
পড়াশোনা শেষ করে অর্থাৎ উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বড় মাপের চাকরি পাওয়া কত দূর সম্ভব, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। আগে মানুষ বলত, চাকরি হয় ছাত্রলীগের পোলাপানদের। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর প্রায় ছয় মাস কেটে গেছে, আর এখন মানুষের মুখে মুখে শুনছি অন্য কথা। আজ সর্বস্তরের মানুষ বলছে, এখন চাকরি হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের পোলাপানদের। তাই যদি হয়, তাহলে কী হলো? মেধাবী তরুণদের কিছুই হলো না। দলীয়করণের কারণে মেধাবীরা আর চাকরি পাচ্ছে না। নিজের সন্তানের কথাই বলতে পারি, নৈমিত্তিক পরীক্ষায় টেকে, লিখিত পরীক্ষায় টেকে। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় ডেকে আমার সন্তানকে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তাহলে হলোটা কী? অবশেষে বুঝলাম তথাকথিত জুলাইয়ের বিপ্লব মানে এক সরকারকে জবরদস্তিভাবে হটিয়ে আরেক দল ক্ষমতা দখল করে নিল। যে কারণে আমার সন্তানসহ বহু মানুষের মেধাবী সন্তানের চাকরি হচ্ছে না বা চাকরি পাচ্ছে না! যারা দল করে তারাই পাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি। কিচ্ছু হবে না মেধাবীদের, সাধারণ মানুষের জীবনে থাকবে জীবনভর দুঃখ-যন্ত্রণা-কষ্ট! এদিকে বিশ্বায়িত পৃথিবীতে দিন দিন প্রতিযোগিতার মান তীক্ষ্ণ হচ্ছে। ফলে যে শ্রম দিচ্ছে, সেই শ্রমিকের থেকে দক্ষতা আরও বেশি করে চাইছে বাজার অর্থনীতি। একদিকে প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে দক্ষতার সম্মিলিত প্রভাব শ্রমের বাজারে উচ্চশিক্ষা ও বিশেষ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব বাড়াচ্ছে। আমাদের দেশের ব্যাপারটা তো উল্টো। অর্থাৎ যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তখন সেই দলের পোলাপানদের চাকরি হয়। বাংলাদেশে মেধাবী সন্তানদের কোনো মূল্য নেই। মেধাবীদের কপালে চাকরি নেই!
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]