
ইদানীং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্ষণের যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে যেকোনো বিবেকবান মানুষকে উদ্বিগ্ন করবে! মাত্র মাসখানেক আগে যে ছাত্রসমাজ দেশ থেকে স্বৈরাচার তাড়ানোর জন্য সফল গণ-আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, তারাই আজ আবার ধর্ষণের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে, যা একেবারেই কাম্য ছিল না! কিন্তু বাস্তবতা তাদের মাঠে নামতে বাধ্য করেছে! কেউ কতটা অমানুষ হলে এহেন ঘৃণ্য ঘটনা ঘটাতে পারে! এর মধ্যদিয়ে সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের চিত্র ফুটে ওঠে! বর্তমানে ধর্ষণ যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে অতীতে এমনটা দেখা যায়নি! তাই ধর্ষণের মতো সামাজিক অপরাধের অন্তর্নিহিত কারণগুলো আমাদের খুঁজে বের করে নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।
ধর্ষণ একটি সামাজিক অপরাধ! কোনো সভ্য সমাজেই ধর্ষণের মতো নিন্দনীয় কাজ সমর্থিত কিংবা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না! অন্তর্বর্তী সরকার নারী নির্যাতন, বিশেষ করে ধর্ষণের মতো অপরাধের বিচারব্যবস্থা সহজীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে আইন যত কঠোরই হোক না কেন সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে তা কাজে দেবে না। আইনকে সর্বদা তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। বিচারকার্য সম্পন্ন করতে অস্বাভাবিক কালক্ষেপণ করা যাবে না। কেননা, তাতে অপরাধীরা আইনের চোখে ধুলো দিয়ে বেরিয়ে যায়! কেবল আইনি সংস্কারের মাধ্যমে নারী নির্যাতন অথবা ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়! নারী নির্যাতন রোধে আইনের সঠিক বাস্তবায়নের পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। যেকোনো মূল্যেই ধর্ষণের মতো অপরাধের লাগাম টেনে ধরতে হবে!
আসিফ আল মাহমুদ
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২
[email protected]