররা পরীক্ষা করে দেখবেন বাড়িটির হেলে পড়ার প্রধান কারণ কী। গোড়ায় গোঁজামিল থাকলে হেলে পড়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বাংলাদেশের মাটি নরম। এই মাটিতে উঁচু বাড়ি করতে বাড়ির ভিতের প্রতি আলাদা নজরদারি ও যত্নের প্রয়োজন। নরম মাটির ওপর উঁচু বাড়ির ভিতে ফাঁকি থাকলে সে বাড়ি যেকোনো সময় হেলতে পারে।

 অতএব, বাড়ি তৈরির সময়ই সবাইকে একটি বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে- যেন গোড়ায় গলদ না থাকে। ভিত যেন হয় মজবুত। ঢাকার অনেক বাড়িই ডেভেলপার বা প্রোমোটাররা তৈরি করছেন জলাজমিতে। ফলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে বাড়ি হেলতে শুরু করছে। কিন্তু ভিতে বা গোড়ায় যদি গলদ না থাকত, তাহলে নরম বা জলাজমিতেও বাড়ি শিরদাঁড়া সোজা করেই দাঁড়িয়ে থাকতে পারত। মানুষের বাড়ি থেকে মানুষের জীবন, সর্বত্র হেলে পড়া ব্যাপারটার সঙ্গে গোড়ায় গলদের সম্পর্ক আছেই আছে। যে মানুষ জীবনের কোনো অবস্থাতেই হেলে পড়ে না, হারায় না বেঁচে থাকার দৃঢ়তা এবং ঋজুতা, মানতেই হবে তার গোড়া খুব শক্ত, তার প্রত্যয়ের শিকড় অনেক গভীর পর্যন্ত প্রসারিত। তাই বাড়ি হোক বা মানুষ, শিকড় দুর্বল হলে সহজেই হেলবে। 


লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

যানজট নিরসনে বিকল্প উপায় বের করা উচিত

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
যানজট নিরসনে বিকল্প উপায় বের করা উচিত

নব্বইয়ের দশক থেকেই রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি নিয়ে বেশি আলোচনা। ২০০১ সালের পর তা আরও গতি পায়। যানজট কমাতে দেশি-বিদেশি কয়েকটি সেমিনারে অংশ নিয়ে পরামর্শকদের থেকে শুনেছি, উন্নয়ন প্রকল্পেই শুধু যানজট কমবে না। এ জন্য সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন বিকেন্দ্রীকরণ। অর্থাৎ ঢাকামুখী মানুষের স্রোতে যদি কমানো সম্ভব না হয়, তাহলে যানজট নিরসন একেবারেই সম্ভব হবে না। বাস্তবতা হলো, একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও বিকেন্দ্রীকরণে সরকারের তেমন উদ্যোগ নেই। রাজধানীর আশপাশের জেলায় নতুন কোনো শিল্পকারখানারও অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। যদি কেউ শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হন, তাহলে তা অবশ্যই মফস্বল শহরের জন্য অনুমতি দিতে হবে। বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসও বিভাগীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। 

আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে শুধু পুলিশ দায়িত্ব পালন করে থাকে। আর বাদবাকি রাস্তায় কী হচ্ছে তা দেখার কেউ নেই। রাস্তা দখল করে পার্কিং, মালামাল রাখা, ইচ্ছেমতো যাত্রী ওঠানো-নামানো, যাত্রীর জন্য বাসগুলোকে বসে থাকা, যেখানে সেখানে টেম্পোস্ট্যান্ডসহ নানা কারণে সড়কে যানজট লেগে থাকে। অর্থাৎ আইন না মানার প্রবণতা রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। তাই রাস্তায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি আরও বেশি স্থাপন করতে হবে সিসি ক্যামেরাও। কেউ আইন ভঙ্গ করলে সঙ্গে সঙ্গে নিতে হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এভাবে সবার মধ্যে অল্প দিনেই সচেতনতা সৃষ্টি হবে। তবেই নগরীর যানজট পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক করা সম্ভব।


নাজিম উদ্দীন 
শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

বায়ুদুষণ রোধে প্রয়োজন জনসচেতনতা

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
বায়ুদুষণ রোধে প্রয়োজন জনসচেতনতা

বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশে পরিণত হয়েছে। এই দূষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার কারণে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে প্রায় ৬ দশমিক ৮ বছর। এলাকা ভেদে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের মধ্যে বায়ু অন্যতম। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন দূষণমুক্ত পরিবেশ ও নির্মল বাতাস। বিশ্বের যেসব দেশের বায়ু ভয়াবহ দূষণের শিকার বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। অতিরিক্ত বায়ুদূষণের কারণে সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ছে মানুষের প্রজনন ক্ষমতায়। বায়ুদূষণ মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। বায়ুদূষণের কারণে প্রথমেই প্রভাব পড়ে শ্বাসযন্ত্রের ওপরে। বিশ্বব্যাপী যেসব অসংক্রামক রোগে মানুষের সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে তার অধিকাংশই বায়ুদূষণজনিত। দূষিত বায়ুর কণা এতটাই ক্ষুদ্র যে, এটি সহজেই মানুষের চোখ-নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে রক্তের সঙ্গে মিশে যায় এবং ফুসফুস, হার্ট, কিডনি, লিভার ইত্যাদি আক্রান্ত করে থাকে। বায়ুদূষণের কারণে ফুসফুসের ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভপাত, জন্মগত ত্রুটি, শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে বায়ুদূষণ বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। জাতীয়ভাবে পরিবেশ রক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত, সচেতন হওয়া উচিত। 

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
লেখক
[email protected]

গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল চাই

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৩ এএম
গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল চাই

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য ভর্তি পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর হয়তো কিছু হতে পারে না। দীর্ঘ ৩ থেকে ৫ মাসের কঠোর অধ্যবসায়ের পরও অনেক শিক্ষার্থী তার কাঙ্ক্ষিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায় না। চারটি স্বায়ত্তশাসিত এবং কয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে একক ভর্তি পরীক্ষা চালু করেছিল। ফলে একজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অর্থ, শ্রম ও সময় সাশ্রয় হচ্ছিল। যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই দরিদ্র মেধাবী, সেহেতু স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে গুচ্ছ পদ্ধতি তাদের অর্থনৈতিক চাপ অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছিল। গুচ্ছ পদ্ধতি কিছুটা জটিল এবং ঝামেলাপূর্ণ হওয়ায় ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আমরা নানান মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি যে, এই পদ্ধতি আর বহাল থাকছে না। গুচ্ছভুক্ত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়- যেটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম প্রধান ছিল; পাশাপাশি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আমরা স্পষ্ট অনুমান করতে পারি, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অর্থ, শ্রম এবং সময় কীভাবে ব্যয় হবে এবং দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের কী পরিমাণ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই, অতি শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উচিত সবাই সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে গুচ্ছ পদ্ধতিটি সংস্কার করে এটি বহাল রাখা।

ইসমাইল হোসাইন সজিব
শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়