
সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে প্রতিবছর সরকার দুবার উপবৃত্তির টাকা দিয়ে থাকে। কিন্তু মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির নতুন বই বিতরণকালে জনপ্রতি ১০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এখানে ৬৫০ জন ছাত্রছাত্রী আছে। ইতোমধ্যেই তারা ৫৭ হাজার টাকা নিয়েছে। প্রথম এবং পঞ্চম শ্রেণির বই বিতরণকালেও বাকিদের থেকে টাকা নেওয়া হবে। প্রাথমিকে ভর্তি সম্পূর্ণ ফ্রি হলেও এ স্কুলে নেওয়া হয় ১৫০ টাকা।
আবার আয়ার জন্য নেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীপ্রতি ২০ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে এলেও জেলা শিক্ষা অফিসার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। অনিয়মের এ ধারাটি প্রকাশ হয়ে পড়লে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো- স্কুলের শিক্ষিকারা বাইরের লোক নিয়োগ নিয়ে তাদের ক্লাস করাচ্ছেন। বিনিময়ে তারা টিউশনি পাচ্ছেন। আর সরকারি শিক্ষিকারা এখানে বসে বসে ফেসবুক দুনিয়ায় ঘুরছেন। ভয়াবহ অরাজকতার কারণে বিদ্যালয়ে পড়াশোনার অবস্থা খুবই বিপর্যস্ত। তাই পরীক্ষার সময় পাসের হার দেখাতে অঙ্ক আর ইংরেজি তারা বোর্ডে তুলে দিচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা দেখে দেখে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই এ অরাজকতার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। অনিয়মের টাকা তারও পকেটে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হাজি মো. রাসেল ভূঁইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]