ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

সব রুটের পরিবহন ভাড়া কমান

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
সব রুটের পরিবহন ভাড়া কমান

দিনকে দিন বাড়তি পরিবহন ভাড়ায় যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠেছে। পরিবহন যেমন অপরিকল্পিতভাবে বাড়ছে, সেই সঙ্গে ভাড়ার পাল্লাও সমানতালে বাড়ছে। হাইওয়েসহ লোকাল রাস্তাঘাটের ভাড়া জনমনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বেকার মানুষের জন্য যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া প্রতিকূল নগর অঞ্চলে লোকাল ট্রান্সপোর্টগুলো ঊর্ধ্বমাত্রার ভাড়া রাখছে। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হচ্ছে- বাজারে জ্বালানি তেল, নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগামী হওয়ায় ভাড়াটাও বেশি রাখতে হচ্ছে। কারণ এই আয়ের পুঁজি দিয়েই বউ-বাচ্চা নিয়ে তাদের সংসার চালাতে হয়। বেকার জনগণ ও শিক্ষার্থীরা এই মুহূর্তে খুব দুর্দশায় আছে। 

যাতায়াতব্যবস্থার এই বিপুল খরচে তারা চরম অসহায়ত্বের শিকার। দূরপাল্লার বাস, ট্রেনে করে যাওয়া-আসা করা এখন কমার্শিয়াল হয়ে উঠেছে। গুনতে হয় বাড়তি অনেক পয়সা। এতে করে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হতে হয়। দ্রুত পরিবহন খাতের সুষ্ঠু ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে এবং সেটা অবশ্যই সব শ্রেণির জনগণের কথা মাথায় রেখে। তা ছাড়া দিনকে দিন এমন লাগামহীন ভাড়া বাড়ানোয় আমাদের দেশের দরিদ্র ও বেকার মানুষের জন্য একপ্রকার জুলুম। অবশ্য চালক ও মালিকদের কথাও বিবেচনা করতে হবে। পরিবহন খাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও আর্ধিক প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে পরিবহনে ন্যায্য ভাড়া নিশ্চিত করুন। 


ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয় 
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ
[email protected]

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী আজ মৃতপ্রায়। বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদী। শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, ঢাকা শহরের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। নদী ও শহরের টিকে থাকার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন দেশের বিশেষজ্ঞ মহল। বুড়িগঙ্গার বর্তমান অবস্থা শুধু পরিবেশগত বিপর্যয়ই নয়, এটি আমাদের সমাজ ও প্রশাসনের ব্যর্থতারও প্রতিচ্ছবি। নদীদূষণ, অবৈধ দখল এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে বুড়িগঙ্গা তার প্রাণ হারিয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীকে টিকিয়ে রাখতে হলে, জরুরি আইন প্রণয়ন এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজন। এজন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ মন্ত্রী বা উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী প্রযুক্তিগত ও আইনি টিম গঠন করা প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি। নদীগুলোর সচল থাকার অধিকার আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। এটি একটি যুগান্তকারী প্রস্তাব। নদীকে শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে নয়, একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে বিবেচনা করার দরকার। এটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, কারণ নদী দখল ও দূষণের পেছনে অনেক ক্ষেত্রেই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থ জড়িত। ঢাকা পুনরুদ্ধারের জন্য বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানো অপরিহার্য। ঢাকা পুনরুদ্ধার তার নদী দিয়ে শুরু হোক। বুড়িগঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি ঢাকার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

 

ওসমান গনি

সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোয় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কাজের জন্য কিংবা দৈনন্দিন প্রয়োজনে বাইরে চলাচল করে। কিন্তু তাদের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্করা ভোগান্তির শিকার হন। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন বাড়ির বাইরে কর্মরত নারীরা। রাজধানীসহ বড় বড় শহরগুলোয় হাতেগোনা দু-একটা পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সীমিত। এর ভেতরের পরিবেশও অত্যন্ত খারাপ। অযত্ন-অবহেলা ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নোংরা ও ব্যবহারের অনুপযোগী সেগুলো। একটি উন্নত ও সুস্থ নগরজীবনের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই অতিসত্বর এই সমস্যা নিরসনে সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 

আ-মরি বাংলা ভাষা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
আ-মরি বাংলা ভাষা

ভাষা শহীদদের স্মৃতিবিজড়িত মাস ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালে, প্রবল দেশাত্মবোধে আবেগ আর উদ্দীপনায় জেগে উঠেছিল সর্বস্তরের মানুষ। সবার মুখেই তখন রাষ্ট্রভাষা ‘বাংলা’র দাবি। সবারই স্লোগান তখন ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’, ‘উর্দুর সঙ্গে বিরোধ নাই’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে তখন আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের বিষয় খাজা নাজিমুদ্দিন-এর সেই বিতর্কিত বক্তৃতা ও সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন। ধীরে ধীরে নাজিমুদ্দিন সরকারের ওপর সবার ক্ষোভ বাড়তে থাকে। 

সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ সরকার, এমনকি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদেরও আগ্রহের কমতি ছিল না। রাষ্ট্রভাষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় দিক থেকেই সমান তাৎপর্যপূর্ণ। কাজেই তৎকালীন অনেক রাজনৈতিক নেতারই লক্ষ্য ছিল ভাষা আন্দোলনের মঞ্চে আধিপত্য বজায় রাখা। সংগ্রাম পরিষদ গঠনের সভায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি ছাড়াও আরেকটি প্রস্তাব ছিল, বন্দিদের মুক্তি। শেখ মুজিবুর রহমান, মহিউদ্দিন আহমদ প্রমুখ নেতা ছাড়াও সে সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন বাম ঘরানার কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী! হয়তো সে কারণেই ভাষা আন্দোলনের মিছিলে মিছিলে এও স্লোগান ছিল ‘রাজবন্দিদের মুক্তি চাই’! যা ভাষা সংগ্রামীদের গভীর রাজনৈতিক সচেতনতার পরিচয় বহন করে। 

’৪৭-এর শেষে পাক সরকারের ছাপা চিঠি লেখার খাম, মানি অর্ডার ফরম ইত্যাদিতে উর্দু ও ইংরেজি লেখার পাশে বাংলা লেখা না থাকায় মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। অনেক সরকারি কর্মচারীও তখন সাহস করে পাকিস্তানি উন্মাদনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানিয়েছিলেন। 

আসিফ আল মাহমুদ 
ফ্রিল্যান্স রাইটার/নবীন কলাম লেখক 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected] 

বড় নোটের বিড়ম্বনা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
বড় নোটের বিড়ম্বনা

ঢাকার রূপনগর আবাসিক এলাকায় দিন দিন বাড়ছে লোকসংখ্যা। রূপনগর আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কাউন্টার রয়েছে, যেগুলোতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন টাকা তুলতে। কিন্তু সম্প্রতি একটি সমস্যায় বেশ নাজেহাল হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এটিএম কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় ৫০০ টাকার নোট থাকলেও ১০০, ২০০ টাকার নোট প্রায় অমিল। ফলে চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়তে হয় এলাকাবাসীকে।

 অনেক সময়ে দেখা যায়, কারও সামান্য কিছু টাকার দরকার পড়লেও তিনি তুলতে পারেন না। কারণ, ন্যূনতম ৫০০ টাকা ছাড়া নোট থাকে না এটিএম কাউন্টারগুলোয়। বড় অঙ্কের নোট বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ৫০০ টাকা খুচরো করা বেশ ঝামেলার ব্যাপার। কোনো দোকানিই খুচরো দিতে চান না। সবাই ৫০০ টাকার নোট ধরিয়ে দিলে তারাই বা কীভাবে দেবেন? সুতরাং রূপনগর আবাসিক এলাকার সাধারণ গ্রাহকদের কথা ভেবে ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া সরাসরি ব্যাংকে পানির বিল পরিশোধ করতে গেলে প্রায়শই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলে, বিল নেওয়া যাবে না, সার্ভার নষ্ট। বিশেষ করে এশিয়া ব্যাংকে এ দৃশ্যের ঘটনা ঘটছে। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

সর্বজনীন পেনশন স্কিম

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
সর্বজনীন পেনশন স্কিম

উচ্চ আশা নিয়ে যাত্রা শুরু করা ‘সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প’ আজ সাধারণ মানুষের আগ্রহ হারিয়েছে! তবে কি এটিও গেল সরকারের রেখে যাওয়া ব্যর্থ প্রকল্পগুলোর একটিতে পরিণত হতে যাচ্ছে? অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে, পেনশন স্কিমে একবার তালিকাভুক্ত হয়ে চাঁদা দেওয়া আরম্ভ করলে জরুরি প্রয়োজনেও তা ভেঙে ফেলার সুযোগ থাকে না! বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারি সেবা ব্যবস্থা নিয়েও জনগণের মধ্যে আস্থার অভাব রয়েছে! এমনকি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বিদ্যমান পেনশন পাওয়া নিয়েও রয়েছে বিস্তর ভোগান্তি ও জটিলতার অভিযোগ! ফলে যে সময়ের পর পেনশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তখন ঝামেলাহীন ও সহজভাবে তা পাওয়া যাবে কি না, এনিয়ে লোকের মনে সংশয় বিদ্যমান! 

সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সুবিধা দিতেই মূলত ‘পেনশন স্কিম’ চালু করা হয়েছে। পেনশন কর্তৃপক্ষ তাদের পদক্ষেপের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী হলেও অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পুরো কর্মসূচিকে ঘিরে আছে বেশ কিছু দুর্বলতা! সেগুলোকে দ্রুত ঠিক করা সম্ভব না হলে, মানুষ তেমন সাড়া দেবে না! সে ক্ষেত্রে, অনেক প্রকল্পের মতো এই প্রকল্পটিও বিগত সরকারের একটি অকার্যকর প্রকল্প হিসেবে গণ্য হবে! অনেক গ্রাহকই এখন আর নিয়মিতভাবে টাকা জমা দিচ্ছেন না এবং নতুন করে খুব বেশি মানুষ এই স্কিমে নিবন্ধন করছেন না। বর্তমান সরকার যদি ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি’র ব্যাপারে জনগণকে ভালোভাবে বোঝাতে সক্ষম হয়, তাহলে এটি কাজ করবে। পেনশন স্কিম নিয়ে বড় অভিযোগ ছিল, টাকা নিয়ে সরকার আর ফেরত দেবে না! তাই এটিকে জনপ্রিয় করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ কাজ হবে। 


আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected]