ঢাকা ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই বিতরণকালে টাকা গ্রহণ

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১২ পিএম
মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই বিতরণকালে টাকা গ্রহণ

সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে প্রতিবছর সরকার দুবার উপবৃত্তির টাকা দিয়ে থাকে। কিন্তু মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির নতুন বই বিতরণকালে জনপ্রতি ১০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এখানে ৬৫০ জন ছাত্রছাত্রী আছে। ইতোমধ্যেই তারা ৫৭ হাজার টাকা নিয়েছে। প্রথম এবং পঞ্চম শ্রেণির বই বিতরণকালেও বাকিদের থেকে টাকা নেওয়া হবে। প্রাথমিকে ভর্তি সম্পূর্ণ ফ্রি হলেও এ স্কুলে নেওয়া হয় ১৫০ টাকা। 

আবার আয়ার জন্য নেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীপ্রতি ২০ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে এলেও জেলা শিক্ষা অফিসার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। অনিয়মের এ ধারাটি প্রকাশ হয়ে পড়লে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো- স্কুলের শিক্ষিকারা বাইরের লোক নিয়োগ নিয়ে তাদের ক্লাস করাচ্ছেন। বিনিময়ে তারা টিউশনি পাচ্ছেন। আর সরকারি শিক্ষিকারা এখানে বসে বসে ফেসবুক দুনিয়ায় ঘুরছেন। ভয়াবহ অরাজকতার কারণে বিদ্যালয়ে পড়াশোনার অবস্থা খুবই বিপর্যস্ত। তাই পরীক্ষার সময় পাসের হার দেখাতে অঙ্ক আর ইংরেজি তারা বোর্ডে তুলে দিচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা দেখে দেখে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই এ অরাজকতার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। অনিয়মের টাকা তারও পকেটে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

হাজি মো. রাসেল ভূঁইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

নারী ভাষাসৈনিকরা অবমূল্যায়িত কেন?

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২০ পিএম
নারী ভাষাসৈনিকরা অবমূল্যায়িত কেন?

ইতিহাসে বাঙালির সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ঘটনাগুলোর মধ্যে ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন’ ও ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ’ অন্যতম। ভাষা আন্দোলনের প্রজ্বলিত শিখা দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিল সারা দেশে! মহান ভাষা আন্দোলনে বিপ্লবের সাথি ছিলেন নাম জানা-অজানা অনেক নারী! যেসব বিপ্লবী নারীর নাম বিস্মৃতির অতল তলে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে! যাদের অনেককেই হয়তো আমরা এখন ভুলে গেছি! বাঙালি জাতির ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তার অসাধারণ এক উত্থানে প্রায় সব সভা-বৈঠক, মিছিল, সংগ্রামে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল! তা সত্ত্বেও ভাষা আন্দোলনে নারীদের দৃশ্যমান ভূমিকাগুলোকে বিগত ৭৩ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি কিংবা একে চরম অবহেলা বা অগ্রাহ্য করা হয়েছে! 

রাষ্ট্রভাষার জন্ম ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় সূচিত হয়েছিল ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ১৪৪ ধারা ভেঙে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে রাস্তায় নেমে আসে মেয়েরা! ভাষা সংগ্রামে নারীদেরও অগ্রণী ভূমিকা ছিল! এসব নারীর সক্রিয় আন্দোলনের ফলে আজ আমরা মায়ের মধূর ভাষায় কথা বলতে পারছি! কিন্তু অজ্ঞাত কারণে যাদের ভূমিকা আজও অস্বীকৃতই রয়ে গেছে! নারী ভাষা সংগ্রামীদের নাম সেভাবে উচ্চারিত হয় না বললেই চলে! 

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনে যেসব নারী জীবন বাজি রেখে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মায়ের ভাষা ‘বাংলা’কে ছিনিয়ে এনেছিলেন, ইতিহাসের যুগসন্ধিক্ষণে তাদের আমরা এভাবে ভুলে যেতে পারি না! ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস সঠিকভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এখনই আমাদের উদ্যোগী হতে হবে, নতুবা ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না! 

আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম 
[email protected]

আমরা কি এমনটা আশা করেছিলাম

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
আমরা কি এমনটা আশা করেছিলাম

বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই এমন ভয়াবহ নৈরাজ্য চালাবে- আমরা কি এমনটা আশা করেছিলাম। একদিকে আওয়ামী অপশাসনের পতন, অন্যদিনে বিএনপির বেসামাল রাজনীতি। সব মিলিয়ে জনগণের এখন ত্রিশঙ্কু অবস্থা বলা চলে। একদিকে আওয়ামী পতনের বিভীষিকাময় দৃশ্যপট, অন্যদিকে আরেক দলের চরম উত্থান। আওয়ামী লীগের ছেড়ে যাওয়া বাড়া ভাতে বিএনপি এখন বাগড়া বসাচ্ছে। কোথায়ও কোথাও তার মাত্রা আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক স্থানে এই বাড়াবাড়ির মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি এখন আস্তাকুঁড়ে যেতে বসেছে। কোথাও কোথাও পুলিশের সোর্স হয়ে নিরীহ মানুষকে ফাঁসিয়ে ফায়দা তুলছে। অনেককে ধরিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।

