
বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ, তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। বাড়ি থেকে বাইরে, প্রায় সব ক্ষেত্রে স্মার্ট-ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার চলছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এ ডিভাইসগুলোর ব্যবহার আবশ্যক। তবে ভুলে গেলে চলবে না যে, আমরা প্রকৃতিরই সন্তান। ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইসমুখী হওয়ার ফলে প্রকৃতির সঙ্গে তাদের যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
স্মার্ট ডিভাইসগুলো ব্যবহারের ফলে তাদের চোখের ক্ষতি হচ্ছে, মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ছে। তাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবেও ক্ষতি হচ্ছে। স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারী ১ থেকে ৫ বছর বয়সী এসব শিশু খেলাধুলা থেকে পিছিয়ে পড়ছে, কথা বলা দেরিতে শিখছে, তাদের কমিউনিকেশনে গ্যাপ তৈরি হচ্ছে এবং দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখার শক্তি হারাচ্ছে। এ ছাড়া মায়োপিয়া, ড্রাই আই, অটিজম এবং ওবেসিটির মতো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। যার প্রভাব ভবিষ্যতেও ফেলতে পারে।
এ সমস্যাগুলোর সমাধানে শিশুর পিতা-মাতাকেই প্রধান দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাচ্চাদের সঙ্গে বেশি বেশি সময় কাটাতে হবে, তাদের খেলতে নিয়ে যেতে হবে এবং তাদের সামনে স্মার্ট ডিভাইসগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। সেই সঙ্গে শিশুদের আকর্ষণ স্মার্ট ডিভাইস থেকে ছবি আঁকা, বই পড়া, গান গাওয়া এবং গল্প শোনার মতো স্বাস্থ্যসম্মত কার্যকলাপের দিকে নিয়ে আসা জরুরি।
সজল চৌহান
শিক্ষার্থী, রংপুর নার্সিং কলেজ, রংপুর
[email protected]