
স্মার্টফোন ছাড়া অধিকাংশ মানুষ এখন অচল। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, থানা, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, ভোটার কার্ডসহ নানা কাজে স্মার্টফোন অপরিহার্য। সেই সুযোগে বাংলাদেশজুড়ে বেড়েছে সাইবার ক্রাইম চক্র। এই প্রতারক চক্রের ফাঁদে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, ফটো বা ওটিপি শেয়ার করে সর্বস্বান্ত অনেকেই। সাইবার ক্রাইম চক্রের নতুন সংযোজন ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’।
অচেনা-অজানা নম্বর থেকে ফোন করে এই প্রতারকরা বলতে থাকে- ‘আমি কাস্টমস বা ক্রাইম অফিসার, আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়েছে।’ সমাধানের পথ হিসেবে এই ‘নকল’ অফিসাররা বলতে থাকে- এখনই এত টাকা পাঠাতে হবে বা পাস বইয়ের নম্বর পাঠাতে হবে। জেনে রাখা দরকার, ডিজিটাল অ্যারেস্ট বলে কিছু নেই। সবটাই ভাঁওতাবাজি। এর পাশাপাশি চলছে ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে যেকোনো মুখের সঙ্গে অন্য ব্যক্তির শরীর জুড়ে দিয়ে নকল ভিডিও বানিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার খেলা।
ইদানীং আর এক চক্র বেরিয়েছে, এই চক্রের সদস্যরা ওত পেতে থাকে ব্যাংকের সামনে। সুযোগ বুঝে বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে সাধারণ মানুষের মোটা অঙ্কের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দিনে-দুপুরে এ রকম ছিনতাইয়ের ঘটনা দেখে পথচারীরা হাঁ করে তাকিয়ে থাকে, কেউ এগিয়ে আসে না। এরকম একটা ঘটনার শিকার আমি। গত ৭ জানুয়ারি বেলা সোয়া ১১টার সময় মিরপুর-১১ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনের সিঁড়িতে ওঠার সময় আমার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে সব ছিনিয়ে নিল সন্ত্রাসী-ছিনতাইকারী চক্র। লোকজন জন্তুর মতো দাঁড়িয়ে সব দেখল। কেউ আমার পাশে এল না! এই তো আমার বর্তমানের বাংলাদেশ।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]