ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

সড়কে নীরব অভিশাপ যানজট

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
সড়কে নীরব অভিশাপ যানজট

রাজধানী ঢাকায় যানজট এখন দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ অফিস, স্কুল, কলেজ, হাসপাতালসহ জরুরি কাজে বের হয়ে আটকে পড়ছে অসহনীয় যানজটে। ঢাকার প্রধান সড়কগুলো দিনের বেশির ভাগ সময় যানজটের কারণে অচল হয়ে থাকে। অপরিকল্পিত সড়ক ব্যবস্থা, ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করা, রাস্তার মাঝখানে অবৈধ পার্কিং এবং নির্মাণকাজের অব্যবস্থাপনা যানজটকে তীব্রতর করেছে। বাস ও রিকশার অসংগত প্রতিযোগিতা, ফুটপাতে দখলদারত্ব এবং ট্রাফিক সিগন্যালের বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলছে। ফলে কর্মঘণ্টার অপচয় যেমন বাড়ছে, তেমনই উৎপাদনশীলতাও কমে যাচ্ছে। অফিসে সময়মতো পৌঁছানো দুষ্কর হয়ে উঠেছে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে দেরিতে পৌঁছাচ্ছে, এমনকি জরুরি চিকিৎসাসেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। যানজটের ফলে পেট্রল ও ডিজেলের অতিরিক্ত ব্যবহার পরিবেশ দূষণকেও বাড়িয়ে তুলছে। এই যানজট এখন শুধু রাস্তায় আটকে থাকা কয়েক ঘণ্টার দুর্ভোগ নয়; এটি অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও নাগরিক স্বাধীনতার ওপর নীরব এক আঘাত। তাই অবিলম্বে এই অসহনীয় যানজট সমস্যার সমাধান করতে কঠোর, সুনির্দিষ্ট, ও টেকসই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]

পেঁয়াজের বাজারে কারসাজি বন্ধ করুন

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪১ এএম
পেঁয়াজের বাজারে কারসাজি বন্ধ করুন

দেশের পেঁয়াজের বাজারে যে ভয়াবহ কারসাজি কিংবা সিন্ডিকেট চলছে তা আর নিছক বাজারের সমস্যা নয়, এটা এখন সরাসরি অর্থনৈতিক শোষণে রূপান্তরিত হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে উৎপাদনের মৌসুমে কৃষককে ঠকানো এবং সংকটের সময় ভোক্তার কাছ থেকে চরম মূল্য আদায়ের এই ‘সিন্ডিকেট’ চক্র এখন এক ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। উৎপাদক কৃষক ন্যায্য দাম পায় না, অথচ ভোক্তা বাজারে দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে পেঁয়াজ কিনে প্রতিদিনের রান্না চালাতে হিমশিম খায়। মাঝখানে লাভবান হয় কিছু অসাধু চক্র।

 পেঁয়াজ এমন একটি কৃষিপণ্য, যার মৌসুমি উৎপাদন এবং সংরক্ষণের সীমাবদ্ধতা বাজারে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু  মহাজন পরিকল্পিতভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। আমদানির নামে বিলম্ব, গোডাউনে পচিয়ে ফেলা কিংবা হঠাৎ করে বাজার থেকে উধাও করে দেওয়ার মতো কৌশল ব্যবহার করেই ভোক্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। অথচ এই বাজারে সুষ্ঠু নজরদারি ও পরিকল্পিত বিপণনব্যবস্থা থাকলে কৃষক যেমন ন্যায্যমূল্য পেত, তেমনি ভোক্তাও ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি পেত। তাই কৃষক এবং ভোক্তা উভয়েরই স্বার্থ রক্ষায় এবং বাজারে স্বস্তি আনতে এসব অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্য বন্ধ এবং এদের যথাযথ আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ 
ইডেন মহিলা কলেজ

চাঁদাবাজিমুক্ত বাংলাদেশ চাই

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
চাঁদাবাজিমুক্ত বাংলাদেশ চাই

বর্তমানে চাঁদাবাজি সাধারণ মানুষের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির উল্লেখযোগ্য ঘটনা। অথচ প্রশাসন যেন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দিনে-দুপুরে বেপরোয়াভাবে বাস, রাস্তা এবং দোকানগুলো থেকে চাঁদা আদায় করছে। এমনকি চাঁদা দিতে দেরি হলে বা অপারগতা প্রকাশ করলে ভীতি প্রদর্শন, হুমকি এবং শারীরিক শক্তি ব্যবহার করেও আদায় করছে। কারা চালায় চাঁদাবাজির এই অন্ধকার জগৎ? কোথায় তাদের উৎস?

তাই স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও কঠোর হতে হবে এবং চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সাধারণ মানুষকে নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। নীরব দর্শকের ভূমিকা ছেড়ে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় সময়ের দাবি।

মোছা. জেসিয়া তাবাসসুম জাহিন
ইংরেজি ভাষা বিভাগ, আইএমএল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোয় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কাজের জন্য কিংবা দৈনন্দিন প্রয়োজনে বাইরে চলাচল করে। কিন্তু তাদের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারীরা, শিশু ও বয়স্করা ভোগান্তির শিকার হন। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন বাড়ির বাইরে কর্মরত নারীরা।

রাজধানীসহ বড় বড় শহরগুলোয় হাতে গোনা পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সীমিত। তার পরও এর ভেতরে অধিকাংশের অবস্থায় অত্যন্ত খারাপ। অযত্ন-অবহেলায় ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নোংরা ও ব্যবহারের অনুপযোগী সেগুলো। একটি উন্নত ও সুস্থ নগর জীবনের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই অতিসত্বর এ সমস্যা নিরসনে সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজ

 

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

আমাদের দেশের অনেক মানুষ অজান্তেই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়ছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবনের ফলে শরীরে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ফুলে যাওয়া, এমনকি বিপজ্জনক অ্যালার্জির মতো নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এমনকি প্রাণনাশের ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। এটি শুধু রোগীর শারীরিক ক্ষতির কারণ নয়, বরং মানসিক চাপও সৃষ্টি করে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কার্যকারিতা হারায় এবং অনেক ক্ষেত্রে তা বিষাক্ত উপাদানে পরিণত হয়। তদারকির অভাবে এসব ওষুধ এখনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে, যা রোগীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

এ অবস্থায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। রোগীরা যেন ওষুধ কেনার সময় তার মেয়াদ যাচাই করেন এবং কোনো সমস্যা দেখলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান। একই সঙ্গে প্রশাসনের উচিত ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থায় কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করা, যাতে এ ধরনের সমস্যার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।

আসিকুর রহমান
কুষ্টিয়া

ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ ও পোকা

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ ও পোকা

নিরাপদ পানি মানুষের জীবনের অন্যতম মৌলিক অধিকার। এটি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। অথচ রাজধানী ঢাকায় এই অধিকার আজ মারাত্মকভাবে উপেক্ষিত। ঢাকার অসংখ্য এলাকায় ওয়াসার সরবরাহকৃত পানির গুণমান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পানিতে তীব্র দুর্গন্ধ, কালচে বা হলদে বর্ণ, ময়লা এবং কখনো কখনো পোকামাকড় পর্যন্ত পাওয়া যায়। এই পানি পান করা কথা তো দূরে থাক, রান্না, গোসল কিংবা ধোয়ামোছার মতো সাধারণ কাজেও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ।

 ডায়রিয়া, চর্মরোগ, চোখের সমস্যা এবং দীর্ঘমেয়াদে কিডনি ও লিভারজনিত জটিলতা দেখা দিচ্ছে অনেকের মধ্যে। বিশেষ করে বস্তি বা নিম্নআয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন, যাদের পক্ষে বিকল্প উৎস থেকে নিরাপদ পানি সংগ্রহ করা প্রায় অসম্ভব। যেখানে স্বাস্থ্যবান, সচল একটি নগরীর ভিত্তি গড়ে ওঠে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের ওপর, সেখানে এমন নোংরা ও বিপজ্জনক পানি ঢাকার মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। এটি শুধু নাগরিক অধিকার হরণ নয়, বরং একটি মানবিকসংকট। তাই ঢাকাবাসীর স্বাস্থ্য ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের স্বার্থে নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওয়াসা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]

দে আছেন, যাদের পক্ষে বিকল্প উৎস থেকে নিরাপদ পানি সংগ্রহ করা প্রায় অসম্ভব। যেখানে স্বাস্থ্যবান, সচল একটি নগরীর ভিত্তি গড়ে ওঠে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের ওপর, সেখানে এমন নোংরা ও বিপজ্জনক পানি ঢাকার মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। এটি শুধু নাগরিক অধিকার হরণ নয়, বরং একটি মানবিকসংকট। তাই ঢাকাবাসীর স্বাস্থ্য ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের স্বার্থে নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওয়াসা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]