
একজন গর্ভবতী নারী সব সময় অবসদগ্রস্ত থাকেন। তার মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে। তাছাড়া শারীরিক জটিলতা তো আছেই। এমন সময় বাড়ির সবার সাহায্য-সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। তার একটা বাড়তি যত্ন দরকার। গর্ভের বাচ্চা বেড়ে ওঠার জন্য এসময় পর্যাপ্ত সুষম খাদ্যের চাহিদা দেখা দেয়। আবার আয়রনজনিত ঘাটতিতে রক্তস্বল্পতায় অনেক গর্ভবতীকে ভুগতে দেখা যায়। এসময় গর্ভের শিশু বেড়ে উঠতে নিয়মিত সুষম খাদ্য এবং যত্নের বিকল্প নেই। নিয়মিত ডাক্তারি চেকআপ করা বাধ্যতামূলক। তাতে গর্ভের বাচ্চা সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে কি না বা অন্য কোনো ধরনের জটিলতা আছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে সরকার গর্ভবতী ভাতা চালু করেছে। এতে দেশের ব্যাপক গর্ভবতী নারী এ ভাতা দিয়ে চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনী ব্যয়ভার বহন করতে পারবে। একজন গর্ভবতী যদি সঠিকভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে না পারে তাহলে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায় বহু গুণ। গর্ভের সন্তান বিকলাঙ্গ হয়। অনেক ক্ষেত্রে শরীরের তুলনায় মাথা মোটা হয়ে যায়। এমনকি মাথার ওপরের অংশ দেবে পর্যন্ত যায়। তাই কর্মজীবী নারীদের অবশ্যই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। বিশ্রাম না নিলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়ে গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। তাই একজন গর্ভবতী নারীর মানসিক স্বাস্থ্যসেবা আর পারিবারিক যত্নের কোনো বিকল্প নেই।
হাজি মো. রাসেল ভূঁইয়া
খলিফা বাড়ি, সিপাহিপাড়া, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চা-শিল্পের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন চা-বাগানে লক্ষাধিক শ্রমিক প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চা উৎপাদন করে যাচ্ছেন। অথচ দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, এই শ্রমিকরা আজও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। তাদের জীবনমান অত্যন্ত নিম্নস্তরের, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বর্তমানে চা-শ্রমিকরা যে মজুরি পান, তা দিয়ে ন্যূনতম জীবনযাপন করাও কষ্টসাধ্য। বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিশুশিক্ষা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে তারা চরম দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য মজুরির দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ অবস্থায় চা-শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রথমত, তাদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম দারিদ্র্যের চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। তৃতীয়ত, শ্রম আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন করতে না পারে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি যথাযথ পদক্ষেপ নেয়, তাহলে চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত হবে, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হবে।
জাফরিন সুলতানা
শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
পুরো পৃথিবীর বিপরীতে দাঁড়িয়েও, নারী ভালোবাসতে জানে! আরাধ্য ভালোবাসা খুঁজে না পেলে বন্ধন ছিঁড়তে সে দুবার ভাবে না! যদি কাঁদে মন, সব ছেড়ে চলে আসে এক লহমায়! যদি বিষিয়ে ওঠে মন, অজস্র প্রলোভনেও তাকে আর ধরে রাখা যায় না! যুগ যুগ ধরে গুণীজনরা নারীর মন বুঝতে না পারার কথা বলে গেছেন। নানা চোখে, নানা মতবাদে নারী মনের ব্যবচ্ছেদ হয়েছে নানা আঙ্গিকে! তবে, এ দেখাই শেষ দেখা নয়! নারী কিংবা পুরুষ কীসে আটকায়, এ প্রশ্নের মীমাংসা করা সম্ভব নয়।
সঙ্গীর সঙ্গে আজীবন থেকে গেলেই কি তাকে আটকে থাকা বলে? তবে, এসব ছাপিয়ে দূরের পথচলায় দৃষ্টি নিবদ্ধের সুযোগ আছে বৈকি! মানুষের মন কখনো কখনো প্রাণোচ্ছ্বাসে পাখির মতো ডানা মেলতে চায়! অহর্নিশ সম্ভ্রমহানি হলে, সেখানে না থাকাই শ্রেয়! সংসার যদি ক্রমশ বিষে পরিণত হয় আর চেষ্টা সত্ত্বেও বিষক্ষয় না ঘটে, তবে সেই নরকে প্রতিদিন জ্বলে-পুড়ে অঙ্গার হওয়ার কি কোনো মানে আছে? অবহেলা আর লাঞ্ছনায় যেখানে নিরন্তর ছারখার হতে হয়, সে সংসার আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা কি বৃথা নয়?
