ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
English

স্বল্পমূল্যে যাতায়াতের সম্ভাবনাময় একটি মাধ্যম

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৮ পিএম
স্বল্পমূল্যে যাতায়াতের সম্ভাবনাময় একটি মাধ্যম

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শহর ও গ্রামীণ এলাকায় পরিবহনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। এটি মূলত চার্জযোগ্য ব্যাটারির মাধ্যমে চালিত হওয়ায় এটি ডিজেল বা পেট্রলচালিত যানবাহনের তুলনায় পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। সহজলভ্যতা, কম ভাড়া ও আরামদায়ক যাত্রার জন্য মানুষ দিন দিন বেশি করে এই বাহন ব্যবহার করছে। ব্যাটারিচালিত রিকশার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি কোনো ধরনের ধোঁয়া বা শব্দদূষণ ছাড়াই চলতে পারে। ফলে নগরের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকে এবং শব্দদূষণ কমে যায়। এ ছাড়া এটি চালাতে দক্ষতার চেয়ে ধৈর্য বেশি দরকার হয়, তাই অনেক অদক্ষ মানুষও সহজেই এই বাহনের চালক হিসেবে কাজ পেতে পারেন। এটি বেকারত্ব দূরীকরণেও ভূমিকা রাখছে। তবে এই বাহনের কিছু সমস্যা ও চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাস্তায় চলাচল করে, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।

 অধিকাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা রেজিস্ট্রেশনবিহীন এবং চালকদের কোনো লাইসেন্স নেই, যা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এ ছাড়া, বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় অতিরিক্ত ব্যাটারি চার্জিং লোডের কারণে স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলোর সমাধানে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। রিকশাগুলোকে বৈধভাবে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা, চালকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স প্রদান এবং চার্জিং স্টেশনগুলোর উন্নয়ন করলে এ বাহনের সুবিধাগুলো আরও সুদূরপ্রসারী হবে। পরিবেশবান্ধব এ যানটি যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা যায়, তবে এটি দেশের পরিবহন খাতে একটি টেকসই পরিবর্তন আনতে পারে। সবশেষে বলা যায়, ব্যাটারিচালিত রিকশা এখন শুধু একটি বাহন নয়, এটি কর্মসংস্থান, পরিবেশ সুরক্ষা ও স্বল্পমূল্যে যাতায়াতের সম্ভাবনাময় একটি মাধ্যম। যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি ভবিষ্যতের পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
সোনাগাজী, ফেনী 
[email protected]

 

প্রতিকার ও সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
প্রতিকার ও সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা

বর্তমান সময়ে কিডনি ও পিত্তথলি পাথর বা স্টোন একটি সাধারণ অথচ যন্ত্রণাদায়ক স্বাস্থ্যসমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের বহু মানুষ এ দুই ধরনের পাথরের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এ দুটি রোগই সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না করলে জটিল রূপ নিতে পারে। তবে সময়মতো কারণ চিহ্নিত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। 

পরিশেষে বলতে চাই, কিডনি পাথর ও পিত্তথলির পাথর- দুটি রোগই যন্ত্রণাদায়ক এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য জটিলতার কারণ হতে পারে, যদি সময়মতো প্রতিকার না করা হয়। তবে ভালো খবর হলো, স্বাস্থ্য সচেতনতা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এগুলো প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্ভব। আমাদের উচিত সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ ও সতর্ক জীবনযাপনকে গুরুত্ব দেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের যন্ত্রণাদায়ক রোগের সম্মুখীন না হতে হয়।

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
[email protected]

 

ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব বাড়ছে

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব বাড়ছে

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত মহামারিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু সেভাবে মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টির স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু মশা ডিম পারে, এটা সব মানুষই কমবেশি জানে। শহরের কিছু কিছু নির্মাণাধীন ভবনে অসচেতনতায় বৃষ্টির পানি জমে সেখানে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু যারা ইচ্ছা করেই বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে গিয়ে সেখানে ডেঙ্গু চাষ করছেন? তা কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে? বিশেষ করে উপকূলীয় জেলাগুলোতে লবণাক্ত পানি ব্যবহারের অযোগ্য বলে সেখানে সারা বছরের ব্যবহারের পানি বৃষ্টি থেকে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। 

উপকূলীয় জেলার বরগুনা এ বছর ডেঙ্গুতে মহামারি আকার ধারণ করছে। সেখানে প্রতিদিন ৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আর জেলা হাসপাতালটি হলো ২৫০ শয্যার। সেখানে আবার নেই ডেঙ্গু রোগীর রক্তের পরীক্ষার ব্যবস্থা। তাই অনেক রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাতেই মৃত্যুর সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। অনেক রোগী টাকার অভাবে পরীক্ষাটুকু পর্যন্ত করাতে পারছেন না। ঢাকা শহরেই যেখানে ডেঙ্গুর চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ, সেখানে মফস্বল এলাকায় আধুনিক ব্যবস্থা যে অত্যন্ত অপ্রতুল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই ডেঙ্গুর মহামারির সময়ে রাষ্ট্রকে গণসচেতনতা তৈরিতে আরও এগিয়ে আসতে হবে। না হলে সামনের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর পিক সময়ে তা রোধ করা সম্ভবপর হবে না।
 
অলিউর রহমান ফিরোজ
মিরাপাড়া, রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

ডেঙ্গু ও করোনা: নতুন আতঙ্ক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
ডেঙ্গু ও করোনা: নতুন আতঙ্ক

বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গু ও করোনা- দুই রোগই জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও তা এখনো পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। অন্যদিকে ডেঙ্গু প্রতিদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে এবং এ বছর তা আগের তুলনায় অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃত্যুর ঘটনাও বাড়ছে, যা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কে রেখেছে।

করোনার সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম হলেও এটি এখনো বিদ্যমান। বিশেষ করে যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে করোনা এখনো বিপজ্জনক। ডেঙ্গু কিংবা করোনার প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলেও অনেকে অবহেলা করেন এবং দেরিতে চিকিৎসা নেন, ফলে জটিলতা বাড়ে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে রোগীকে প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে এবং তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে। রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। কোনোভাবেই নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। করোনায় আক্রান্ত হলে আইসোলেশনে থাকা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ জরুরি। 

একই সঙ্গে অন্যদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের উচিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। মশা নিধনের জন্য সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করা প্রয়োজন। টিকা কার্যক্রম চালু রাখা এবং করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা সহজলভ্য করতে হবে। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা আরও উন্নত করা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ও বেড সরবরাহ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। ডেঙ্গু ও করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজন ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত উদ্যোগ। সচেতনতা, দ্রুত চিকিৎসা ও সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়েই এ সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

অনিরুদ্ধ সূত্রধর
লালমাই সরকারি কলেজ, কুমিল্লা
[email protected]

সুস্থ থাকতে হাঁটতে হবে

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
সুস্থ থাকতে হাঁটতে হবে

আজকাল আমরা বেজায় ব্যস্ত! পড়াশোনা, চাকরি, ব্যবসা ইত্যাদি নিয়ে। নিজেদের শরীরের দিকে খেয়াল রাখার সময়ই পাই না! অথবা প্রয়োজনও বোধ করি না! কাজ শেষে গোগ্রাসে মজাদার সব খাবার খেয়ে দিব্যি তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে জীবনের আনন্দ খুঁজি! কিন্তু এর পরিণাম ভয়াবহ! স্থূলতা বাড়ে আর সেই সঙ্গে শরীরে দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগ! সুখী, সুস্থ শরীর ও মনের জন্য শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। 

রুটিনমাফিক জীবনযাপন, নিয়মিত ব্যায়াম এবং সুমিত পানাহার হলো দীর্ঘজীবনের রহস্য, দেহ ও মন তরতাজা রাখার উপায়! সুস্থ থাকতে হলে উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজন বজায় রাখতে হবে। আলসে কালক্ষেপণ না করে, শরীরচর্চায় মনোনিবেশ করা উচিত। সবচেয়ে সহজ, সস্তা ও নিরাপদ ব্যায়াম হলো হাঁটা! আর এটি সব বয়সী মানুষের জন্যই উপযুক্ত। হাঁটা হৃদযন্ত্র ও রক্তনালির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। 

কারও কারও জন্য হাঁটা অন্য যেকোনো ব্যায়ামের চেয়ে ভালো! হাঁটলে শরীরের ওপর চাপ পড়ে না। কিন্তু দৌড়ানো বয়স্কদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ! হাঁটাহাঁটি করে কেউ আহত হয়েছে বলে শোনা যায়নি। অসুস্থ মানুষ হাঁটাকে ব্যায়াম হিসেবে নিতে পারেন। ধীরে ধীরে শুরু করুন। প্রথমে অল্প, এরপর ক্রমান্বয়ে গতি বাড়ান, সময় বাড়ান। ব্যয়বহুল জিমে না গিয়ে, বিনাখরচায় হাঁটা উত্তম! নিয়মিত হাঁটাকে রোগপ্রতিরোধের হাতিয়ার মনে করে সুস্থ থাকতেই হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। অথচ আমরা হাঁটি তখনই, যখন শরীরে অসুখ বাসা বাঁধে! অসুস্থ হলেই তবে হাঁটব, এটা ঠিক নয়। সুস্থ মানুষের সুস্থতা ধরে রাখতে হাঁটা আবশ্যক।
 
আসিফ আল মাহমুদ 
আকবরশাহ মাজার, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম ৪২০২ 
[email protected] 

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা নয় চাই কঠোর রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০২:০৩ পিএম
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা নয়
চাই কঠোর রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা

বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে আমরা প্রতিদিন নাজুক হয়ে উঠছি। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর একটি এই দেশ, যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে গড়ে ১ হাজার ১২৫ জন মানুষ বসবাস করছে। এই বাস্তবতায় জনসংখ্যাকে সম্পদ ভাবা নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সম্পদ কীভাবে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে, সেটিই দেখা জরুরি। আমাদের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ শুধু সচেতনতার অভাব বা বাল্যবিবাহে সীমাবদ্ধ নয়। বহুবিবাহ, নিরক্ষরতা, ছেলে সন্তানের প্রতি প্রবল চাহিদা, আবহাওয়াজনিত বিষয় ছাড়াও, একটি গুরুত্বপূর্ণ উপেক্ষিত কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস।

 শর্করাজাতীয় খাদ্য অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে যৌন হরমোনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে। বিষয়টি বিজ্ঞানসম্মত হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো স্বাস্থ্যনীতি বা জনসচেতনতায় তা ঠাঁই পায়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সহজলভ্যতা একটি বড় সংকটে পরিণত হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, পরিবার পরিকল্পনায় আগ্রহী হলেও ১২ শতাংশ দম্পতি সময়মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রী পান না। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, গর্ভপাত এবং মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। এদিকে, বাংলাদেশে ২ কোটি ২ লাখ মানুষ বেকার, যার একটি বড় অংশ উচ্চশিক্ষিত যুবক-যুবতী। তারা কর্মহীনতা ও হতাশার জাঁতাকলে পড়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। অনেকেই আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন। একে শুধুই ব্যক্তি ব্যর্থতা বলা যাবে না, এটি রাষ্ট্র কাঠামোর একটি চরম ব্যর্থতা। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি দীর্ঘ সময় ধরে কার্যকর থাকলেও বর্তমানে তা নিষ্প্রাণ। জনসংখ্যাকে সম্পদ ভাবার যে রাষ্ট্রীয় যুক্তি, তা বাস্তবে দারিদ্র্য, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ, অপরাধপ্রবণতা এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এখনই সময় রাষ্ট্রের কর্ণধারদের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনার। প্রথমত, খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-নারীর ক্ষমতায়নকে একসঙ্গে বিবেচনা করে বহুমুখী ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। আমরা যদি এখনই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতিগত অবস্থান না নিই, তবে আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যাব শুধুই সংকটে ভরা একটি রাষ্ট্র। উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হলে, জনসংখ্যা হতে হবে পরিকল্পিত।


ফাহিমা আক্তার
শিক্ষার্থী দর্শন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]