
ঢাকার রূপনগরে রয়েছে কয়েকটি খাল, এসবের মধ্যে যে দৃশ্য দেখা যায়, তা হলো খালের মধ্যে আবর্জনার স্তূপ। সেই স্তূপ এতটাই দীর্ঘ যে, মনে হবে কোনো খাল নয়, এ হলো আবর্জনা বুকে ধারণ করার খাল। এই দৃশ্য দেখে চোখ ওপরে উঠে গেলেও খালের দুই ধারে বসবাসকারীদের কিছু যায়-আসে বলে মনে হয় না। খালের মধ্যে জমা হয়েছে প্লাস্টিকের বোতল, থালা-বাটি, পলিথিনের ব্যাগ ও মলমূত্র। বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত থার্মোকলের থালা-বাটি, প্লাস্টিকের বোতল ফেলা হয় খালে।
এ ছাড়া অন্যান্য আবর্জনার স্তূপ তো আছেই। এতে পরিবেশও হয় দূষিত। কিন্তু তাতে কার কী যায় আসে। এখন তো শালপাতার বা কলাপাতায় খাওয়ার চল নেই। এগুলো কোনো গর্তে ফেলে রাখলে কয়েক মাস পরে তা জৈব সারে পরিণত হবে। পলিথিন, প্লাস্টিক ও থার্মোকলের যুগ্ম আক্রমণে পরিবেশের অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। আবর্জনার অত্যাচার থেকে রূপনগরের খালগুলোর কি সত্যিই মুক্তি নেই?
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]