
ওষুধের দাম প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। পকেট ফাঁকা করে নামি কোম্পানির ওষুধ কিনে খেয়ে সুস্থ থাকার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ধনী থেকে গরিব। আবার অনেকে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের বিশ্বাস না করে ভারতের বিভিন্ন স্থানে যান চিকিৎসা করাতে। আদৌ কি ভারতের চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে লেখা নামি কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন ওষুধের মান ভালো? নার্ভের অসুখ, হার্টের অসুখের জন্য বহুলপ্রচলিত যে ট্যাবলেট রোজ সকালে বা দুপুরে বা রাতে আপনি, আমি বা আপনার প্রিয়জন খাচ্ছেন, সেটা কোয়ালিটি পরীক্ষায় পাস করেছে কি না, কেউ কখনো খোঁজ নিয়েছেন? ভারতের একটি পত্রিকায় প্রকাশ, বহু জনপ্রিয় ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় পাস করেনি। পাস করতে পারেনি টনসিল, ব্রংকাইটিস, গলা, কান, জ্বর-গ্যাস-ব্যথা, প্রস্রাবের সংক্রমণ বন্ধ, কাফ সিরাপও। এমনকি স্যালাইনও জীবাণুমুক্ত নয়।
গুণগত মানের খারাপ ওষুধগুলোর বেশির ভাগ তৈরি হয়েছে গুজরাটের ভদোদারা, আহমেদাবাদ, হিমাচল প্রদেশের বদ্দি, পুদুচেরি, মহারাষ্ট্র রাজ্যের তারাপুর, উত্তরাখণ্ডের রুরকি, হরিদ্বার ও কর্ণাটকে। উল্লেখ, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের বাজারে যেসব ওষুধ বিক্রি করা হয় নিয়মিত তার পরীক্ষা চালায় ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন। গত জানুয়ারিতে দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে আকস্মিক কিছু ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে তারা। তাতেই দেখা গেছে ঘরে ঘরে ব্যবহৃত নামি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর তৈরি ওষুধের মান খারাপ। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে ভারতে গিয়ে যারা চিকিৎসা করান, তারা সঠিক সেবা পাচ্ছেন কি? এ প্রশ্ন জাগতেই পারে!
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]