ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

পর্যটন নগর শ্রীমঙ্গল এখন জটের নগরী

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
পর্যটন নগর শ্রীমঙ্গল এখন জটের নগরী

বাংলাদেশের চা-কন্যা হিসেবে খ্যাত শ্রীমঙ্গল একসময় ছিল নিরিবিলি ও নয়নাভিরাম পর্যটন নগরী। চা বাগানের সবুজ স্নিগ্ধতা, লাউয়াছড়ার অপার সৌন্দর্য এবং সাতরঙা চায়ের জন্য বিখ্যাত এই শহর আজ ভয়াবহ যানজট ও অব্যবস্থাপনার কবলে। একসময়ের প্রশান্তির শহর শ্রীমঙ্গলের রাস্তাগুলো এখন অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল, অপরিকল্পিত বাজার সম্প্রসারণ, অবৈধ পার্কিং ও অব্যবস্থাপনার কারণে এক বিভীষিকাময় জটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শহরের প্রধান সড়ক ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোর প্রবেশপথে গাড়ির দীর্ঘ সারি, হকারদের দখলদারি এবং অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে চলাচল দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল মহাসড়ক, ভানুগাছ রোড, হবিগঞ্জ রোড ও কলেজ রোডে যানজট নিত্যদিনের বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় নেই কোনো আধুনিক পরিকল্পনা। প্রয়োজনীয় ট্রাফিক সিগন্যাল, পার্কিং স্পেস এবং পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীদের সড়কে নেমে হাঁটতে হচ্ছে, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। একসময় পর্যটকরা শ্রীমঙ্গলের প্রশান্ত পরিবেশে এসে স্বস্তি পেতেন কিন্তু বর্তমানে যানজট ও বিশৃঙ্খলার কারণে ভ্রমণের আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে। ফলে পর্যটন শিল্পও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এখানকার যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। তাই শ্রীমঙ্গলের যানজট সমস্যা সমাধানের জন্য শ্রীমঙ্গল পৌরসভা, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ 
[email protected]

লোকাল বাসে যাত্রীদের হেনস্তা কবে বন্ধ হবে?

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
লোকাল বাসে যাত্রীদের হেনস্তা কবে বন্ধ হবে?

যারা প্রথম ঢাকায় আসেন তাদের কাছে ঢাকা শহরের রাজপথগুলো রূপকথার গোলকধাঁধার মতো মনে হয়। প্রতিদিনই ঢাকা শহরে নতুন নতুন মানুষের পা পড়ে। তার পর একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যে কম খরচে অনেক দূর যেতে উঠে পড়েন ঢাকা শহরের নিত্যদিনের ব্যস্তময় চেহারার কাঙ্ক্ষিত সেই লোকাল বাসে। তো নতুন অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে নিয়ে কেউ ম্যানিব্যাগ এবং ফোন পকেটমারের কাছে সহজেই হারিয়ে ফেলে হতাশ হয়ে যান। বাসের হেলপার যখন এসব নতুন যাত্রীকে এক জায়গায় নামানোর নাম করে আরেক জায়গায় নামান তখন তারা আরও বেশি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন। প্রতিটি স্টপেজে বাস থামানোর আগে যাত্রীরা নামবে কি না তা আগে জিজ্ঞেস করতে হবে। তারা তা না করে নতুন করে যাত্রী তোলার জন্য বেশি হন্তদন্ত হয়ে পড়ে। 

এতে অসহায় লোকগুলো বুঝতে না পেরে বাস থেকে নামতে পারে না। তখন তাদের সঠিক গন্তব্যের চাইতে আগে কিংবা অনেক পরে নামতে হয়। তার পর সেই ভুল স্টপেজ থেকে আবারও তাদের সঠিক গন্তব্যে যেতে অনেক বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই লোকাল বাসের হেলপারদের সচেতন করতে হবে। ঢাকা শহরের লোকাল বাস মালিক সমিতিগুলোর উচিত যাত্রীদের এই প্রয়োজনীয় সেবাটি দিয়ে তাদের যাত্রার নিরাপত্তা ও জানমালের সুরক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতি হেলপারদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। প্রায়শই তারা অসহায় যাত্রীদের হেনস্তা করে, নারীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে। বাসের ভেতর প্রতিনিয়ত এসব অসৎ ও অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতি পুলিশ-প্রশাসনের তদারকি জোরদারের দাবি জানাচ্ছি। 

ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয় 
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ
[email protected]

 

ই-বর্জ্যের ঝুঁকি!

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
ই-বর্জ্যের ঝুঁকি!

প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ই-বর্জ্য! প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দরুন দৈনন্দিন জীবনের নানা ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের ফলে ই-বর্জ্য বিশ্বব্যাপী আজ ক্রমবর্ধমান একটি উদ্বেগ! এটি স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার জন্যও দায়ী! এই শ্রেণির বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, প্রিন্টার, টেলিভিশন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট। 
ই-বর্জ্যে সীসা, পারদের মতো ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতির কারণে এটি পরিবেশগত হুমকি সৃষ্টি করে! এবং এতে করে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বায়ু ও পানি দূষিত হয়! 

