
রাজধানীতে যে হারে মশার উপদ্রব বেড়েছে, তাতে মনে হয় ম্যালেরিয়া এবার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়বে। খানাখন্দে ভরা পুরান ঢাকার রাস্তাঘাট সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। স্ট্রিট লাইট জ্বলে না, জলাবদ্ধতা ও নালা-নর্দমা এবং ড্রেনের নোংরা পানি কে দূর করবে। সিটি করপোরেশনের ডিপ ড্রেনভর্তি মশা কিলবিল করছে। মশার ওষুধের কোনো খবর নেই। মশার যন্ত্রণায় ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো ঘরে বসে লেখাপড়া করতে পারছে না। মশার কয়েল স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।
মশা নিধনে কার্যকর কোনো ভূমিকা না থাকার কারণে মশা এখন আরও শক্তিশালী। আগে নগরীতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন হাতে না থাকায় নগরবাসী উদ্বিগ্ন। মশার জন্মরোধের ব্যবস্থা ও মশার উপদ্রব নিবারণের জন্য যা যা করণীয় তা এখনই জরুরিভাবে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনকে উদ্যোগ নিতে হবে। বিগত দিনগুলোয় নির্বাচনের সময় কত না প্রতিশ্রুতি শুনেছি। অথচ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের নজরদারির কোনো খবর নেই। পুরান ঢাকায় প্রতিবছরই মশাবাহিত রোগের প্রকোপ লেগেই থাকে। প্রশাসনিক প্রচেষ্টার অভাবে ঢাকাবাসীর দুর্ভোগ লেগেই আছে।
আমরা আশা করি, ঢাকার উভয় সিটি করপোরেশন বিলম্ব না করে মশকবিরোধী অভিযানের আয়োজনটি আরও শক্তিশালী করে চাঙা করবে এবং সে অভিযান যাতে সত্যিকারভাবে ফলদায়ক হয় তাও নিশ্চিত করবে। পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো খুবই দরকার, নগরবাসীকে পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা হোক। গ্রাউন্ড অপারেশন চালানোর ক্ষেত্রে এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনার কোনো বিকল্প নেই।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]