
নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন করা একটা পন্থা হতে পারে, লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য হচ্ছে বা হওয়া উচিত সব ভোটারের অবাধে এবং স্বেচ্ছায় ভোট প্রদান ব্যবস্থা করা এবং নির্বাচনকে মতলববাজদের সব জারিজুরি ও দুর্নীতি থেকে মুক্ত রাখা। এর জন্য দরকার একটা নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিকে চিফ ইলেকশন কমিশনার নির্বাচিত করা এবং তা জাতীয় সংসদের ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। নির্বাচিত হওয়ার পর সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষতায় তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি দায়িত্ব পালনে যদি অযোগ্যতা দেখান তাকে অপসারণ করবেন সংসদের সদস্যরা ন্যূনতম দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে।
ভোটাভুটি হবে সদস্যদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা, সিদ্ধান্ত ও বিবেচনা অনুযায়ী। কোনো রাজনৈতিক দলভিত্তিক বিবেচনা থাকবে না। বিষয়টা জটিল নয়, কেবল আন্তরিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। প্রথমে সরকার একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে দেশের জ্ঞানী-গুণী, বিদ্বান, সৎ, নিরপেক্ষ ও ব্যক্তিত্বপূর্ণ কমপক্ষে পাঁচজন লোকের নাম বাছাই করবে। পাঁচজনের নামের বেশি নয়। সার্চ কমিটি বাছাইকৃত নামের তালিকা সরকারের কাছে জমা দেবে। এরপর সরকার ও বাছাই কমিটি যৌথ আলাপ-আলোচনা করে তিনজনের নাম সংসদের স্পিকারের কাছে জমা দেবে। স্পিকার প্রাপ্ত তিনটি নাম নিয়ে ভোটের আয়োজন করবেন। ভোটার হচ্ছেন সংসদ সদস্যরা। সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট যিনি পাবেন তিনি চিফ ইলেকশন কমিশনার নির্বাচিত হবেন। তার কার্যকাল হবে পাঁচ বছর।
মো. মুরশীদ আলম
জলেশ্বরীতলা, পৌরসভা লেন, বগুড়া
[email protected]