নব্বইয়ের দশক থেকেই রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি নিয়ে বেশি আলোচনা। ২০০১ সালের পর তা আরও গতি পায়। যানজট কমাতে দেশি-বিদেশি কয়েকটি সেমিনারে অংশ নিয়ে পরামর্শকদের থেকে শুনেছি, উন্নয়ন প্রকল্পেই শুধু যানজট কমবে না। এ জন্য সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন বিকেন্দ্রীকরণ। অর্থাৎ ঢাকামুখী মানুষের স্রোতে যদি কমানো সম্ভব না হয়, তাহলে যানজট নিরসন একেবারেই সম্ভব হবে না। বাস্তবতা হলো, একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও বিকেন্দ্রীকরণে সরকারের তেমন উদ্যোগ নেই। রাজধানীর আশপাশের জেলায় নতুন কোনো শিল্পকারখানারও অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। যদি কেউ শিল্প স্থাপনে আগ্রহী হন, তাহলে তা অবশ্যই মফস্বল শহরের জন্য অনুমতি দিতে হবে। বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসও বিভাগীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে।
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে শুধু পুলিশ দায়িত্ব পালন করে থাকে। আর বাদবাকি রাস্তায় কী হচ্ছে তা দেখার কেউ নেই। রাস্তা দখল করে পার্কিং, মালামাল রাখা, ইচ্ছেমতো যাত্রী ওঠানো-নামানো, যাত্রীর জন্য বাসগুলোকে বসে থাকা, যেখানে সেখানে টেম্পোস্ট্যান্ডসহ নানা কারণে সড়কে যানজট লেগে থাকে। অর্থাৎ আইন না মানার প্রবণতা রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। তাই রাস্তায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি আরও বেশি স্থাপন করতে হবে সিসি ক্যামেরাও। কেউ আইন ভঙ্গ করলে সঙ্গে সঙ্গে নিতে হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এভাবে সবার মধ্যে অল্প দিনেই সচেতনতা সৃষ্টি হবে। তবেই নগরীর যানজট পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক করা সম্ভব।
নাজিম উদ্দীন
শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]