ঢাকা ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
English
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

ধর্ষণ ঠেকাতেই হবে!

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
ধর্ষণ ঠেকাতেই হবে!

ইদানীং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্ষণের যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে যেকোনো বিবেকবান মানুষকে উদ্বিগ্ন করবে! মাত্র মাসখানেক আগে যে ছাত্রসমাজ দেশ থেকে স্বৈরাচার তাড়ানোর জন্য সফল গণ-আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, তারাই আজ আবার ধর্ষণের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে, যা একেবারেই কাম্য ছিল না! কিন্তু বাস্তবতা তাদের মাঠে নামতে বাধ্য করেছে! কেউ কতটা অমানুষ হলে এহেন ঘৃণ্য ঘটনা ঘটাতে পারে! এর মধ্যদিয়ে সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের চিত্র ফুটে ওঠে! বর্তমানে ধর্ষণ যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে অতীতে এমনটা দেখা যায়নি! তাই ধর্ষণের মতো সামাজিক অপরাধের অন্তর্নিহিত কারণগুলো আমাদের খুঁজে বের করে নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। 

ধর্ষণ একটি সামাজিক অপরাধ! কোনো সভ্য সমাজেই ধর্ষণের মতো নিন্দনীয় কাজ সমর্থিত কিংবা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না! অন্তর্বর্তী সরকার নারী নির্যাতন, বিশেষ করে ধর্ষণের মতো অপরাধের বিচারব্যবস্থা সহজীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে আইন যত কঠোরই হোক না কেন সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে তা কাজে দেবে না। আইনকে সর্বদা তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। বিচারকার্য সম্পন্ন করতে অস্বাভাবিক কালক্ষেপণ করা যাবে না। কেননা, তাতে অপরাধীরা আইনের চোখে ধুলো দিয়ে বেরিয়ে যায়! কেবল আইনি সংস্কারের মাধ্যমে নারী নির্যাতন অথবা ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়! নারী নির্যাতন রোধে আইনের সঠিক বাস্তবায়নের পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। যেকোনো মূল্যেই ধর্ষণের মতো অপরাধের লাগাম টেনে ধরতে হবে! 


আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected] 

সাইবার অপরাধ ও সচেতনতা

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
সাইবার অপরাধ ও সচেতনতা

গোটা বিশ্ব আজ ইন্টারনেট-নির্ভর হয়ে পড়েছে! কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অনলাইন কার্যক্রমের দ্রুত প্রসার ঘটেছে। প্রাতিষ্ঠানিক ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনে ইন্টারনেট এখন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ! ডিজিটাল দুনিয়ায় কেবল সুবিধা নয়, আছে অনেক ভোগান্তিও! বিশেষ করে, সাইবার অপরাধের কারণে অনেক ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠানকেই আজকাল বেশ ভুগতে হয়! দেশে বর্তমানে অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং বা তথ্য চুরি বেজায় বেড়েছে! ফলে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে এর জন্য কড়া মাশুল গুনতে হচ্ছে!

সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। দেশে শক্তিশালী আইন থাকলেও, একমাত্র সচেতনতাই হতে পারে মূল রক্ষাকবচ! সাধারণ মানুষ আইন সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন নয়, আবার অনেকেই এর আশ্রয় নিতে চান না! এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনের অপপ্রয়োগের অভিযোগও রয়েছে! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, -মেইল প্রভৃতি ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এসব ক্ষেত্রে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হলে নিরাপদ থাকা সম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ছবি বা তথ্য দেওয়ার পূর্বে যাচাই-বাছাই করে দেখা উচিত। কেউ সাইবার অপরাধের শিকার হলে কীভাবে তার প্রতিকার মিলবে, সে বিষয়ে তাদের সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। প্রতিকার চাইতে গিয়ে কেউ যাতে নতুন করে কোনো হয়রানির শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত করা দরকার। সর্বোপরি সাইবার অপরাধসংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ঘটানো প্রয়োজন।

 

আসিফ আল মাহমুদ

আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২

[email protected]

 

সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ফার্মাসিস্টসংকট

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ফার্মাসিস্টসংকট

বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ওষুধের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও রোগীদের নিরাপদ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য একজন প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্টের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের অধিকাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই দীর্ঘদিন ধরে চরম ফার্মাসিস্টসংকট বিরাজ করছে। এতে রোগীদের সঠিক ওষুধ প্রাপ্তি ব্যাহত হচ্ছে, বাড়ছে ভুল ওষুধ প্রয়োগের ঝুঁকি এবং জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। বর্তমানে দেশের বহু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ফার্মাসিস্টও নেই। যেসব স্থানে আছেন, সেখানেও তারা অতিরিক্ত প্রশাসনিক কাজের চাপে মূল দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। 

অনেক কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তো ফার্মাসিস্ট নিয়োগের ব্যবস্থাই নেই, অথচ নিয়মিত ওষুধ বিতরণ সেখানে চলছেই। ফলে ওষুধের ভুল প্রয়োগ, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ব্যবহার এবং অনিয়মিত সংরক্ষণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার প্রতি বছর বিপুল অর্থ ব্যয়ে ওষুধ সরবরাহ করলেও সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়ায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয় হচ্ছে এবং মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এই সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। তাই প্রতিটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করতে স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]

ভয়ংকর সুন্দর!

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
ভয়ংকর সুন্দর!

