
ছিনতাই নামক অরাজকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে দিনকে দিন। এটা একটা দেশের জন্য যেমন হুমকিস্বরূপ তেমনি জনগণের জন্য হতাশাজনক। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নির্ভর করে মূলত দেশের আইন, সমাজ আর নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। আমাদের দেশের সমাজ তাকিয়ে থাকে নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে আর সেই নিরাপত্তা বাহিনী অনুসরণ করে আইন। আর সেই আইনের ভেতর লুকিয়ে আছে অন্যায়কারীর জন্য হাজারো ফাঁকফোকড়। ফলে অন্যায়কারী নিশ্চিত জানে তার কোন পদক্ষেপে কী ধরনের ফল অপেক্ষা করছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দস্যুতার ঘটনা ঘটলে ৩৯২ ধারায়, দস্যুতার চেষ্টায় ৩৯৩ আর দস্যুতার সময় ছুরি বা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করলে ৩৯৪ ধারায় মামলা হয়। তবে চলতি পথে টান মেরে মোবাইল বা ব্যাগ ছিনিয়ে নিলে চুরির মামলা হয়। এমন ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর অনেক অপরাধী কিছুদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এদের জামিন পাওয়া এত সহজলভ্য যে, এরা ধরেই নিয়েছে পুলিশ ধরলে সমাধান আছে। এই সমস্যার অবশ্যই স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত। ছিনতাইকে ছোটখাটো অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলে এটি আরও ভয়ংকর রূপ নেবে। কারণ, ছোট অপরাধ থেকেই বড় অপরাধীর জন্ম হয়। তাই ছিনতাই প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সমাজ আর সেই সমাজের মানুষের জন্য যা ক্ষতিকর তার সংস্কার অতি জরুরি।
আব্দুল্লাহ আল সিফাত
বিবিএ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]