
একসময় নদীপথ ছিল শহর ঢাকার অন্যতম লাইফলাইন। সেই সময় নদী মূলত বুড়িগঙ্গা এবং তার সংলগ্ন নদীগুলোকে ঘিরেই তৈরি হয়েছিল মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ। নদীতীরে গড়ে উঠেছিল আহসান মঞ্জিল, নাট্যমঞ্চ, সিনেমা হল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন স্থাপত্য কীর্তি, মন্দির, মসজিদ, খ্রিষ্টান মিশনারি, নবাববাড়ির মতো স্থান, সদরঘাট, সোয়ারীঘাট, ইসলামপুর, শ্যামবাজার, শ্যামপুর, সূত্রাপুর, কুমারটুলি, কোতোয়ালি, মিটফোর্ড, লালবাগ, ফতুল্লা, বাবুবাজার এবং একাধিক ঐতিহাসিক স্থান ও বুড়িগঙ্গা নদীতীরবর্তী অসংখ্য ঘাট। এ ছাড়া বুড়িগঙ্গার তীরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। অনেকেই এই জায়গাগুলোতে ঘুরতে যান।
অভিযোগ, বুড়িগঙ্গা ভ্রমণ এবং এই নদীকে ঘিরে আলাদা পর্যটনের ব্যবস্থা বা প্যাকেজ ট্যুর নেই। এবার সেই পরিকল্পনা না হয় করুক পরিবহন এবং পর্যটন করপোরেশন। এই ট্যুরের পরিকল্পনা মূলত বুড়িগঙ্গাকে ঘিরেই হতে পারে। থাকতে পারে একাধিক প্যাকেজ।
ঢাকার বুড়িগঙ্গার যে ঘাটগুলো রয়েছে, তার বেশির ভাগেরই কোনো না কোনো ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই ঘাটগুলোর অবস্থা তেমন ভালো নয়। বাংলাদেশে এমন কোনো স্বেচ্ছেসেবী সংগঠনও নেই যে, ঢাকায় শুরু করতে পারে নদী উৎসব। মূলত বুড়িগঙ্গাকে ঘিরেই হতে পারে নানা পরিকল্পনা। বুড়িগঙ্গা নদীতীরবর্তী ঐতিহাসিক স্থান ও ঘাটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ যাতে ঠিকমতো হয়, সেই দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। তা ছাড়া ঐতিহাসিক স্থান ও ঘাটগুলো উদ্ধার, ঘাট রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে ঘাটের সৌন্দর্যায়নও করা জরুরি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]