 যারা এখনো ক্ষমতার মসনদে বসতে পারেনি, তাদের এখনই বেপরোয়া হওয়ার বিষয়টি বড় বেমানান লাগছে মানুষের কাছে। অনেক এলাকায় কিছু পাতি নেতা অফিস গুছিয়ে বসে লোকজন জড়ো করে বিভিন্ন ধান্ধায় মেতে উঠছে। তারা এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে পর্যন্ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী শাসনের অবসান হওয়ায় দেশের মানুষ কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছিল। কিন্তু বিএনপির এত বাড়াবাড়ি সাধারণ মানুষের মনে আবার ভয়ের সঞ্চার করছে। যা রাজনীতির জন্য বড় ধরনের হুমকি বলা চলে। ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনের নির্লজ্জতা দেখে মানুষের ভেতর যে মহা ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল, এমনকি তাদের প্রতি যে ঘৃণা জন্মেছিল, সেই একই দশা এবার বিএনপি ক্ষমতায় বসার আগেই করছে। যেন ক্ষুধার্ত হায়েনার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে তারা। দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে এখনই শক্তভাবে হাল ধরা অত্যন্ত আবশ্যক। না হলে যে আওয়ামী শাসনের প্রতি মানুষের অবজ্ঞা আর ঘৃণা জন্মেছিল তা এবার তাদের কপালেই জুটতে বেশি সময় লাগবে না। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে এতটা বাগাম্বড় সত্যিই দলটির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 

হাজি মো. রাসেল ভূঁইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

নিয়োগপ্রার্থীদের আন্দোলনে  জলকামান কতটা জরুরি

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১১ পিএম
নিয়োগপ্রার্থীদের আন্দোলনে 
জলকামান কতটা জরুরি

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিলদের আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামানের যথার্থতা কী? কেন তাদের সঙ্গে না বসে রাষ্ট্র ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় ভয়াবহ নৈরাজ্য বিরাজ করছে। একেকটি জেলায় প্রধান শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষকদের শত শত পোস্ট খালি রয়েছে। তাতে করে বলা চলে প্রাথমিকের শিক্ষাব্যবস্থা এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। অনেক বিদ্যালয়ে স্বল্প শিক্ষক নিয়ে ক্লাস চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষকদের একটি ক্লাস শেষ করেই আবার অন্য একটি ক্লাসে যেতে হচ্ছে। অনেকে আবার গাফিলতি করে ক্লাসে যাওয়া থেকে বিরত থাকছেন।

 তাই শিক্ষক সংকটের ভয়াবহ চিত্রের মাঝে দ্রুতই যে শিক্ষক নিয়োগ করাটা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তা রাষ্ট্রকে বুঝতে হবে। নতুন করে যদি আবার শিক্ষক নিয়োগ করা হয় তাহলে অনেকেরই আবার ভাগ্যের চাকা খুলে যাবে। অনিয়ম আর অনৈতিকতার বেড়াজালে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জড়িয়ে পড়লে তখন আর কিছু বলার থাকবে না। একেকটি পরীক্ষায় অনেক টাকা লেনদেন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এক দিকে শত শত মানুষের দীর্ঘশ্বাস, অপরদিকে কিছু মানুষ কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যে মেতে উঠবে। তাই রাষ্ট্রকে বলব, নিয়োগের শেষপ্রান্তে এসে চাকরিপ্রার্থীদের পা মাটিতে দেবে গেছে। কারণ-অনেকেরই বয়সসীমা শেষের পথে। তাই আন্দোলনে রাষ্ট্র যেভাবে তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করছে তা দেখে মর্মাহত হলাম। 

হাজি মো. রাসেল ভূঁইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

কিডনি সচল রাখতে টমেটো নিয়মিত খান

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
কিডনি সচল রাখতে টমেটো নিয়মিত খান

টমেটো খুবই পুষ্টিকর সবজি। শীতকালে বাজারে বেশি মেলে। দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমনি উপাদেয়, বেশ স্বাদের। সর্বোপরি রান্নায় টমেটো পড়লে স্বাদের মাত্রা বহুগুণ বেড়ে যায়। শোনা যায়, টমেটোতে এমন পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে, যা প্রস্টেট, ব্রেস্ট স্টমাক, ক্যানসার প্রতিরোধে মহার্ঘ। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা শরীরে নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপন বা এক ধরনের রঞ্জক টিউমার রোধ করার ক্ষমতা ধরে। ভেষজগুণে সমৃদ্ধ টমেটো, নিঃসন্দেহে এ কথা বলা যায়। মানুষের শরীরে সস্তায় ভিটামিনও সরবরাহ করে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি সচল রাখতে টমেটোর জুড়ি নেই। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

হিমাগারের অপর্যাপ্ততা

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
হিমাগারের অপর্যাপ্ততা

বাংলাদেশের কৃষিপ্রধান অর্থনীতির অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো কৃষক। তাদের নিরলস পরিশ্রমেই দেশের খাদ্য উৎপাদন বজায় থাকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় কৃষিপণ্যের সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত হিমাগারের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর হাজার হাজার টন ফসল নষ্ট হয়। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, টমেটোসহ অন্যান্য সংরক্ষণযোগ্য পণ্য হিমাগারের অভাবে নষ্ট হয়ে কৃষকের মাথায় বিশাল ক্ষতির বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। তা ছাড়া দেশের ভেতরে যে কয়টি হিমাগার রয়েছে সেগুলোর অবস্থাও খুবই খারাপ এবং সেগুলোর ভাড়াও কৃষকদের নাগালের বাইরে। 

হাজারো কৃষক হিমাগারের অভাবে কম দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হন। অথচ মৌসুম শেষ হলে সেই একই পণ্য চড়া দামে বাজারে বিক্রি হয়, যার কোনো লাভ কৃষক পান না। একদিকে উৎপাদন খরচ বাড়ছে, অন্যদিকে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য হিমাগারের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যমান হিমাগারগুলোর আধুনিকায়ন করার জন্য কৃষি অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]