ঢাকা ৪ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

প্রতিবন্ধী শিশু মহিলা বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ এএম
প্রতিবন্ধী শিশু মহিলা বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে
বিশেষ সুরক্ষা প্রয়োজন

বিশ্বজুড়ে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সুরক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে উদযাপন হতে যাচ্ছে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। বাংলাদেশে এ বছর ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন হবে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ’। 

দেশে এখন সরকারের নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী, অর্থাৎ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা ৩০ লাখ। একটি দেশের শতকরা ১০ ভাগ মানুষ প্রতিবন্ধী। এটা আন্তর্জাতিক হিসাব। বাস্তবতা হচ্ছে, সরকারি হিসাবের চেয়ে দেশে প্রতিবন্ধী কয়েক গুণ বেশি। প্রতিবন্ধী নাগরিকরা যেন সমাজে অন্য সব নাগরিকের মতো সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিবছর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়।

 শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা হয়। সব ধরনের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা মানববৈচিত্র্যেরই অংশ। তাই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তাদের উন্নয়নের মূল স্রোতোধারায় সম্পৃক্ত করা খুবই জরুরি। সমাজের অবিচ্ছেদ্য এ অংশকে সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তবেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। আসুন আমরা সবাই মিলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করি এবং সেই সঙ্গে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

লেখক

[email protected]

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২০ এএম
বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি

এই সেদিন ঢাকার হযরত শাহজালাল এয়ারপোর্টে নরওয়েপ্রবাসী এক রেমিট্যান্সযোদ্ধা মোহাম্মদ সাইদ উদ্দিনকে বিমানবাহিনীর নিরাপত্তাকর্মী কুইক রেসপন্স ফোর্স ও আনসাররা সংঘবদ্ধ হয়ে শুধু মারধর করেননি, তার বিরুদ্ধে আদালত বসিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একজন রেমিট্যান্সযোদ্ধার ওপর এ ধরনের হামলা, আচরণ ও নির্যাতন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, যা ছিল অমানবিক। অথচ হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়ায় দেশবাসী হতবাক। অস্ত্র এবং সরকারি পোশাকধারীরা যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাহলে বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আশা করি, ভবিষ্যতে দেশের কোনো বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের দ্বারা কোনো যাত্রীকে আর হেনস্তা হতে হবে না। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেদিকে কর্তৃপক্ষকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী ও কলাম লেখক
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]

দুর্নীতিবাজ-ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে বিপ্লব হবে কবে?

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯ এএম
দুর্নীতিবাজ-ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে বিপ্লব হবে কবে?

যারা যখন ক্ষমতায় থাকে তখন সেই রাজনৈতিক দলের নেতারা জনগণের কাছ থেকে বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেয়। এটা সবারই জানার কথা। সেই রাজনৈতিক দলের পতন হলে নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হন। কিন্তু আসল অপরাধী অর্থাৎ সরকারি, আধা সরকারি  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রাঘববোয়াল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বহাল তবিয়তে চাকরিতে থাকেন। এক সরকার যায়, পরের সরকারের আমলেও সরকারি বা আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি বৃহৎ অংশ সাধারণ জনগণকে ঠেকিয়ে তাদের ঘুষ গ্রহণ অব্যাহত রাখে, যা চিরকাল বহমান। আমার কথা হলো, এদের বিরুদ্ধে বিপ্লব হয় না কেন? ক্ষমতায় যারা থাকে তাদের যদি জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতা থেকে নামানো হয়, তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দুর্নীতিবাজ-ঘুষখোরদের নামানো হয় না কেন? সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত দুর্নীতিবাজ-ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে বিপ্লব হয় না কেন? 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

বাসস্থানের সংকটে বন্যপ্রাণীরা

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
বাসস্থানের সংকটে বন্যপ্রাণীরা

ছেলেবেলায় পড়া- বনে থাকে বাঘ গাছে থাকে পাখি। গল্পে পড়েছি বনের বাঘের বাচ্চাকে বাড়িতে পোষার গল্প। নিরামিষ খাবার খেতে খেতে যেদিন সে রক্তের স্বাদ পেল, সেদিন তাকে আর বাড়িতে রাখা যায়নি। তখন বলতে শোনা গিয়েছিল, বন থেকে জানোয়ার তুলে আনা যায়, কিন্তু জানোয়ারের মন থেকে বন তুলে আনা যায় না। আসলেই বন্যপ্রাণীর বনই তাদের আদর্শ বাসস্থান। তবু তারা বনজঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ার কারণে বেঁচে থাকার জন্য এদিক সেদিক ছুটছে। লোকালয়ে এসে মানুষের হাতে মারা যাচ্ছে। তবু প্রশ্ন, ওরা বন ছাড়ছে- তা কি পথ ভুলে, নাকি খাদ্য ও বাসস্থানের সংকটের কারণে! আমরা যারা গ্রামে বাস করি, লক্ষ করি গ্রামীণ বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব। শিয়াল, ভাম, খটাশ, বনবিড়াল, নেউল, গুইসাপ ইত্যাদি প্রাণী। আগে গ্রামে ঝোপঝাড়, জলাজঙ্গল ছিল পর্যাপ্ত, ফলে তাদের আনাগোনা বেশি দেখা যেত। কিন্তু সময়ে বদলেছে পরিবেশ। কমে এসেছে ঝোপজঙ্গল। ফলে সেখানেও তাদের খাদ্য ও বাসস্থানের একটা সংকট তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ জরুরি। 


লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

মুন্সীগঞ্জের উৎপাদিত কারেন্ট জালের  বিস্তার ঠেকাতেই হবে

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
মুন্সীগঞ্জের উৎপাদিত কারেন্ট জালের 
বিস্তার ঠেকাতেই হবে

জেলায় কারেন্ট জালের বিস্তার ঠেকাতে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, মৎস্য বিশেষজ্ঞ, জাল উৎপাদনকারী এবং মৎস্যজীবীদের সমন্বয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অবৈধ জালের বিস্তার রোধে করণীয় মতবিনিময় সভায় ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রতিবছরই এ জেলা থেকে লাখ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তাতেও অবৈধ জালের ব্যাপকতা রোধ করা সম্ভব হয়নি। মুন্সীগঞ্জ জেলার কারখানাগুলো অবৈধ জাল উৎপাদন করে বেশি মুনাফা অর্জন করে। আবার পরিবহন করতেও এ জাল সহজ হওয়ায় তা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে দেশের মা-মাছ এবং ছোট ছোট মাছের বিস্তার রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

 কারেন্ট জালের বিস্তারে নদীগুলো মাছশূন্য হতে বসেছে। এ জেলার জালের বিরাট একটা অংশ ঢাকার চকবাজারের পাইকারি মার্কেট থেকে অন্যান্য জেলায় পৌঁছে যায়। সেখানেও অভিযান পরিচালনা জোরদার করতে হবে। যারা অবৈধ জালের উৎপাদন এবং বিপণনের সঙ্গে জড়িত, তাদের গোয়েন্দা নজরদারি করে চিহ্নিত করতে হবে এবং মেশিনসহ তাদের উৎখাত করতে হবে। তা ছাড়া দেশের নদী-নালা, খাল-বিলের ছোট মাছ নিধনে চায়না দুয়ারি জালের বিস্তারও কম নয়। এ জাল দেশে নিষিদ্ধ হলেও কীভাবে আসে তা খতিয়ে দেখতে হবে। জালের ক্রেতা সেজে আমদানিকারকদের আগে ধরতে হবে এবং কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। শুধু খুচরা দোকানদার এবং জেলেদের ধরে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করা সম্ভব হবে না।


হাজি মো. রাসেল ভূঁইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ!

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ!

বিশ্বব্যাপী ‘অ্যান্টিবায়োটিকের’ যথেচ্ছ ব্যবহারে শঙ্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা! অযথা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন বহুবিধ শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে! চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ওষুধ, বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন অনুচিত। আমাদের দেশে সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি এমনকি মাথাব্যথা অথবা ডায়রিয়াতেও মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে! সাধারণত জ্বর হলে তিন দিন পর্যন্ত দেখতে হয়। তারপর রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হয়। ভাইরাস জ্বরে ওষুধ প্রয়োজন নেই, এমনিতেই তা সেরে যায়। আমাদের দেশে অধিকাংশ ওষুধ বিক্রি হয় চিকিসৎকের পরামর্শ ছাড়াই। যার কারণে ওষুধের অপব্যবহার হয় অনেক বেশি। 

পৃথিবীর অনেক দেশেই লাইসেন্সধারী চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় ও সেবন নিষিদ্ধ। আমাদের দেশে এই আইন মোটেও মানা হয় না। পরিসংখ্যান বলছে, যক্ষ্মা রোগীরাও ইদানীং ব্যাপক হারে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সে’র শিকার হচ্ছেন। শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক আজকাল যেনতেনভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কম্পাউন্ডার কিংবা বিক্রয় প্রতিনিধির পরামর্শে এসব ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। অযথা অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে রোগ সেরে যাওয়ার বদলে হিতে বিপরীত হতে পারে। দেখা দিতে পারে ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
মনে রাখতে হবে, রোগ নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিক বহু গবেষণা আর পরীক্ষণের পর তবেই ব্যবহৃত হয়। মোক্ষম ওষুধ এই অ্যান্টিবায়োটিক যেন মামুলি দাওয়াই হিসেবে ব্যবহৃত না হয়, সেদিকে নজর রাখা জরুরি। 

আসিফ আল মাহমুদ 
নবীন কলাম লেখক 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected]