ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

মব সন্ত্রাসের দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
মব সন্ত্রাসের দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যে এ মুহূর্তে নিমন্ত্রণ করা সরকারের পক্ষে খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এই সেদিন বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন একটি পলাতক দল দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের মতোই রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি দেশে একটা সংস্কার খুবই প্রয়োজনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়নি বলে দাবি করেন। ধানমন্ডি-৩২-সহ সারা দেশে অনেক ভবন, মাজার, বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মব সন্ত্রাস ও দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, পুলিশ সময় নিচ্ছে। তারা প্রস্তুত হতে সময় নিচ্ছে, তাদের মানসিকতা থেকে তারা এখনো মুক্ত হতে পারেনি।

 তবে এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিতে না পারলে ভবিষ্যতে দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ না থাকার সম্ভাবনা বেশি বিষয়টি সরকারকে গভীরভাবে ভেবে দেখার আকুতি জানাব। উল্লেখ্য দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন ও টিআইবিসহ আরও অনেক বিভিন্ন সংগঠন। অথচ এত কিছুর পরও দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রীর সুরে বলছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। আশাকরি সরকার আগামীতে রাজধানীর গুলশানে সংঘটিত মব ভায়োলেন্সের মতো ঘটনা দেশের আর কোথাও হতে দেবেন না। ছাত্র-জনতার নামে এ ধরনের লুণ্ঠনকারী বা কীভাবে বাসাবাড়ির গেটের দরজা ভেঙে তল্লাশির নামে জোরপূর্বক প্রবেশ করে লুটপাটের অধিকার তাদের কে দিয়েছে? সরকারকে এ বিষয়গুলো অবহেলার চোখে দেখলে চলবে না। 

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
গণমাধ্যমকর্মী ও কলামিস্ট
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
[email protected]

মসজিদে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনুন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
মসজিদে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনুন

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চাঁনপুর ইউনিয়নের পাঘাংচর গ্রামে সালাফি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি উগ্রবাদী কট্টরপন্থি হানাফি গোষ্ঠী মসজিদ ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে। তৌহিদি জনতা নামধারী কট্টরপন্থি হানাফি গোষ্ঠী লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্রসহকারে মসজিদে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং কয়েকজনকে নির্মভাবে পিটিয়ে আহত করেছে। এ মসজিদ আহলে হাদিস মসজিদ নামে পরিচিত। 

 আহলে হাদিস মূলত পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিস অনুযায়ী জীবন গড়তে চায়। তারা মনে করে, মুসলিমরা এক ও ঐক্যবদ্ধ থাকবে। কোনো দলাদলি থাকা উচিত নয়। মুসলিমদের পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিস অনুযায়ী এবং জীবনের প্রতিটি স্তরে রাসুল (সা.)-এর আদর্শ থাকা উচিত। এটা হানাফি গোষ্ঠীর গাত্রদাহ। মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর ধর্ম অবমাননার শামিল। তাই বর্তমান সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন অতি দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হয়। 

মো. ইয়াসিন খান
ফরিদপুর   
[email protected]

আস্থা ও আদর্শে ফিরুক চিকিৎসক সমাজ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
আস্থা ও আদর্শে ফিরুক চিকিৎসক সমাজ

এক সময় চিকিৎসা পেশা ছিল মহান সেবারপ্রতীক। আজ তা অনেকের চোখে বাণিজ্যিক পেশা। বাংলাদেশে বহু চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানির প্রভাবের কাছে নতিস্বীকার করছেন। সম্মানী, উপহার বা বিদেশ ভ্রমণের লোভে তারা ভালোমন্দ যাচাই না করেই নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ রেফার করেন।  এতে রোগীর স্বাস্থ্যের চেয়ে কোম্পানির স্বার্থই গুরুত্ব পায়। সরকারি হাসপাতালগুলোয় কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি থাকলেও তা প্রায়ই অব্যবহৃত থাকে। চিকিৎসকরা রোগীকে ক্লিনিক বা প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান, যাতে কমিশন পাওয়া যায়।