সুন্দরী রমণীর খুদে বার্তা কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে একটা ভিডিও কল! কী বলতে চায় সে? তেমন কিছুই নয়, নিছক বন্ধুত্বের আহ্বান! সে আপনার বন্ধু হতে চায়! ব্যস, মনটা খুশিতে লাফিয়ে উঠল! হয়তো ভাবছেন, এমনই তো চেয়েছিলাম! মনে মনে হয়তো ওই মেয়েকে বিয়ের স্বপ্নও দেখা শুরু করে দিয়েছেন! কিন্তু এই সুন্দরের মাঝেও যে ভয়ংকর লুকিয়ে থাকতে পারে সে চিন্তাই আপনার মাথায় আসছে না! হতেও তো পারে, সে আপনাকে কোনো বিপদে ফেলতে চাইছে! এই সর্বনাশা ফাঁদে পড়ে আপনি হয়তো খোয়াতে পারেন অর্থ-সম্পদ! নতুবা আরও মূল্যবান কিছু, আপনার সম্মান! কী ভীতিপ্রদ ব্যাপার, তাই না! 
ইদানীং পত্রপত্রিকা আর নেট দুনিয়ায় ‘হানি ট্র্যাপ’ বা মধু ফাঁদের কথা নিশ্চয়ই শোনা হয়েছে।

 কেউ কেউ একে ‘প্রেম বা ভালোবাসার ফাঁদ’ বলেও অভিহিত করছেন! আসলে এসব কিচ্ছু নয়, স্রেফ প্রতারণা! মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক কিংবা সরকারি গোয়েন্দা কর্মকর্তা কেউই বাদ যাচ্ছেন না এর থেকে! ধূর্ত একটা চক্র বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিল করতে এই ফাঁদ পেতে থাকে! কাউকে ‘টার্গেট’ হিসেবে ঠিক করার পর, এরা কোনো লাস্যময়ী ললনাকে লেলিয়ে দেয় তার পেছনে! প্রথমে কেবল বন্ধুত্বের কথা বললেও, ক্রমেই তা রূপ নেয় প্রেম আর কখনোবা যৌন সম্পর্কে! এমনকি ব্ল্যাকমেল করে সেই ভুক্তভোগীকে বিকৃত যৌনাচারেও বাধ্য করা হয়! গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো ব্যাপার! শুনেই শরীরের রোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে! এর থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। চোখ-কান খোলা রেখে চলতে হবে! 


আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected]

নতুন দলের ঢল

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
নতুন দলের ঢল

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে একাধিক নতুন রাজনৈতিক দল। এদের মধ্যে রয়েছে ‘ভূমিহীন পার্টি’, ‘কৃষক শ্রমিক পার্টি’, ‘বেকার সমাজ’, ‘ইত্যাদি পার্টি’, ‘বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি’, ‘বাংলাদেশ শান্তির দল’, ‘মুশকিল লীগ’ ও ‘নাকফুল বাংলাদেশ’। নামগুলোর মধ্যে যেমন রয়েছে সৃজনশীলতা, তেমনি প্রতিফলিত হয়েছে বিশেষ শ্রেণি বা জনসমস্যার প্রতিনিধিত্বের চেষ্টা।

‘ভূমিহীন পার্টি’ ভূমিহীন মানুষের অধিকার আদায়ে এগিয়ে আসতে চায়। ‘বেকার সমাজ’ তরুণ বেকারদের দাবিকে সামনে রেখে গঠিত। ‘কৃষক শ্রমিক পার্টি’ কৃষক-শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চায়। অন্যদিকে ‘মুশকিল লীগ’ ও ‘নাকফুল বাংলাদেশ’-এর মতো নামগুলো নিয়ে জনমনে কৌতূহল যেমন বেড়েছে, তেমনি প্রশ্নও উঠেছে তাদের রাজনৈতিক দর্শন ও লক্ষ্য নিয়ে।

এই নতুন দলগুলো দেশের রাজনীতিতে মতের বৈচিত্র্য এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রকে উৎসাহিত করতে পারে। তবে বাস্তব রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন সংগঠিত কাঠামো, সুস্পষ্ট নীতি ও জনসমর্থন। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেলে তারা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা সময়ই বলবে।

মোহাম্মদ ইয়ামিন খান
ফরিদপুর
[email protected]

 

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করুন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করুন

রাজধানী ঢাকা এমনিতেই যানজটের শহর। এর মধ্যেই নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। নিয়ম না মেনে, অনুমতি ছাড়াই এই যানবাহনগুলো শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারণত এ অটোরিকশাগুলোর কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। চালকদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। বেশির ভাগই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। তারা ট্রাফিক সিগনাল মানেন না, চালান বেপরোয়া গতিতে। হঠাৎ থামা, হঠাৎ বাঁক নেওয়া এসবই নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এতে করে রাস্তায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী রাজধানীতে এ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমতি নেই। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে এদের চলাচল চলছে নির্বিঘ্নে। এতে করে বৈধ যানবাহনচালকদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ ও আশঙ্কা। সাধারণ মানুষও পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। এ ছাড়া এ যানবাহনগুলো নগরের যাতায়াতব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। নির্ধারিত রুট বা স্টপেজের তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে তারা। 

ফলে যানজট আরও বাড়ছে। এ সমস্যা অবহেলা করলে নাগরিক দুর্ভোগ আরও বাড়বে, আর নগরজীবন হয়ে উঠবে আরও দুর্বিষহ। তাই পরিবহনব্যবস্থার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং জনজীবনের স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিধানে অবিলম্বে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]