
আমাদের সড়ক যে কতটা অনিরাপদ তা বুঝতে একদমই বেগ পেতে হয় না। পত্রিকার পাতা কিংবা টেলিভিশনের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনার খবর। এ দেশের সড়ক এতটাই অনিরাপদ যে, ঘর থেকে বের হয়ে ঘরে ফিরতে পারব কি না, তার নিশ্চয়তা নেই।
বিশ্বের অনিরাপদ সড়কের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। তবু এ দেশের সড়ককে নিরাপদ করতে নেই কোনো শক্ত পদক্ষেপ। অনেক সময় দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয়। সেখানে কারণ হিসেবে উঠে আসে নানা বিষয়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩ সালে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত এবং ১০ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছেন। ২০২২ সালে ৬ হাজার ৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১ জন নিহত এবং ১২ হাজার ৩৫৬ জন আহত হয়েছেন।
সড়ক নিরাপদ করতে নানা আইন প্রণয়ন করা হলেও তার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করা কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বেশ কিছু সুপারিশ করলেও সেগুলো আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলছে। প্রতি তিন মাস পরপর চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা জরুরি। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। চালকদের বার্ষিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সময় এসেছে মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তুকে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় বিষয়গুলো সংযোজন করার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। ট্রাফিক আইন মেনে চলার অভ্যাস গড়তে হবে। দেশ ও জনগণের জানমাল রক্ষার্থে নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণ করুন।
আনিসুর রহমান
শিক্ষার্থী, এলএলবি, সেন্ট্রাল ল’ কলেজ, সেগুনবাগিচা, ঢাকা
[email protected]