
শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। প্রাঙ্গণে বইয়ের পসরা। দেশ-বিদেশ থেকে আগত বইপ্রেমীদের ভিড়। আট থেকে আশি বা নব্বই- সবারই চোখ নানা রকমের বা স্বাদের বইয়ের বিভিন্ন মলাটে। এত কিছুর মধ্যেও সেতারের একটি তার কাটল শূন্যতায়। শূন্যস্থানটিতে যদি গড়ে উঠত একটি মুক্তমঞ্চ, যেখানে বইপ্রেমীদের স্রোত এক বাক্যে বলে উঠত সমস্বরে, ‘বই পড়ব ও আত্মসমালোচনা করব’, তাহলে কেমন হতো? অস্থির সময়ে আত্মকেন্দ্রিক ভাবনায় বুঁদ হয়ে থাকা ছেলেটি বা মেয়েটি, নেশার তরলে ডুবে থাকা বেকার যুবক, সংযম হারিয়ে ফেলা ধর্ষক, নিজের সন্তানকে খুন করে ফেলা ‘বিকৃতমনা’ পিতা-মাতা- এ সবেরই কালো ছায়া বর্তমান সমাজের অন্দরমহলজুড়ে। এ ছায়া-প্রচ্ছায়া দূর করতে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই।
সঠিক শিক্ষণীয় বই নির্বাচন করে এবং সেটিকে আত্মস্থ করে ফেলতে পারলে গড়ে উঠবে এমন এক প্রতিবিম্ব, যেখানে মূল্যবোধ, চেতনাবোধ ধরা দেবে ধ্রুবতারার মতো, যা জীবনপথের সঠিক দিশারি। বই-ই পারে একজনকে নির্ভরশীল, দায়িত্ববান ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। তাই এ শপথের সঙ্গী হোক একটি ভালো বই। আজ দেশে লাখ লাখ উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি পাচ্ছে না, তারই প্রতিচ্ছবি ‘চাকরি হবে পরকালে’, এ উপন্যাসটি পড়ে যে কেউ বর্তমান সমাজের ঘটনাবলি খুঁজে পাবেন। আরও উপন্যাস হলো- ‘পাপে মৃত্যু’, ‘ভিটেমাটি দুর্জয় ঘাঁটি’- এ দুটিও বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে। যা পাঠকরা সাদরে গ্রহণ করতে পারেন। নাটকের বই ‘রাম-রহিমের প্রেম’, এটিও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে রচিত, নাটকের এ বইটিতে হিন্দু-মুসলমানের মিলনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]