
বিখ্যাত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক তরুণদের বেশি করে বই পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতো আরও অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তিই যুবসমাজকে একই উপদেশ দিয়েছেন। আর এই ব্যাপারে দ্বিমত পোষণের কোনো সুযোগ নেই।
জ্ঞান আহরণে পাঠাভ্যাসের আদৌ কোনো বিকল্প নেই। রুশ সাহিত্য সম্রাট লিও টলস্টয়ের ভাষায়, ‘জীবনে তিনটি জিনিস প্রয়োজন- বই, বই এবং বই’। তার এই কথা থেকে পুস্তক পাঠের গুরুত্ব বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘বই কেনা’ প্রবন্ধে আমাদের দেশের মানুষের বই পড়ার প্রতি অনাগ্রহের বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যারা রাজনীতি চর্চা করেন, নিয়মিত বই পড়া তাদের জন্য অপরিহার্য। অতীতে রাজনৈতিক দলগুলোতে নিয়মিত পাঠচক্র আয়োজনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চারও রেওয়াজ ছিল।
বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক কর্মীদের অধিকাংশই দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের বক্তৃতা-ভাষণে যেটুকু শোনেন, সেটুকুই তাদের সম্বল, জ্ঞানের পরিধি। অনেকেই মনঃক্ষুণ্ণ হতে পারেন, তবে প্রকৃত সত্যিটা হলো, এখনকার তরুণদের অনেকেই আসলে মুখস্থ রাজনীতি করেন। তাদের অনেকেরই জ্ঞানচর্চার দিকে তেমন মনোযোগ নেই, বরং ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে তারা ছুটছে মরীচিকার পেছনে। জ্ঞান কিংবা বুদ্ধি বিকাশের প্রচেষ্টা না করে তারা দিব্যি ব্যস্ত পদপদবি হাসিল করতে। সব চিন্তাচেতনা বিসর্জন দিয়ে তারা বেপরোয়াভাবে পেশিশক্তি প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনপ্রত্যাশা ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে।
আসিফ আল মাহমুদ
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২
[email protected]