
শীত এলেই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীর ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। এই কনকনে শীতে হাজারও আশ্রয়হীন ভাসমান মানুষের কাটছে নির্ঘুম রাত। শীতের সকালে আমরা যখন গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে শীত উপভোগ করি, তখন পথের ধারে, ফুটপাতে, বাস ও রেলস্টেশনে পড়ে থাকে অসহায় মানুষ। তারা খোলা আকাশের নিচে গায়ে পাটের বস্তা আর ছেঁড়া কাপড় জড়িয়ে কোনোমতে শুয়ে থাকে, ক্ষণে ক্ষণে ঠাণ্ডায় কুঁকড়িয়ে ওঠে। শীতকালে কাজের সুযোগ কমে যায়, ফলে পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে অনাহারে দিন পার করে তারা। ক্ষুধার তাড়না তাদের আরও দুর্বল করে দেয়। সঙ্গে রয়েছে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগ; যা সহজেই তাদের কাবু করতে পারে।
শীতকালে প্রতিকূল পরিবেশে জীবনযাপন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ও প্রভাব ফেলে। ছিন্নমূল-অসহায়দের কাছে শীত ঋতু যেন এক অভিশাপ। সমাজের সামর্থ্যবানদের উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করা। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে তাদের জন্য খাবার, কম্বল ও গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করা। ঠাণ্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধের জন্য ফ্রি স্বাস্থ্য ক্যাম্পের আয়োজন করা। আশ্রয়হীনদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া শুধু মানবিক কাজ নয়, এটি আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে আমরাই পারি তাদের কষ্ট লাঘব করতে। সর্বোপরি শীতে অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারের দায়িত্বশীল মহলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নুসরাত জাহান অর্পিতা
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
[email protected]