আগুন নেভানোই বুদ্ধিমানের কাজ। তাতে দহন দাগ মুছে ফেলার সুযোগ পাওয়া যায়। ভিন্নভাবে জীবনকে দেখার সময় মেলে। পুড়তে পুড়তে কেউ যদি পরিত্রাণ খুঁজে পায় আর সেদিকেই ধাবিত হয়, তাতে দোষের কী আছে? এ তো মুক্তির পথ, মুক্ত
আকাশে ডানা ঝাঁপটানোর আনন্দ! তবে বিচ্ছেদের পথে নয়, নারী-পুরুষ চাইলে একসঙ্গে চলতে পারে।
আসিফ আল মাহমুদ
রেলওয়ে হাউজিং সোসাইটি, আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২
[email protected]
পুরো পৃথিবীর বিপরীতে দাঁড়িয়েও, নারী ভালোবাসতে জানে! আরাধ্য ভালোবাসা খুঁজে না পেলে বন্ধন ছিঁড়তে সে দুবার ভাবে না! যদি কাঁদে মন, সব ছেড়ে চলে আসে এক লহমায়! যদি বিষিয়ে ওঠে মন, অজস্র প্রলোভনেও তাকে আর ধরে রাখা যায় না! যুগ যুগ ধরে গুণীজনরা নারীর মন বুঝতে না পারার কথা বলে গেছেন। নানা চোখে, নানা মতবাদে নারী মনের ব্যবচ্ছেদ হয়েছে নানা আঙ্গিকে! তবে, এ দেখাই শেষ দেখা নয়! নারী কিংবা পুরুষ কীসে আটকায়, এ প্রশ্নের মীমাংসা করা সম্ভব নয়।
সঙ্গীর সঙ্গে আজীবন থেকে গেলেই কি তাকে আটকে থাকা বলে? তবে, এসব ছাপিয়ে দূরের পথচলায় দৃষ্টি নিবদ্ধের সুযোগ আছে বৈকি! মানুষের মন কখনো কখনো প্রাণোচ্ছ্বাসে পাখির মতো ডানা মেলতে চায়! অহর্নিশ সম্ভ্রমহানি হলে, সেখানে না থাকাই শ্রেয়! সংসার যদি ক্রমশ বিষে পরিণত হয় আর চেষ্টা সত্ত্বেও বিষক্ষয় না ঘটে, তবে সেই নরকে প্রতিদিন জ্বলে-পুড়ে অঙ্গার হওয়ার কি কোনো মানে আছে? অবহেলা আর লাঞ্ছনায় যেখানে নিরন্তর ছারখার হতে হয়, সে সংসার আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা কি বৃথা নয়?
আগুন নেভানোই বুদ্ধিমানের কাজ। তাতে দহন দাগ মুছে ফেলার সুযোগ পাওয়া যায়। ভিন্নভাবে জীবনকে দেখার সময় মেলে। পুড়তে পুড়তে কেউ যদি পরিত্রাণ খুঁজে পায় আর সেদিকেই ধাবিত হয়, তাতে দোষের কী আছে? এ তো মুক্তির পথ, মুক্ত
আকাশে ডানা ঝাঁপটানোর আনন্দ! তবে বিচ্ছেদের পথে নয়, নারী-পুরুষ চাইলে একসঙ্গে চলতে পারে।
আসিফ আল মাহমুদ
রেলওয়ে হাউজিং সোসাইটি, আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২
[email protected]
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবারও ইতিহাসের পথে হাঁটলেন। কিন্তু রক্ত, ধোঁয়া আর লাঠির নিচে। প্রশ্ন উঠছে- কারা এ ছাত্রদের গায়ে হাত তুললেন? কেন? তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি নিয়ে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের হাতে ছিল না কোনো অস্ত্র, ছিল কেবল ব্যানার, প্রতিবাদ আর স্বপ্ন। অথচ পথে নেমেই পেলেন পুলিশি বাধা, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড আর লাঠিপেটা। আহত শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাংবাদিক।
এই কি রাষ্ট্রের উত্তর? একটি বিশ্ববিদ্যালয় বারবার কেন বঞ্চিত হবে? কেন তাদের উন্নয়ন প্রকল্প আটকে থাকবে, বাজেট কাটছাঁট হবে, ছাত্রদের আবাসনের দাবি উপেক্ষিত হবে? শুধু কি জবির নামটা ‘ঐতিহ্যবাহী’ নয় বলে? দুই দিন আগেই একদল মানুষ যমুনার সামনে বসে গণ-অবস্থান করল, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা এল না। আর যখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা ‘লংমার্চ টু যমুনা’ করল, তখনই যেন প্রশাসনের হৃদয়ে আগুন লেগে গেল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না থাকে, তাহলে রাষ্ট্র কীসের গর্ব করে? বিশ্ববিদ্যালয় কি শুধু ইতিহাস আর ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যের ভিত্তিতে মূল্যায়িত হবে? নাকি শিক্ষার্থীর অধিকারের ভিত্তিতে? আজ যারা রাজপথে ছিলেন, তারা রাষ্ট্রের শত্রু নয়, বরং ভবিষ্যতের কর্ণধার। তাদের ওপর এ হামলা সভ্য কোনো রাষ্ট্রে কাম্য নয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। দোষীদের বিচার চাই। আর চাই দ্রুততম সময়ে দাবিগুলোর বাস্তবায়ন। কারণ জগন্নাথ একা নয়, আজ গোটা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা জবির পাশে। কারণ লাঠি দিয়ে দাবির কণ্ঠরোধ হয় না। সত্য কখনো থেমে থাকে না।
ফাহিমা আক্তার
শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
[email protected]