
১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীতে অবস্থিত একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকরা মজুরিবৈষম্যের প্রতিবাদ জানাতে এবং কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করার দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন। তার পর সেই আন্দোলনে চলে নির্দয় পুলিশি নির্যাতন! এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘের ঘোষণা মোতাবেক ৮ মার্চকে বিশ্বব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়! ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’। শত বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে নারী আজ ঘরে-বাইরে সর্বত্র বীরদর্পে পুরুষের সঙ্গে সমান পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে!
আধুনিক শহর কিংবা প্রত্যন্ত গ্রাম, সবখানেই আজ নারীরা তাদের মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে তাক লাগানো উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছেন! দুর্ভাগ্যের বিষয়, বহুল কাঙ্ক্ষিত নারী জাগরণ আজও অধরাই রয়ে গেছে! অপেক্ষাকৃত দুর্বল হওয়ায়, নারীরা প্রতিনিয়তই নানারকম অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করে সমাজে টিকে থাকেন!
পারিবারিক আবহ সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে তারা অনেক কিছু মুখ বুজে মেনে নেন! যেন দুঃসহ জ্বালাযন্ত্রণা সহ্য করা নারীর সহজাত প্রকৃতি! সমাজের পারিপার্শ্বিকতা কিংবা কোনো বাধাবিপত্তি যাতে একবিংশ শতাব্দীর সাহসী, উদ্যমী নারীদের দমিয়ে রাখতে না পারে তাই ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে তাদের একরাশ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলতে চাই, ‘নারী তুমি শক্তি, নারী তুমি তোমার মতোই সম্পূর্ণ, নারী তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ’।
মাহমুদ
পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম