আমরা কি আরও একটা বিশ্বযুদ্ধের পথে এগোচ্ছি? দুই ক্ষমতালোভী শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার গগনচুম্বী অহংকারের মুখে বিশ্বের মানুষ আজ অসহায়। তারা সমগ্র বিশ্বকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হয়েছেন। পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের পারস্পরিক যোগাযোগের পথ, হটলাইন বন্ধ করে দিয়েছেন রাশিয়ান প্রসিডেন্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কলঙ্কিত অধ্যায় হিরোশিমা-নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজলে তার সবটা জুড়ে থাকবে পরমাণু যুদ্ধ। এর পরিণতি কী হবে, তা সম্যক জানে দুই ক্ষমতান্ধ শক্তি। তারা অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বাজি রাখছে বিশ্বের আপামর মানুষকে। দুই মেরুতে বিভক্ত বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোও।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো। আরও রয়েছে ইসরায়েল। রাশিয়ার পাশে চীন। জো বাইডেনের যত পুতুল সরকার আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের অবস্থাও নড়বড়ে। শুভবুদ্ধি উদয় হোক পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আলোচনায় বসুক পুতিন এবং নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারা বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত করুন। সেই সঙ্গে যেসব দেশে হিংসা, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা, হানাহানি, হামলা, মামলা রয়েছে তাও বন্ধ করা দরকার। তা না হলে পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসবে না। শান্তি যদি ফিরে না আসে, তবে অনুশোচনা নিয়ে বলতে হবে, ‘এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না সুখ চলে যায়, এমনই মায়ার ছলনা...’!
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]