
সম্প্রতি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চালের দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মিনিকেটের দাম বাড়তি থাকায় সরু চাল নাজির-শাইলের দামও কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বাড়তি। আর মোটা চালের দাম বেড়েছে এক থেকে ২ টাকা পর্যন্ত। ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের ভোক্তাদের। চালের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য ইতোমধ্যে সরকার চালের দামে শুল্ক কমিয়ে, চালের আমদানি বাড়িয়ে এমনকি বেসরকারি খাতকে চাল উৎপাদনে উৎসাহিত করে বিভিন্ন চেষ্টা অব্যাহত রাখছে।
কিন্তু চালের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমছে না। এদিকে গত ১৭ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়েছে, শুধু মিনিকেট চালের মূল্যবৃদ্ধি সমগ্র চালের বাজারদর প্রতিফলিত করে না। সরকার খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তুলেছে; বিদেশ থেকে চাল আমদানিও অব্যাহত রেখেছে। দেশে চালের কোনো সংকট হবে না। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, সরকার যেখানে চালের দাম স্থিতিশীলতার জন্য এত পদক্ষেপ নিচ্ছে সেখানে চালের দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে কারা ভূমিকা রাখছে?
সিন্ডিকেট ও মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজারমূল্যের অস্থিতিশীলতা দূর করতে হবে। টিসিবির ট্রাক সেল ও ওপেন মার্কেট সেলের মতো (ওএমএস) অন্যান্য কার্যকর কর্মসূচি চালু করতে হবে। বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দেশের চাল উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং চালের আমদানি বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে যে করেই হোক চাল নিয়ে চালবাজি বন্ধ করতে হবে। এটা আমাদের প্রত্যাশা।
মাইফুল জামান ঝুমু
শিক্ষার্থী, ফরাসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]