
আমাদের দেশে ধর্মের চেয়ে ধর্মান্ধতা বেশি! ওপরওয়ালা কী বলেছেন, রাসুল কী
বলেছেন- তা নিয়ে অনেকেরই বিশেষ মাথাব্যথা নেই! বরং তারা সর্বদা আগ্রহী থাকেন, অমুক হুজুর কী বলেছেন, আলেমসমাজ কী বলে সেটা জানতে! অনেকে তো আবার এত বিশ্বাস করেন বা মানেন যে, হুজুরের কথাই ওই ব্যক্তির কাছে শেষ কথা! তার নিজের যত দুঃখ-কষ্ট, চাওয়া সব তিনি ওপরওয়ালাকে নিবেদন করেন হুজুরের মারফতে! যেন ওই ব্যক্তি ধরেই নিয়েছেন যে সৃষ্টিকর্তা তার আবেদন গ্রাহ্য করবেন না! এমনকি নিজের সন্তানের ভালো চেয়ে দোয়া করার বেলাতেও তিনি নিজে স্রষ্টার কাছে না চেয়ে, হুজুরের ওপরই নির্ভর করেন বেশি! ভারি অদ্ভুত!
আমরা সবাই তো চাই সৃষ্টিকর্তাকে পেতে! তাহলে কেন তাকে পাওয়ার জন্য নিজেদের ওপর আস্থা না রেখে, অন্য কারও দ্বারস্থ হই! কোরআনের অর্থ বুঝে ইসলামের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোকে জীবনে অন্তর্ভুক্ত করে আমরা নিজেরাই তো ওপরওয়ালার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারি! কে বলতে পারে, আমরা নিজেরা স্রষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা না করে, অন্য পক্ষকে ব্যবহার করছি বলেই হয়তো উপরওয়ালা রুষ্ট হয়ে আমাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না! ইসলাম সম্পর্কে জানতে আমরা অবশ্যই আলেমদের কথা শুনব, তবে ধর্মপ্রাণ হতে গিয়ে ‘ধর্মান্ধ’ হওয়া নিশ্চয়ই উচিত নয়।
ইসলাম মোটেও জটিল নয়। এমনকি কোনো ধর্মই আদতে হয়তো জটিল-কঠিন নয়। জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন মতাবলম্বীদের মতপার্থক্যের কারণে। নামাজ, রোজা,
হজ-ওমরাহ, জাকাত-ফিতরা, ওয়াজ মাহফিল- কেবল এসবের মধ্যে খুঁজে বেড়ালে ইসলামের সুবিশাল যে পরিসর আছে তা আমাদের অগোচরেই রয়ে যাবে!
আসিফ আল মাহমুদ
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২
[email protected]