ঢাকা ১২ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

প্রবাসী যাত্রীদের প্রতি বিমান কর্তৃপক্ষের অবহেলা

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
প্রবাসী যাত্রীদের প্রতি বিমান কর্তৃপক্ষের অবহেলা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ট্রানজিট যাত্রীসেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ উঠে আসছে, বিশেষত সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে আগত প্রবাসী যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি প্রবাসীরা, যারা রেমিট্যান্স প্রবাহের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কানেক্টিং ফ্লাইটের অপেক্ষায় রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাঁচ থেকে আট ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়, যা অনেক সময় ১০-১২ ঘণ্টাও বিলম্ব হয়। এত দীর্ঘ সময় বিমানবন্দরে অবস্থানকালে তাদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সেবার ব্যবস্থা নেই, উপরন্তু কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার এবং অব্যবস্থাপনায় তারা তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। অভিযোগ রয়েছে, ট্রানজিট এরিয়ার সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারকালে তারা বাধার সম্মুখীন হন, যদিও তারা বৈধ যাত্রী। আপ্যায়নের নামে দেওয়া হয় সামান্য মুরগির মাংস, অর্ধসিদ্ধ পোলাও, সামান্য লবণ ও মসলা এবং ২৫০ মিলিলিটার পানির নিম্নমানের খাবার। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এতকিছুর পরও তারা বসে খাবার খাওয়ার জায়গাটুকু পর্যন্ত পেতে ব্যর্থ হয়, ফলে মেঝেতে বসে খাওয়া লাগে। 

প্রবাসী কর্মীরা দেশের চালিকাশক্তি। তারা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখছেন। তাদের প্রতি এরূপ অপমান, অবহেলা, অমানবিক আচরণ খুবই লজ্জাজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এই অব্যবস্থাপনা দূর করে সম্মানজনক ট্রানজিট সুবিধা নিশ্চিত করা, যাতে প্রবাসীরা নিজ দেশে যথাযথ সম্মান ও সেবা পান।

আল-ফারাবী ভূঁইয়া
হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

 

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করুন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করুন

রাজধানী ঢাকা এমনিতেই যানজটের শহর। এর মধ্যেই নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। নিয়ম না মেনে, অনুমতি ছাড়াই এই যানবাহনগুলো শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারণত এ অটোরিকশাগুলোর কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। চালকদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। বেশির ভাগই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। তারা ট্রাফিক সিগনাল মানেন না, চালান বেপরোয়া গতিতে। হঠাৎ থামা, হঠাৎ বাঁক নেওয়া এসবই নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এতে করে রাস্তায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী রাজধানীতে এ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমতি নেই। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে এদের চলাচল চলছে নির্বিঘ্নে। এতে করে বৈধ যানবাহনচালকদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ ও আশঙ্কা। সাধারণ মানুষও পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। এ ছাড়া এ যানবাহনগুলো নগরের যাতায়াতব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। নির্ধারিত রুট বা স্টপেজের তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে তারা। 

ফলে যানজট আরও বাড়ছে। এ সমস্যা অবহেলা করলে নাগরিক দুর্ভোগ আরও বাড়বে, আর নগরজীবন হয়ে উঠবে আরও দুর্বিষহ। তাই পরিবহনব্যবস্থার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং জনজীবনের স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিধানে অবিলম্বে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]

বজ্রঝড়ে হাওরের কৃষকদের প্রাণহানি বাড়ছে

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
বজ্রঝড়ে হাওরের কৃষকদের প্রাণহানি বাড়ছে

এখন হাওরে ব্যাপকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। হাওরের ধানের মাঠগুলো সোনালি পাকা ধানে ঝলমল করলেও বজ্রঝড়ের শঙ্কায় কৃষকরা তা কাটতে মাঠে যেতে পারছেন না। নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ীতে একসঙ্গে তিনজন কৃষক বজ্রঝড়ে মারা যাওয়ায় তাদের ভয় এবং শঙ্কা আরও বেড়েছে। কৃষকদের মনে একদিকে বজ্রঝড় আতঙ্ক অপরদিকে পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা বিরাজ করায় তারা তাদের মাঠের ধান নিয়ে মহাভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। 

দেশে ইতোমধ্যে ৩০ জনের মতো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বেশি হতাহত হচ্ছে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং সুনামগঞ্জ হাওরাঞ্চলের কৃষক। বজ্রপাতে মৃত্যুর ৭০ ভাগই কৃষক। তার পর রয়েছে জেলে এবং রাখাল। পথচারী এবং ছাত্রছাত্রীরাও এখন বজ্রপাতের ভয়াবহ শিকার হচ্ছে। কৃষকদের ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তাদের জমিতে কাজ করতে হয়। কৃষিজমির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কোনো ধরনের বসতি না থাকায় তারা মূলত বজ্রঝড়ের সময় সম্পূর্ণ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। এ সময় আশপাশে বড় বড় গাছই হলো তাদের আশ্রয়। সচেতনতার অভাবেই তারা বজ্রপাতের শিকার হচ্ছেন। অপরদিকে গরু চড়াতে গিয়ে রাখালরাও এ ভয়াবহতার মুখোমুখি হচ্ছেন। স্কুলফেরত অনেক ছাত্রছাত্রীও প্রাণ হারাচ্ছে বজ্রঝড়ে।

বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার সে তাপ শোষণ করার মতো প্রচুর গাছপালা, নদী, খালবিলও নেই। প্রতিনিয়তই নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। খালবিল ড্রেজার দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। তাই তাপপ্রবাহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধরণী বসবাসের অনুপযোগী করে তুলছি আমরা। এতে ভয়াবহ বজ্রঝড়ের মহাবিপর্যয় তৈরি হচ্ছে। এটা আমাদের হাওরবাসীর মরণ ডেকে আনছে।

অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

লোকাল বাসে যাত্রীদের হেনস্তা কবে বন্ধ হবে?

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
লোকাল বাসে যাত্রীদের হেনস্তা কবে বন্ধ হবে?

যারা প্রথম ঢাকায় আসেন তাদের কাছে ঢাকা শহরের রাজপথগুলো রূপকথার গোলকধাঁধার মতো মনে হয়। প্রতিদিনই ঢাকা শহরে নতুন নতুন মানুষের পা পড়ে। তার পর একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যে কম খরচে অনেক দূর যেতে উঠে পড়েন ঢাকা শহরের নিত্যদিনের ব্যস্তময় চেহারার কাঙ্ক্ষিত সেই লোকাল বাসে। তো নতুন অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে নিয়ে কেউ ম্যানিব্যাগ এবং ফোন পকেটমারের কাছে সহজেই হারিয়ে ফেলে হতাশ হয়ে যান। বাসের হেলপার যখন এসব নতুন যাত্রীকে এক জায়গায় নামানোর নাম করে আরেক জায়গায় নামান তখন তারা আরও বেশি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন। প্রতিটি স্টপেজে বাস থামানোর আগে যাত্রীরা নামবে কি না তা আগে জিজ্ঞেস করতে হবে। তারা তা না করে নতুন করে যাত্রী তোলার জন্য বেশি হন্তদন্ত হয়ে পড়ে। 

এতে অসহায় লোকগুলো বুঝতে না পেরে বাস থেকে নামতে পারে না। তখন তাদের সঠিক গন্তব্যের চাইতে আগে কিংবা অনেক পরে নামতে হয়। তার পর সেই ভুল স্টপেজ থেকে আবারও তাদের সঠিক গন্তব্যে যেতে অনেক বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই লোকাল বাসের হেলপারদের সচেতন করতে হবে। ঢাকা শহরের লোকাল বাস মালিক সমিতিগুলোর উচিত যাত্রীদের এই প্রয়োজনীয় সেবাটি দিয়ে তাদের যাত্রার নিরাপত্তা ও জানমালের সুরক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি হেলপারদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। প্রায়শই তারা অসহায় যাত্রীদের হেনস্তা করে, নারীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে। বাসের ভেতর প্রতিনিয়ত এসব অসৎ ও অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতি পুলিশ-প্রশাসনের তদারকি জোরদারের দাবি জানাচ্ছি। 

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয় 
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ
[email protected]

 

ই-বর্জ্যের ঝুঁকি!

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
ই-বর্জ্যের ঝুঁকি!

প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ই-বর্জ্য! প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দরুন দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের ফলে ই-বর্জ্য বিশ্বব্যাপী আজ ক্রমবর্ধমান একটি উদ্বেগ! এটি স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার জন্যও দায়ী! এই শ্রেণির বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, প্রিন্টার, টেলিভিশন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট। 
ই-বর্জ্যে সীসা, পারদের মতো ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতির কারণে এটি পরিবেশগত হুমকি সৃষ্টি করে! এবং এতে করে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বায়ু ও পানি দূষিত হয়! 

ই-বর্জ্যে বিপজ্জনক পদার্থ থাকে, যা পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে! ই-বর্জ্য কমিয়ে আনতে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। বেশির ভাগ মানুষই জানে না ই-বর্জ্য বলতে কী বোঝায়? এটি কীভাবে আমাদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে? এজন্য ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর দিকগুলো গণমাধ্যমে বেশি করে প্রচার করতে হবে। আর এই প্রচারণার কাজে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে সামাজিক মাধ্যমগুলো। এ ছাড়া সরকারের সার্বিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। সঠিক নীতির অভাব, প্রশাসনের উদাসীনতা আর সর্বোপরি ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে এর ঝুঁকি! 

আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected] 

পেঁয়াজের বাজারে কারসাজি বন্ধ করুন

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪১ এএম
পেঁয়াজের বাজারে কারসাজি বন্ধ করুন

দেশের পেঁয়াজের বাজারে যে ভয়াবহ কারসাজি কিংবা সিন্ডিকেট চলছে তা আর নিছক বাজারের সমস্যা নয়, এটা এখন সরাসরি অর্থনৈতিক শোষণে রূপান্তরিত হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে উৎপাদনের মৌসুমে কৃষককে ঠকানো এবং সংকটের সময় ভোক্তার কাছ থেকে চরম মূল্য আদায়ের এই ‘সিন্ডিকেট’ চক্র এখন এক ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। উৎপাদক কৃষক ন্যায্য দাম পায় না, অথচ ভোক্তা বাজারে দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে পেঁয়াজ কিনে প্রতিদিনের রান্না চালাতে হিমশিম খায়। মাঝখানে লাভবান হয় কিছু অসাধু চক্র।

 পেঁয়াজ এমন একটি কৃষিপণ্য, যার মৌসুমি উৎপাদন এবং সংরক্ষণের সীমাবদ্ধতা বাজারে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু  মহাজন পরিকল্পিতভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। আমদানির নামে বিলম্ব, গোডাউনে পচিয়ে ফেলা কিংবা হঠাৎ করে বাজার থেকে উধাও করে দেওয়ার মতো কৌশল ব্যবহার করেই ভোক্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। অথচ এই বাজারে সুষ্ঠু নজরদারি ও পরিকল্পিত বিপণনব্যবস্থা থাকলে কৃষক যেমন ন্যায্যমূল্য পেত, তেমনি ভোক্তাও ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি পেত। তাই কৃষক এবং ভোক্তা উভয়েরই স্বার্থ রক্ষায় এবং বাজারে স্বস্তি আনতে এসব অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্য বন্ধ এবং এদের যথাযথ আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ 
ইডেন মহিলা কলেজ