
বাসাবাড়ি এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ কিংবা সীমিত করার কারণে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার বেড়েছে আর সেই সঙ্গে বেড়েছে সিলিন্ডার দুর্ঘটনাও। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে যে ঝুঁকি আছে তা এড়াতে যে ধরনের সচেতনতা প্রয়োজন, তার ঘাটতি রয়েছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে গ্যাস সিলিন্ডারজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনা। এমনকি দগ্ধ হয়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। যারা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন তাদের অজ্ঞতা, অবহেলা ও অসাবধানতাই এর জন্য দায়ী। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সতর্কতা কাম্য। এর অন্যথা হলে ঘটতে পারে আকস্মিক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড।
অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করলেও এসব সিলিন্ডারের মান পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত কোনো পরীক্ষণ কেন্দ্র নেই। তাই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। অনেক ক্ষেত্রেই সিলিন্ডারের গায়ে মেয়াদ উল্লেখ করা থাকে না। আবার কিছু সিলিন্ডার হয়তো কার্যকারিতা হারিয়েছে বহু আগেই। চুলার পাশে আগুনের উৎস থেকে কমপক্ষে ২-৩ মিটার দূরত্বে পরিচ্ছন্ন স্থানে সিলিন্ডার রাখা উচিত। লক্ষ্য রাখতে হবে, রান্নার জায়গায় যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে এবং রান্নাঘরের জানালা খোলা থাকে।
এ ছাড়া মানসম্মত রাবার টিউব ও হোস পাইপ ব্যবহার করা উচিত। ব্যবহারের আগে রাবার টিউব অথবা হোস পাইপে সাবানের ফেনা লাগিয়ে লিকেজ পরীক্ষা করা দরকার। দুই বছর পরপর রাবার টিউব পাল্টে ফেলা উচিত। আর যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যাবে না। অনেকেই না জেনে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহার করেন, যা বিপজ্জনক। সবার সচেতনতা আর সতর্কতাই পারে সিলিন্ডার দুর্ঘটনা রোধ করতে।
আসিফ আল মাহমুদ
ফ্রিল্যান্স রাইটার/ নবীন কলাম লেখক
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২
[email protected]