 ফলে সাধারণ রোগী বাধ্য হন উচ্চমূল্যের সেবা নিতে, যেখানে সরকারি ব্যবস্থাতেই চিকিৎসা সম্ভব ছিল। সবচেয়ে  দুর্ভাগ্যজনক দিকটি হলো, চিকিৎসকদের এই উদাসীনতা শুধু সাধারণ মানুষের জন্য। নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের চিকিৎসায় তারা সিরিয়াস, যত্নবান, পরিপূর্ণ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। অথচ অন্য রোগীর ক্ষেত্রে থাকে কেবল দায়সারা মনোভাব। এই দ্বিমুখী আচরণ প্রশ্ন তোলে, একজন চিকিৎসক কবে শুধু ‘মানবসেবা’র চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবেন? সব চিকিৎসক এমন নন। অনেকেই এখনো সৎ, নিবেদিতপ্রাণ এবং গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ান। এই সংখ্যা বাড়াতে হবে। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষার শুরু থেকেই নৈতিকতা শেখানো, ওষুধ কোম্পানির প্রভাবের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং সচেতন সমাজের চাপ। চিকিৎসা যেন ব্যবসা নয়, বরং মানুষের জন্য সেবার এক মহৎ ব্রত হয়ে ওঠে, এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা। 

মো. সাইদুর রহমান 
শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় 
[email protected]

শীতলক্ষ্যাকে দূষণমুক্ত করার উপায় আছে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
শীতলক্ষ্যাকে দূষণমুক্ত করার উপায় আছে
প্রশ্ন উঠেছে, শীতলক্ষ্যা নদী কবে দূষণমুক্ত হবে? উত্তর একটাই, নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে মানুষশূন্য হলেই শীতলক্ষ্যা দূষণমুক্ত হবে- মানুষের জন্যই শীতলক্ষ্যা আজ দূষণে জর্জরিত। নারায়ণগঞ্জে মানুষ থাকলে শীতলক্ষ্যার দূষণ বাড়তেই থাকবে। তাই আমার প্রশ্ন, মানুষ রাখবেন না শীতলক্ষ্যা রাখবেন? সুতরাং এসব নীতিবাক্য কথাবার্তা লিখে কোনো লাভ হবে না! তবে একটা উপায় আছে, যদি নদী থেকে বিভিন্ন পচা আবর্জনা, মলমূত্র প্রতিটি বাড়ির ড্রইং রুমে ফেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে নারায়ণগঞ্জবাসী সচেতন হলেও হতে পারে। পত্রিকার পাতায় নিউজ করা আর বনের মোষ তাড়ানো সমান কথা! 
 
লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা

 

আন্দোলনের নামে ধ্বংস, লুটতরাজ ও সন্ত্রাসবাদ কাম্য নয়

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
আন্দোলনের নামে ধ্বংস, লুটতরাজ ও সন্ত্রাসবাদ কাম্য নয়

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে দেশের বিভিন্ন শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আমাদের দেশে এরকম কিছু একটা ঘটলেই দেখা যায় এক শ্রেণির দালাল বা দেশদ্রোহী মনের মানুষের উৎপাত। ‘সব শেষ’, ‘সব গেল’, ‘দেশ ছাড়ো’, ‘এই দেশ জঙ্গিদের হাতে চলে গেছে’, ‘এ দেশে আর থাকা যাবে না’- এমন দেশবিরোধী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সয়লাব করে। জাতি হিসেবে আমাদের এই আত্মবিশ্বাসহীনতা, নেতিবাচকতা ও দেশবিদ্বেষমূলক মানসিকতাই আমাদের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। 

