
রোজা শেখায় আমাদের আত্মসংযমী হতে, রোগমুক্ত শরীর গড়তে, তাছাড়া অনুগ্রহ, মনুষ্যত্ব, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের জ্ঞান ও বিবেক উপলব্ধির ঝরনা বর্ষিত হয় সত্যিকারের রোজাদার ব্যক্তির মধ্যে এবং যার সংস্পর্শে সমাজের সব বিকাশই পরিলক্ষিত হয় এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ ভীষণ খুশি হন। তাই বলা বাহুল্য, মনুষ্যত্বের বিকাশে রোজার গুরুত্ব সত্যিই অপরিসীম। সিয়াম বা রোজার আরেক নাম ‘আত্মসংযম’। যার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে সর্বস্তরে। রোজা পালনকারী ব্যক্তি কখনোই ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত বা অনাহারক্লিষ্ট ব্যক্তির সেবায় নিয়োজিত না হয়ে বা তাদের প্রতি অনুগ্রহ না করে থাকতে পারে না। সমাজের সব ধরনের অশ্লীলতা বা দ্বন্দ্ব-বিবাদ থেকে বিরত থেকে সমস্যায় জর্জরিত অবস্থায় কিংবা অসহায় কিংবা দুর্দশায় কিংবা দুরারোহ ব্যক্তির প্রতি বাড়িয়ে দেয় প্রত্যক্ষভাবে স্নেহ, ভালোবাসা ও সহযোগিতার হাত।
বৈজ্ঞানিক উপকারিতা এবং শারীরিক বা আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির কলতানে একত্রিত হয়ে আধুনিক সভ্যতায় এই আত্মসংযম শেখায় মানবতার সার্বিক উপলব্ধি, চেতনা, বিবেক ও মনুষ্যত্বের অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিভঙ্গি ও আত্মতুষ্টি। অবশেষে, আমাদের মনে রাখতে হবে, বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর কেবল সন্তুষ্টি অর্জন বা সর্বশক্তিমান আল্লাহকে খুশি করার জন্য একটি আবশ্যিক স্তম্ভ রোজা বা সিয়াম পালন করা হয়। আর এর জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজেই পুরস্কার দেন তার বান্দাদের। আবার রোজার মাসকে বলা হয় করুণা ও অনুগ্রহের মাস।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর
ঢাকা
[email protected]