ঢাকা ১২ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

ঈদের বাজারে পকেটমার থেকে সাবধান

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
ঈদের বাজারে পকেটমার থেকে সাবধান

ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার ঢল পড়ে রমজান মাসের শুরু থেকেই। ছোট থেকে বড় সবাই যায় বাজার ও মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা করতে। বহু মানুষের ভিড়ে লুকিয়ে থাকে পকেটমাররাও। কেনাকাটার জন্য ক্রেতারা বেশ মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েই মার্কেট যায়। আর পকেটমাররা যায় মানুষের সেই টাকা চুরি করতে। ঈদের বাজারগুলোতে একটা সাধারণ বিষয় হলো রোজই কারও না কারও টাকা হারায়। আনন্দ কেনার জন্য বাজারে বা মার্কেটে গেলেও ফিরতে হয় মন খারাপ নিয়ে। ভদ্রবেশী চেহারা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় পকেটমাররা। দেখে তাদের চেনার উপায় থাকে না। কথার জালে ফাঁসিয়ে আবার কখনো বুঝে ওঠার সুযোগ না দিয়েই চুরি করে নেয় মানুষের টাকা।

 তাই ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বাজার ও মার্কেটগুলোতে গেলে অবশ্যই সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। নিজ নিজ টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন, জিনিসপত্র, বাচ্চা নিজ আয়ত্তে রেখে কেনাকাটা করতে হবে। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে সবাই যেহেতু কেনাকাটা করতে যায়, তাই বাজারগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ভিড় জমে। কেনাকাটা করতে গেলে খুব দামি জিনিসপত্র না পরে যাওয়াই ভালো। কারণ পকেটমারের নজর দামি জিনিসপত্রের ওপরেই বেশি পড়ে। একটু অসাবধানতার কারণে ঈদের আনন্দটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পরিবারের সদস্যদের নতুন পোশাক, জিনিসপত্র আর কেনা নাও হতে পারে। তাই সবার উচিত ঈদের বাজার বা মার্কেটগুলোতে সাবধানতা অবলম্বন করা। সেই সঙ্গে সন্দেহজনক কাউকে দেখলে বিশৃঙ্খলা না করে সবাই মিলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা।

মোসা. তামিম তুলি 
শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ 
[email protected]

ভয়ংকর সুন্দর!

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
ভয়ংকর সুন্দর!

সুন্দরী রমণীর খুদে বার্তা কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে একটা ভিডিও কল! কী বলতে চায় সে? তেমন কিছুই নয়, নিছক বন্ধুত্বের আহ্বান! সে আপনার বন্ধু হতে চায়! ব্যস, মনটা খুশিতে লাফিয়ে উঠল! হয়তো ভাবছেন, এমনই তো চেয়েছিলাম! মনে মনে হয়তো ওই মেয়েকে বিয়ের স্বপ্নও দেখা শুরু করে দিয়েছেন! কিন্তু এই সুন্দরের মাঝেও যে ভয়ংকর লুকিয়ে থাকতে পারে সে চিন্তাই আপনার মাথায় আসছে না! হতেও তো পারে, সে আপনাকে কোনো বিপদে ফেলতে চাইছে! এই সর্বনাশা ফাঁদে পড়ে আপনি হয়তো খোয়াতে পারেন অর্থ-সম্পদ! নতুবা আরও মূল্যবান কিছু, আপনার সম্মান! কী ভীতিপ্রদ ব্যাপার, তাই না! 
ইদানীং পত্রপত্রিকা আর নেট দুনিয়ায় ‘হানি ট্র্যাপ’ বা মধু ফাঁদের কথা নিশ্চয়ই শোনা হয়েছে।

 কেউ কেউ একে ‘প্রেম বা ভালোবাসার ফাঁদ’ বলেও অভিহিত করছেন! আসলে এসব কিচ্ছু নয়, স্রেফ প্রতারণা! মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক কিংবা সরকারি গোয়েন্দা কর্মকর্তা কেউই বাদ যাচ্ছেন না এর থেকে! ধূর্ত একটা চক্র বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিল করতে এই ফাঁদ পেতে থাকে! কাউকে ‘টার্গেট’ হিসেবে ঠিক করার পর, এরা কোনো লাস্যময়ী ললনাকে লেলিয়ে দেয় তার পেছনে! প্রথমে কেবল বন্ধুত্বের কথা বললেও, ক্রমেই তা রূপ নেয় প্রেম আর কখনোবা যৌন সম্পর্কে! এমনকি ব্ল্যাকমেল করে সেই ভুক্তভোগীকে বিকৃত যৌনাচারেও বাধ্য করা হয়! গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো ব্যাপার! শুনেই শরীরের রোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে! এর থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। চোখ-কান খোলা রেখে চলতে হবে! 


আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected]

নতুন দলের ঢল

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
নতুন দলের ঢল

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে একাধিক নতুন রাজনৈতিক দল। এদের মধ্যে রয়েছে ‘ভূমিহীন পার্টি’, ‘কৃষক শ্রমিক পার্টি’, ‘বেকার সমাজ’, ‘ইত্যাদি পার্টি’, ‘বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি’, ‘বাংলাদেশ শান্তির দল’, ‘মুশকিল লীগ’ ও ‘নাকফুল বাংলাদেশ’। নামগুলোর মধ্যে যেমন রয়েছে সৃজনশীলতা, তেমনি প্রতিফলিত হয়েছে বিশেষ শ্রেণি বা জনসমস্যার প্রতিনিধিত্বের চেষ্টা।

‘ভূমিহীন পার্টি’ ভূমিহীন মানুষের অধিকার আদায়ে এগিয়ে আসতে চায়। ‘বেকার সমাজ’ তরুণ বেকারদের দাবিকে সামনে রেখে গঠিত। ‘কৃষক শ্রমিক পার্টি’ কৃষক-শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চায়। অন্যদিকে ‘মুশকিল লীগ’ ও ‘নাকফুল বাংলাদেশ’-এর মতো নামগুলো নিয়ে জনমনে কৌতূহল যেমন বেড়েছে, তেমনি প্রশ্নও উঠেছে তাদের রাজনৈতিক দর্শন ও লক্ষ্য নিয়ে।

এই নতুন দলগুলো দেশের রাজনীতিতে মতের বৈচিত্র্য এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রকে উৎসাহিত করতে পারে। তবে বাস্তব রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন সংগঠিত কাঠামো, সুস্পষ্ট নীতি ও জনসমর্থন। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেলে তারা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা সময়ই বলবে।

মোহাম্মদ ইয়ামিন খান
ফরিদপুর
[email protected]

 

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করুন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করুন

রাজধানী ঢাকা এমনিতেই যানজটের শহর। এর মধ্যেই নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। নিয়ম না মেনে, অনুমতি ছাড়াই এই যানবাহনগুলো শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারণত এ অটোরিকশাগুলোর কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। চালকদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। বেশির ভাগই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। তারা ট্রাফিক সিগনাল মানেন না, চালান বেপরোয়া গতিতে। হঠাৎ থামা, হঠাৎ বাঁক নেওয়া এসবই নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এতে করে রাস্তায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী রাজধানীতে এ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমতি নেই। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে এদের চলাচল চলছে নির্বিঘ্নে। এতে করে বৈধ যানবাহনচালকদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ ও আশঙ্কা। সাধারণ মানুষও পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। এ ছাড়া এ যানবাহনগুলো নগরের যাতায়াতব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। নির্ধারিত রুট বা স্টপেজের তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে তারা। 

ফলে যানজট আরও বাড়ছে। এ সমস্যা অবহেলা করলে নাগরিক দুর্ভোগ আরও বাড়বে, আর নগরজীবন হয়ে উঠবে আরও দুর্বিষহ। তাই পরিবহনব্যবস্থার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং জনজীবনের স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিধানে অবিলম্বে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]

বজ্রঝড়ে হাওরের কৃষকদের প্রাণহানি বাড়ছে

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
বজ্রঝড়ে হাওরের কৃষকদের প্রাণহানি বাড়ছে

এখন হাওরে ব্যাপকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। হাওরের ধানের মাঠগুলো সোনালি পাকা ধানে ঝলমল করলেও বজ্রঝড়ের শঙ্কায় কৃষকরা তা কাটতে মাঠে যেতে পারছেন না। নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ীতে একসঙ্গে তিনজন কৃষক বজ্রঝড়ে মারা যাওয়ায় তাদের ভয় এবং শঙ্কা আরও বেড়েছে। কৃষকদের মনে একদিকে বজ্রঝড় আতঙ্ক অপরদিকে পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা বিরাজ করায় তারা তাদের মাঠের ধান নিয়ে মহাভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। 

