বিশ্বজুড়ে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সুরক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে উদযাপন হতে যাচ্ছে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। বাংলাদেশে এ বছর ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন হবে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ’।
দেশে এখন সরকারের নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী, অর্থাৎ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা ৩০ লাখ। একটি দেশের শতকরা ১০ ভাগ মানুষ প্রতিবন্ধী। এটা আন্তর্জাতিক হিসাব। বাস্তবতা হচ্ছে, সরকারি হিসাবের চেয়ে দেশে প্রতিবন্ধী কয়েক গুণ বেশি। প্রতিবন্ধী নাগরিকরা যেন সমাজে অন্য সব নাগরিকের মতো সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিবছর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়।
শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা হয়। সব ধরনের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা মানববৈচিত্র্যেরই অংশ। তাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তাদের উন্নয়নের মূল স্রোতোধারায় সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। সমাজের অবিচ্ছেদ্য এ অংশকে সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তবেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। আসুন আমরা সবাই মিলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করি এবং সেই সঙ্গে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
লেখক