দেশের সমস্যা থাকতেই পারে। তার সমাধানও আছে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে নাগরিকদের সচেতনতা, গঠনমূলক সমালোচনা ও সম্মিলিত প্রয়াস কাম্য; মেকি কান্না, দেশদ্রোহী মন্তব্য আর দেশদ্রোহী অপেশাদার বক্তৃতা-বিবৃতি নয়। আন্দোলনের নামে ধ্বংস, লুটতরাজ, হানাহানি, সন্ত্রাস কাম্য নয়। মানুষ হিসেবে ভুল কখনো কখনো হয়ে যেতে পারে। প্রয়োজন শোধরাবার, প্রয়োজন সুস্থ মন-মানসিকতা নিয়ে সমাধানের, দেশের দুর্নাম রটানো নয়। কেননা, এতে দেশেরই ক্ষতি হয়। পরিশেষে, আমরা যদি উন্নত বিশ্বের মতো গঠনমূলকভাবে নিজেদের সমস্যা সমাধান  করতে না শিখি, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত না হই, ভিন দেশের দালালি করা বন্ধ না করি, ফেক ছবি বানিয়ে প্রচার-প্রোপাগান্ডা বন্ধ না করি, তাহলে আমাদের এই সোনার দেশ এগোবে কীভাবে? আর কতদিন আমরা ভিন দেশে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ট্যাক্সি-উবার চালিয়ে, রেস্তোরাঁয় খাদেম হয়ে কিংবা গৃহপরিচারিকার কাজ করে দিন কাটাব?

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
[email protected]

গাজায় হত্যাযজ্ঞে মুসলিম বিশ্ব নিশ্চুপ কেন?

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
গাজায় হত্যাযজ্ঞে মুসলিম বিশ্ব নিশ্চুপ কেন?

গাজার মৃত্যুকূপে প্রতিনিয়তই নারী আর শিশু হত্যাযজ্ঞের শিকার হচ্ছে। বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাতে যেন মুসলিম বিশ্বের নেতাদের কোনো ভাবান্তর নেই। ইসরায়েলিদের কোনো পশুর সঙ্গে তুলনা করলেও তা কম হয়ে যাবে। এ হত্যাযজ্ঞের পেছনে আবার বিশ্ব মোড়লরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের দুষ্টুচক্রে পড়ে ইসরায়েল তার শকুনি থাবা গাজার ওপর বিস্তার করেই চলেছে। ইতোমধ্যেই তারা ৫০ হাজারের বেশি নারী ও শিশু হত্যা করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কোনো শিশু যেন বড় হয়ে মাথা চাড়া দিতে না পাড়ে তার জন্য নির্বিচারে চলছে শিশু হত্যা।

 শিশুদের নিধন করতে পারলেই ভবিষ্যতে ইসরায়েলিদের পথ পরিষ্কার হবে। গাজায় যুদ্ধবিরতি হয় কিন্তু তা যেন ফাঁকা বুলি এবং নিধনযজ্ঞের পৈশাচিক ইসরায়েলিদের একটা কৌশল মাত্র। গাজাবাসী মানবতার ভয়াবহ বিপর্যয়ের  শিকার হলেও এক প্রকার নির্বিকারই রয়েছে জাতিসংঘ। কিন্তু সবচেয়ে অবাকের বিষয় হলো- আরব মুসলিমদের ন্যক্কারজনক ভূমিকা নিয়ে। তাদের ক্ষমতালোভের কাছে হেরে যাচ্ছে নিরীহ গাজাবাসীর চিৎকার ও আর্তনাদ। সামনের দিকগুলোতে ইরানকে ভয়াবহ চাপে ফেলতে ডোনাল্ট ট্রাম্পের ভূমিকা হবে আরও আগ্রাসী। তাই ইরানের পাশে যদি এখনই আরব বিশ্ব না দাঁড়ায় তাহলে একে একে মধ্যপ্রাচ্যের সব মসনদেই ডোনাল্ট ট্রাম্প যে আগুন জ্বালিয়ে দেবেন তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তাই এখনই গর্জে উঠতে হবে আরব বিশ্বকে। ইরানকে সমানে রেখে ভয়াল প্রতিরোধে গর্জে উঠতে হবে। 

হাজি মো. রাসেল ভূঁইয়া
খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]