ই-বর্জ্যে বিপজ্জনক পদার্থ থাকে, যা পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে! ই-বর্জ্য কমিয়ে আনতে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে। বেশির ভাগ মানুষই জানে না ই-বর্জ্য বলতে কী বোঝায়? এটি কীভাবে আমাদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে? এজন্য ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর দিকগুলো গণমাধ্যমে বেশি করে প্রচার করতে হবে। আর এই প্রচারণার কাজে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে সামাজিক মাধ্যমগুলো। এ ছাড়া সরকারের সার্বিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। সঠিক নীতির অভাব, প্রশাসনের উদাসীনতা আর সর্বোপরি ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে এর ঝুঁকি! 

আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected] 

পেঁয়াজের বাজারে কারসাজি বন্ধ করুন

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪১ এএম
পেঁয়াজের বাজারে কারসাজি বন্ধ করুন

দেশের পেঁয়াজের বাজারে যে ভয়াবহ কারসাজি কিংবা সিন্ডিকেট চলছে তা আর নিছক বাজারের সমস্যা নয়, এটা এখন সরাসরি অর্থনৈতিক শোষণে রূপান্তরিত হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে উৎপাদনের মৌসুমে কৃষককে ঠকানো এবং সংকটের সময় ভোক্তার কাছ থেকে চরম মূল্য আদায়ের এই ‘সিন্ডিকেট’ চক্র এখন এক ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। উৎপাদক কৃষক ন্যায্য দাম পায় না, অথচ ভোক্তা বাজারে দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে পেঁয়াজ কিনে প্রতিদিনের রান্না চালাতে হিমশিম খায়। মাঝখানে লাভবান হয় কিছু অসাধু চক্র।

 পেঁয়াজ এমন একটি কৃষিপণ্য, যার মৌসুমি উৎপাদন এবং সংরক্ষণের সীমাবদ্ধতা বাজারে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু  মহাজন পরিকল্পিতভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। আমদানির নামে বিলম্ব, গোডাউনে পচিয়ে ফেলা কিংবা হঠাৎ করে বাজার থেকে উধাও করে দেওয়ার মতো কৌশল ব্যবহার করেই ভোক্তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। অথচ এই বাজারে সুষ্ঠু নজরদারি ও পরিকল্পিত বিপণনব্যবস্থা থাকলে কৃষক যেমন ন্যায্যমূল্য পেত, তেমনি ভোক্তাও ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি পেত। তাই কৃষক এবং ভোক্তা উভয়েরই স্বার্থ রক্ষায় এবং বাজারে স্বস্তি আনতে এসব অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্য বন্ধ এবং এদের যথাযথ আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


প্রজ্ঞা দাস 
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ 
ইডেন মহিলা কলেজ

চাঁদাবাজিমুক্ত বাংলাদেশ চাই

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
চাঁদাবাজিমুক্ত বাংলাদেশ চাই

বর্তমানে চাঁদাবাজি সাধারণ মানুষের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির উল্লেখযোগ্য ঘটনা। অথচ প্রশাসন যেন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দিনে-দুপুরে বেপরোয়াভাবে বাস, রাস্তা এবং দোকানগুলো থেকে চাঁদা আদায় করছে। এমনকি চাঁদা দিতে দেরি হলে বা অপারগতা প্রকাশ করলে ভীতি প্রদর্শন, হুমকি এবং শারীরিক শক্তি ব্যবহার করেও আদায় করছে। কারা চালায় চাঁদাবাজির এই অন্ধকার জগৎ? কোথায় তাদের উৎস?

তাই স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও কঠোর হতে হবে এবং চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সাধারণ মানুষকে নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। নীরব দর্শকের ভূমিকা ছেড়ে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় সময়ের দাবি।

মোছা. জেসিয়া তাবাসসুম জাহিন
ইংরেজি ভাষা বিভাগ, আইএমএল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোয় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কাজের জন্য কিংবা দৈনন্দিন প্রয়োজনে বাইরে চলাচল করে। কিন্তু তাদের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারীরা, শিশু ও বয়স্করা ভোগান্তির শিকার হন। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন বাড়ির বাইরে কর্মরত নারীরা।

রাজধানীসহ বড় বড় শহরগুলোয় হাতে গোনা পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সীমিত। তার পরও এর ভেতরে অধিকাংশের অবস্থায় অত্যন্ত খারাপ। অযত্ন-অবহেলায় ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নোংরা ও ব্যবহারের অনুপযোগী সেগুলো। একটি উন্নত ও সুস্থ নগর জীবনের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই অতিসত্বর এ সমস্যা নিরসনে সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজ