
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ট্রানজিট যাত্রীসেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ উঠে আসছে, বিশেষত সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে আগত প্রবাসী যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি প্রবাসীরা, যারা রেমিট্যান্স প্রবাহের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কানেক্টিং ফ্লাইটের অপেক্ষায় রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়, যা অনেক সময় ১০-১২ ঘণ্টাও বিলম্ব হয়। এত দীর্ঘ সময় বিমানবন্দরে অবস্থানকালে তাদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সেবার ব্যবস্থা নেই, উপরন্তু কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার এবং অব্যবস্থাপনায় তারা তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। অভিযোগ রয়েছে, ট্রানজিট এরিয়ার সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারকালে তারা বাধার সম্মুখীন হন, যদিও তারা বৈধ যাত্রী। আপ্যায়নের নামে দেওয়া হয় সামান্য মুরগির মাংস, অর্ধসিদ্ধ পোলাও, সামান্য লবণ ও মসলা এবং ২৫০ মিলিলিটার পানির নিম্নমানের খাবার। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এতকিছুর পরও তারা বসে খাবার খাওয়ার জায়গাটুকু পর্যন্ত পেতে ব্যর্থ হয়, ফলে মেঝেতে বসে খাওয়া লাগে।
প্রবাসী কর্মীরা দেশের চালিকাশক্তি। তারা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছেন। তাদের প্রতি এরূপ অপমান, অবহেলা, অমানবিক আচরণ খুবই লজ্জাজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এই অব্যবস্থাপনা দূর করে সম্মানজনক ট্রানজিট সুবিধা নিশ্চিত করা, যাতে প্রবাসীরা নিজ দেশে যথাযথ সম্মান ও সেবা পান।
আল-ফারাবী ভূঁইয়া
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]