
চলছে শীতকাল। শীত এলেই আমাদের দেশের মানুষ খেজুরের রস খেতে উঠেপড়ে লাগে! শহর থেকে অনেকেই গ্রামের বাড়ি আসেন শীতের আমেজ পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে! এই সময় গাছিরা খেজুরগাছে উঠে মাটির হাঁড়িতে রস সংগ্রহ করেন। শীতের কুয়াশা জড়ানো ভোরে গাছিরা রসভর্তি হাঁড়ি নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে বের হন। অনেকেই উত্তেজনায় সরাসরি কাঁচা রস পান করে ফেলেন! কারণ কাঁচা অবস্থায় রসের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায়! এভাবে কাঁচা রস পান করা মোটেও নিরাপদ নয়! কাঁচা রসের মাধ্যমে বাদুড়ের লালায় থাকা ‘নিপাহ ভাইরাস’ ছড়াতে পারে! আর এতে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়!
মূলত বাদুড় ‘নিপাহ ভাইরাসে’র প্রধান বাহক। তবে বাদুড় নিজে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় না। গাছে লাগানো হাঁড়ির মুখ সর্বাবস্থায় খোলা থাকায় বাদুড়ের লালা সহজেই এতে মিশে যেতে পারে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কে ভয়াবহ প্রদাহ দেখা দেয়! এতে রোগী জ্বর ও মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন, এমনকি একপর্যায়ে খিঁচুনিও হতে পারে! তাই কাঁচা রস খাওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
এই ব্যাপারে আমাদের সবাইকে যথেষ্ট সতর্কতা মেনে চলতে হবে। ‘নিপাহ ভাইরাস’ প্রতিরোধে নির্দিষ্ট কোনো টিকা আবিষ্কার না হওয়ায় এতে মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৭০ শতাংশ! তাই নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সামাজিকভাবে অন্যদেরও সচেতন করতে হবে। কাঁচা রস পান করার পরিবর্তে ভালো করে সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে উত্তপ্ত করলে রসে থাকা ভাইরাস মরে যায়।
আসিফ আল মাহমুদ
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২
[email protected]