
উচ্চ আশা নিয়ে যাত্রা শুরু করা ‘সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প’ আজ সাধারণ মানুষের আগ্রহ হারিয়েছে! তবে কি এটিও গেল সরকারের রেখে যাওয়া ব্যর্থ প্রকল্পগুলোর একটিতে পরিণত হতে যাচ্ছে? অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে, পেনশন স্কিমে একবার তালিকাভুক্ত হয়ে চাঁদা দেওয়া আরম্ভ করলে জরুরি প্রয়োজনেও তা ভেঙে ফেলার সুযোগ থাকে না! বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারি সেবা ব্যবস্থা নিয়েও জনগণের মধ্যে আস্থার অভাব রয়েছে! এমনকি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বিদ্যমান পেনশন পাওয়া নিয়েও রয়েছে বিস্তর ভোগান্তি ও জটিলতার অভিযোগ! ফলে যে সময়ের পর পেনশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তখন ঝামেলাহীন ও সহজভাবে তা পাওয়া যাবে কি না, এনিয়ে লোকের মনে সংশয় বিদ্যমান!
সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সুবিধা দিতেই মূলত ‘পেনশন স্কিম’ চালু করা হয়েছে। পেনশন কর্তৃপক্ষ তাদের পদক্ষেপের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী হলেও অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পুরো কর্মসূচিকে ঘিরে আছে বেশ কিছু দুর্বলতা! সেগুলোকে দ্রুত ঠিক করা সম্ভব না হলে, মানুষ তেমন সাড়া দেবে না! সে ক্ষেত্রে, অনেক প্রকল্পের মতো এই প্রকল্পটিও বিগত সরকারের একটি অকার্যকর প্রকল্প হিসেবে গণ্য হবে! অনেক গ্রাহকই এখন আর নিয়মিতভাবে টাকা জমা দিচ্ছেন না এবং নতুন করে খুব বেশি মানুষ এই স্কিমে নিবন্ধন করছেন না। বর্তমান সরকার যদি ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি’র ব্যাপারে জনগণকে ভালোভাবে বোঝাতে সক্ষম হয়, তাহলে এটি কাজ করবে। পেনশন স্কিম নিয়ে বড় অভিযোগ ছিল, টাকা নিয়ে সরকার আর ফেরত দেবে না! তাই এটিকে জনপ্রিয় করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ কাজ হবে।
আসিফ আল মাহমুদ
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২
[email protected]