দেশে ইতোমধ্যে ৩০ জনের মতো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বেশি হতাহত হচ্ছে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং সুনামগঞ্জ হাওরাঞ্চলের কৃষক। বজ্রপাতে মৃত্যুর ৭০ ভাগই কৃষক। তার পর রয়েছে জেলে এবং রাখাল। পথচারী এবং ছাত্রছাত্রীরাও এখন বজ্রপাতের ভয়াবহ শিকার হচ্ছে। কৃষকদের ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তাদের জমিতে কাজ করতে হয়। কৃষিজমির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কোনো ধরনের বসতি না থাকায় তারা মূলত বজ্রঝড়ের সময় সম্পূর্ণ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। এ সময় আশপাশে বড় বড় গাছই হলো তাদের আশ্রয়। সচেতনতার অভাবেই তারা বজ্রপাতের শিকার হচ্ছেন। অপরদিকে গরু চড়াতে গিয়ে রাখালরাও এ ভয়াবহতার মুখোমুখি হচ্ছেন। স্কুলফেরত অনেক ছাত্রছাত্রীও প্রাণ হারাচ্ছে বজ্রঝড়ে।

বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার সে তাপ শোষণ করার মতো প্রচুর গাছপালা, নদী, খালবিলও নেই। প্রতিনিয়তই নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। খালবিল ড্রেজার দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। তাই তাপপ্রবাহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধরণী বসবাসের অনুপযোগী করে তুলছি আমরা। এতে ভয়াবহ বজ্রঝড়ের মহাবিপর্যয় তৈরি হচ্ছে। এটা আমাদের হাওরবাসীর মরণ ডেকে আনছে।

অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

লোকাল বাসে যাত্রীদের হেনস্তা কবে বন্ধ হবে?

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
লোকাল বাসে যাত্রীদের হেনস্তা কবে বন্ধ হবে?

যারা প্রথম ঢাকায় আসেন তাদের কাছে ঢাকা শহরের রাজপথগুলো রূপকথার গোলকধাঁধার মতো মনে হয়। প্রতিদিনই ঢাকা শহরে নতুন নতুন মানুষের পা পড়ে। তার পর একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যে কম খরচে অনেক দূর যেতে উঠে পড়েন ঢাকা শহরের নিত্যদিনের ব্যস্তময় চেহারার কাঙ্ক্ষিত সেই লোকাল বাসে। তো নতুন অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে নিয়ে কেউ ম্যানিব্যাগ এবং ফোন পকেটমারের কাছে সহজেই হারিয়ে ফেলে হতাশ হয়ে যান। বাসের হেলপার যখন এসব নতুন যাত্রীকে এক জায়গায় নামানোর নাম করে আরেক জায়গায় নামান তখন তারা আরও বেশি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন। প্রতিটি স্টপেজে বাস থামানোর আগে যাত্রীরা নামবে কি না তা আগে জিজ্ঞেস করতে হবে। তারা তা না করে নতুন করে যাত্রী তোলার জন্য বেশি হন্তদন্ত হয়ে পড়ে। 

এতে অসহায় লোকগুলো বুঝতে না পেরে বাস থেকে নামতে পারে না। তখন তাদের সঠিক গন্তব্যের চাইতে আগে কিংবা অনেক পরে নামতে হয়। তার পর সেই ভুল স্টপেজ থেকে আবারও তাদের সঠিক গন্তব্যে যেতে অনেক বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই লোকাল বাসের হেলপারদের সচেতন করতে হবে। ঢাকা শহরের লোকাল বাস মালিক সমিতিগুলোর উচিত যাত্রীদের এই প্রয়োজনীয় সেবাটি দিয়ে তাদের যাত্রার নিরাপত্তা ও জানমালের সুরক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি হেলপারদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। প্রায়শই তারা অসহায় যাত্রীদের হেনস্তা করে, নারীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে। বাসের ভেতর প্রতিনিয়ত এসব অসৎ ও অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতি পুলিশ-প্রশাসনের তদারকি জোরদারের দাবি জানাচ্ছি। 

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয় 
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ
[email protected]