ঢাকা ৮ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
English

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোয় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কাজের জন্য কিংবা দৈনন্দিন প্রয়োজনে বাইরে চলাচল করে। কিন্তু তাদের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্করা ভোগান্তির শিকার হন। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন বাড়ির বাইরে কর্মরত নারীরা। রাজধানীসহ বড় বড় শহরগুলোয় হাতেগোনা দু-একটা পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সীমিত। এর ভেতরের পরিবেশও অত্যন্ত খারাপ। অযত্ন-অবহেলা ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নোংরা ও ব্যবহারের অনুপযোগী সেগুলো। একটি উন্নত ও সুস্থ নগরজীবনের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই অতিসত্বর এই সমস্যা নিরসনে সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 

চাল নিয়ে চালবাজি আর কতদিন?

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
চাল নিয়ে চালবাজি আর কতদিন?

সম্প্রতি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চালের দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মিনিকেটের দাম বাড়তি থাকায় সরু চাল নাজির-শাইলের দামও কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বাড়তি। আর মোটা চালের দাম বেড়েছে এক থেকে ২ টাকা পর্যন্ত। ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের ভোক্তাদের। চালের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য ইতোমধ্যে সরকার চালের দামে শুল্ক কমিয়ে, চালের আমদানি বাড়িয়ে এমনকি বেসরকারি খাতকে চাল উৎপাদনে উৎসাহিত করে বিভিন্ন চেষ্টা অব্যাহত রাখছে। 

কিন্তু চালের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমছে না। এদিকে গত ১৭ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়েছে, শুধু মিনিকেট চালের মূল্যবৃদ্ধি সমগ্র চালের বাজারদর প্রতিফলিত করে না। সরকার খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তুলেছে; বিদেশ থেকে চাল আমদানিও অব্যাহত রেখেছে। দেশে চালের কোনো সংকট হবে না। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, সরকার যেখানে চালের দাম স্থিতিশীলতার জন্য এত পদক্ষেপ নিচ্ছে সেখানে চালের দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে কারা ভূমিকা রাখছে?

সিন্ডিকেট ও মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজারমূল্যের অস্থিতিশীলতা দূর করতে হবে। টিসিবির ট্রাক সেল ও ওপেন মার্কেট সেলের মতো (ওএমএস) অন্যান্য কার্যকর কর্মসূচি চালু করতে হবে। বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দেশের চাল উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং চালের আমদানি বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে যে করেই হোক চাল নিয়ে চালবাজি বন্ধ করতে হবে। এটা আমাদের প্রত্যাশা।

মাইফুল জামান ঝুমু 
শিক্ষার্থী, ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 
[email protected]

ওপরওয়ালার সঙ্গে সংযোগ!

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
ওপরওয়ালার সঙ্গে সংযোগ!

আমাদের দেশে ধর্মের চেয়ে ধর্মান্ধতা বেশি! ওপরওয়ালা কী বলেছেন, রাসুল কী 
বলেছেন- তা নিয়ে অনেকেরই বিশেষ মাথাব্যথা নেই! বরং তারা সর্বদা আগ্রহী থাকেন, অমুক হুজুর কী বলেছেন, আলেমসমাজ কী বলে সেটা জানতে! অনেকে তো আবার এত বিশ্বাস করেন বা মানেন যে, হুজুরের কথাই ওই ব্যক্তির কাছে শেষ কথা! তার নিজের যত দুঃখ-কষ্ট, চাওয়া সব তিনি ওপরওয়ালাকে নিবেদন করেন হুজুরের মারফতে! যেন ওই ব্যক্তি ধরেই নিয়েছেন যে সৃষ্টিকর্তা তার আবেদন গ্রাহ্য করবেন না! এমনকি নিজের সন্তানের ভালো চেয়ে দোয়া করার বেলাতেও তিনি নিজে স্রষ্টার কাছে না চেয়ে, হুজুরের ওপরই নির্ভর করেন বেশি! ভারি অদ্ভুত! 

আমরা সবাই তো চাই সৃষ্টিকর্তাকে পেতে! তাহলে কেন তাকে পাওয়ার জন্য নিজেদের ওপর আস্থা না রেখে, অন্য কারও দ্বারস্থ হই! কোরআনের অর্থ বুঝে ইসলামের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোকে জীবনে অন্তর্ভুক্ত করে আমরা নিজেরাই তো ওপরওয়ালার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারি! কে বলতে পারে, আমরা নিজেরা স্রষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা না করে, অন্য পক্ষকে ব্যবহার করছি বলেই হয়তো উপরওয়ালা রুষ্ট হয়ে আমাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না! ইসলাম সম্পর্কে জানতে আমরা অবশ্যই আলেমদের কথা শুনব, তবে ধর্মপ্রাণ হতে গিয়ে ‘ধর্মান্ধ’ হওয়া নিশ্চয়ই উচিত নয়।

ইসলাম মোটেও জটিল নয়। এমনকি কোনো ধর্মই আদতে হয়তো জটিল-কঠিন নয়। জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন মতাবলম্বীদের মতপার্থক্যের কারণে। নামাজ, রোজা, 
হজ-ওমরাহ, জাকাত-ফিতরা, ওয়াজ মাহফিল- কেবল এসবের মধ্যে খুঁজে বেড়ালে ইসলামের সুবিশাল যে পরিসর আছে তা আমাদের অগোচরেই রয়ে যাবে! 

আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected] 

 

পর্যটন নগর শ্রীমঙ্গল এখন জটের নগরী

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
পর্যটন নগর শ্রীমঙ্গল এখন জটের নগরী

বাংলাদেশের চা-কন্যা হিসেবে খ্যাত শ্রীমঙ্গল একসময় ছিল নিরিবিলি ও নয়নাভিরাম পর্যটন নগরী। চা বাগানের সবুজ স্নিগ্ধতা, লাউয়াছড়ার অপার সৌন্দর্য এবং সাতরঙা চায়ের জন্য বিখ্যাত এই শহর আজ ভয়াবহ যানজট ও অব্যবস্থাপনার কবলে। একসময়ের প্রশান্তির শহর শ্রীমঙ্গলের রাস্তাগুলো এখন অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল, অপরিকল্পিত বাজার সম্প্রসারণ, অবৈধ পার্কিং ও অব্যবস্থাপনার কারণে এক বিভীষিকাময় জটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শহরের প্রধান সড়ক ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোর প্রবেশপথে গাড়ির দীর্ঘ সারি, হকারদের দখলদারি এবং অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে চলাচল দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল মহাসড়ক, ভানুগাছ রোড, হবিগঞ্জ রোড ও কলেজ রোডে যানজট নিত্যদিনের বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় নেই কোনো আধুনিক পরিকল্পনা। প্রয়োজনীয় ট্রাফিক সিগন্যাল, পার্কিং স্পেস এবং পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীদের সড়কে নেমে হাঁটতে হচ্ছে, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। একসময় পর্যটকরা শ্রীমঙ্গলের প্রশান্ত পরিবেশে এসে স্বস্তি পেতেন কিন্তু বর্তমানে যানজট ও বিশৃঙ্খলার কারণে ভ্রমণের আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে। ফলে পর্যটন শিল্পও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এখানকার যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। তাই শ্রীমঙ্গলের যানজট সমস্যা সমাধানের জন্য শ্রীমঙ্গল পৌরসভা, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]

ঈদে জাল টাকা থেকে সাবধান

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
ঈদে জাল টাকা থেকে সাবধান

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে দেশের জাল টাকার কারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ঈদের বাজারে জমজমাট বেচাকেনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জাল টাকা পরিচালনার জন্য সক্রিয় হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে জাল টাকার ছড়াছড়ি। ঈদকে টার্গেট করে নতুন নতুন কৌশল নিয়ে জাল টাকার চক্রগুলো বাজারে এখন ভীষণ সক্রিয়। ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের পাশাপাশি ২০ ও ৫০ টাকার জাল নোটও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল টাকার নোট ঢুকছে। ভারতীয় চক্রের টার্গেট পশুর হাট।

 দেশের বড় বড় পশুর হাটে এসব জাল টাকা ছাড়ার চেষ্টা করছে চক্রের সদস্যরা। তবে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও তৈরি হচ্ছে জাল টাকা। ভারত ছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক জাল টাকা আনছে ও তৈরি করছে। প্রতারক চক্রের অনেকেই একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে পুলিশের কাছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারবারিরা এতই বেপরোয়া যে ফেসবুকে পেজ খুলে জাল টাকা বেচাকেনার প্রচারণা চালাচ্ছে প্রকাশ্যে। দিচ্ছে হোম ডেলিভারি। চক্রটির প্রধান টার্গেট ঈদ। জাল টাকার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার হলেও তাদের আটকে রাখা সম্ভব হয় না। এদের অধিকাংশই এখন মুক্ত। জাল টাকার কারবারিদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও অনেক আসামির সাজা হয়নি। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যায়। যে কারণে জাল টাকার ব্যবসা বেড়েই চলছে।

ওসমান গণি 
সাংবাদিক ও কলামিস্ট 
আহ্বায়ক, চান্দিনা প্রেসক্লাব, কুমিল্লা 
[email protected]

মুখস্থ রাজনীতি চর্চা আর কতকাল!

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
মুখস্থ রাজনীতি চর্চা আর কতকাল!

বিখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক তরুণদের বেশি করে বই পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতো আরও অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তিই যুবসমাজকে একই উপদেশ দিয়েছেন। আর এই ব্যাপারে দ্বিমত পোষণের কোনো সুযোগ নেই। 

জ্ঞান আহরণে পাঠাভ্যাসের আদৌ কোনো বিকল্প নেই। রুশ সাহিত্য সম্রাট লিও টলস্টয়ের ভাষায়, ‘জীবনে তিনটি জিনিস প্রয়োজন- বই, বই এবং বই’। তার এই কথা থেকে পুস্তক পাঠের গুরুত্ব বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘বই কেনা’ প্রবন্ধে আমাদের দেশের মানুষের বই পড়ার প্রতি অনাগ্রহের বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যারা রাজনীতি চর্চা করেন, নিয়মিত বই পড়া তাদের জন্য অপরিহার্য। অতীতে রাজনৈতিক দলগুলোতে নিয়মিত পাঠচক্র আয়োজনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চারও রেওয়াজ ছিল। 

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক কর্মীদের অধিকাংশই দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের বক্তৃতা-ভাষণে যেটুকু শোনেন, সেটুকুই তাদের সম্বল, জ্ঞানের পরিধি। অনেকেই মনঃক্ষুণ্ণ হতে পারেন, তবে প্রকৃত সত্যিটা হলো, এখনকার তরুণদের অনেকেই আসলে মুখস্থ রাজনীতি করেন। তাদের অনেকেরই জ্ঞানচর্চার দিকে তেমন মনোযোগ নেই, বরং ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে তারা ছুটছে মরীচিকার পেছনে। জ্ঞান কিংবা বুদ্ধি বিকাশের প্রচেষ্টা না করে তারা দিব্যি ব্যস্ত পদপদবি হাসিল করতে। সব চিন্তাচেতনা বিসর্জন দিয়ে তারা বেপরোয়াভাবে পেশিশক্তি প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনপ্রত্যাশা ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে।

আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected]