
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত মহামারিভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু সেভাবে মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টির স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু মশা ডিম পারে, এটা সব মানুষই কমবেশি জানে। শহরের কিছু কিছু নির্মাণাধীন ভবনে অসচেতনতায় বৃষ্টির পানি জমে সেখানে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু যারা ইচ্ছা করেই বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে গিয়ে সেখানে ডেঙ্গু চাষ করছেন? তা কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে? বিশেষ করে উপকূলীয় জেলাগুলোতে লবণাক্ত পানি ব্যবহারের অযোগ্য বলে সেখানে সারা বছরের ব্যবহারের পানি বৃষ্টি থেকে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।
উপকূলীয় জেলার বরগুনা এ বছর ডেঙ্গুতে মহামারি আকার ধারণ করছে। সেখানে প্রতিদিন ৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আর জেলা হাসপাতালটি হলো ২৫০ শয্যার। সেখানে আবার নেই ডেঙ্গু রোগীর রক্তের পরীক্ষার ব্যবস্থা। তাই অনেক রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাতেই মৃত্যুর সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। অনেক রোগী টাকার অভাবে পরীক্ষাটুকু পর্যন্ত করাতে পারছেন না। ঢাকা শহরেই যেখানে ডেঙ্গুর চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ, সেখানে মফস্বল এলাকায় আধুনিক ব্যবস্থা যে অত্যন্ত অপ্রতুল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই ডেঙ্গুর মহামারির সময়ে রাষ্ট্রকে গণসচেতনতা তৈরিতে আরও এগিয়ে আসতে হবে। না হলে সামনের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর পিক সময়ে তা রোধ করা সম্ভবপর হবে না।
অলিউর রহমান ফিরোজ
মিরাপাড়া, রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]