
পলিথিন আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে গেলেও এটি মূলত পরিবেশের নির্দয় ঘাতক! ইতোমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশ পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে! আমাদের দেশেও সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো নিষিদ্ধ করা হয়েছে ‘পলিথিন’। কিন্তু বাস্তবে এর তেমন কোনো কার্যকারিতা দেখা যাচ্ছে না! ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫’ অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০০২ সালের ১ মার্চ তৎকালীন সরকার পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এর পরও সে সময় পলিথিন ব্যবহার বন্ধ হয়নি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও পলিথিন বন্ধে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিয়েছে। তবু পুরোপুরি থামছে না এর ব্যবহার! কেবল আইন প্রয়োগ করে নয়, প্রকৃত সুফল পেতে চাই সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণ। পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পচনশীল কাগজের কিংবা কাপড়ের ব্যাগ, জুট বা থ্রেড ব্যাগ অথবা বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ ব্যবহার বাড়াতে হবে; যা প্রকৃতিতে সহজেই মিশে যায় এবং পরিবেশদূষণ থেকেও রক্ষা করে। ব্যবসায়ীদের পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের পরিবর্তে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে।
বিশেষ করে স্থানীয় বাজার, খাবারের দোকান কিংবা ছোট ছোট ব্যবসা যেখানে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার একটি নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে। অধিকন্তু নিয়মিতভাবে পলিথিন ব্যাগ সংগ্রহ করার জন্য উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও গড়ে তোলা আবশ্যক। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পলিথিনের ক্ষতিকর দিক এবং পরিবেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে পাঠদান করা জরুরি, যাতে একটি বাসযোগ্য, পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। পলিথিনমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
আসিফ আল মাহমুদ
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২
[email protected]