ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

দাম্পত্য কলহ নিরসনে ইসলামের শিক্ষা

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ১৮ মে ২০২৪, ০৯:৪৬ এএম
দাম্পত্য কলহ নিরসনে ইসলামের শিক্ষা
প্রতীকী ছবি

স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক আল্লাহতায়ালার বিশেষ নেয়ামত। পৃথিবীর সব ধর্ম এই সম্পর্কের গুরুত্ব ও বৈধতা প্রদান করেছে। বিবাহের মাধ্যমে দাম্পত্য সম্পর্কই একমাত্র মানব সৃষ্টির ও বংশবিস্তারের বৈধ প্রক্রিয়া। জান্নাতের মধ্যে আদম (আ.) এত আরাম-আয়েশের মধ্যে থেকেও একাকিত্ব বোধ করায় আল্লাহতায়ালা তার জন্য হাওয়া (আ.)-কে সঙ্গী হিসেবে সৃষ্টি করেন। স্বামী এবং স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সহায়ক ও পরিপূরক—যেন একই বৃন্তে দুটি ফুল। পরস্পরের যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনি রয়েছে অধিকার। আবার উভয়ের রয়েছে বিশেষ দায়িত্ব ও কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীদের কাছে সর্বোত্তম ব্যক্তি।’ (তিরমিজি, ৩৮৯৫) 

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘পুরুষরা নারীদের প্রতি দায়িত্বশীল, যেহেতু আল্লাহ একের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং তারা তাদের সম্পদ থেকে ব্যয়ও করে।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৩৪)


পবিত্র কোরআনে নারীদের প্রতি পুরুষদের আচরণের বিষয়ে আল্লাহতায়ালা বহু আয়াত নাজিল করেছেন। সংসার টিকিয়ে রাখাকেও আল্লাহ অধিক পছন্দ করেন। সংসারে রাগ-অভিমান নিত্যনৈমিত্তিক ও স্বাভাবিক ব্যাপার। অভিমান কিংবা অল্পতে ভেঙে পড়া নারীর স্বভাবসুলভ বৈশিষ্ট্য। নারীর অভিমানের পাল্লা ভারি হয়ে গেলে কিংবা পুরুষের বোঝার ভুলের কারণে তৈরি হয় ভুল বোঝাবুঝি। আর এভাবেই সম্পর্কের টানাপোড়েন-বিচ্ছেদের মতো নিকৃষ্ট ব্যাপার এখন প্রতিনিয়ত ঘটছে।

 
স্বামীকে ভালোবাসা যেমন স্ত্রীর কর্তব্য ও ইবাদতের অংশ। তেমন স্ত্রীকে ভালোবাসা স্বামীর। ইসলাম বৈবাহিক সম্পর্ক জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টিকিয়ে রাখার তাগিদ দেয় এবং সে লক্ষ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা ও দায়িত্বশীল আচরণের নির্দেশনা প্রদান করে।


দাম্পত্য কলহ নিরসনে কোরআনে দিকনির্দেশনা রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘পুরুষরা নারীর দায়িত্বশীল। কেননা আল্লাহ তাদের একে অপরের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে পুরুষ তাদের ধনসম্পদ ব্যয় করে। সুতরাং ভালো স্ত্রীরা অনুগতা এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে আল্লাহ যা সংরক্ষিত করেছেন তা হেফাজত করে। স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা করো তাদের সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা ত্যাগ করো এবং তাদের (মৃদু) প্রহার করো। যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পথ অন্বেষণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান, শ্রেষ্ঠ। তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধ আশঙ্কা করলে তোমরা তার (স্বামী) পরিবার থেকে একজন এবং তার (স্ত্রী) পরিবার থেকে একজন সালিশ নিযুক্ত করবে। তারা উভয়ে নিষ্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসার অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৩৪-৩৫)


উল্লিখিত আয়াতে আদর্শ স্ত্রীর দুটি গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্বামীর আনুগত্য এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে সতীত্ব রক্ষা করা। বিবাদসংক্রান্ত আয়াতে এ দুটি গুণের উল্লেখ করার মাধ্যমে আল্লাহ এ ইঙ্গিতই করছেন যে, বেশির ভাগ দাম্পত্য কলহের পেছনে অবাধ্যতা ও অনৈতিকতাই দায়ী। সুতরাং স্বামীর অবাধ্যতা ও অনৈতিকতা থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 


ইসলামি বিধানে স্ত্রীর ওপর স্বামীর কিছু অধিকার রয়েছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো—১. সতীত্বের হেফাজত করা। ২. স্বামীর অনুগত থাকা এবং সেবা করা। ৩. স্বামীর সাধ্যের বাইরে কোনো আবদার না করা। ৪. স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া এবং কাউকে ঘরে প্রবেশ করতে না দেওয়া। ৫. স্বামীর সম্পদ বিশ্বস্ততার সঙ্গে সংরক্ষণ করা। ৬. স্বামীর কথা মেনে চলা। 


স্বামীর ওপর রয়েছে স্ত্রীর কিছু অধিকার। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো—১. মোহর আদায় করা। ২. স্ত্রীর ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করা। ৩. বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। ৪. সম্ভব হলে কাজের লোকের ব্যবস্থা করা। ৫. স্ত্রীর ওপর জুলুম না করা। 


স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তারা তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ এবং তোমরা তাদের জন্য পোশাকস্বরূপ।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১০) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে স্থাপিত ভালোবাসার সম্পর্ক তুলনাহীন। আমি অন্য কোনো ক্ষেত্রে এমন গভীর সম্পর্ক দেখি না।’ (ইবনে মাজাহ)

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

 

অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?
অজু করার দৃশ্য। সংগৃহীত

প্রশ্ন : এক ব্যক্তি অজুতে প্রতিটি অঙ্গ অন্তত ৪-৫ বার ধৌত করে। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, এ ছাড়া আমার মন পরিতৃপ্ত হয় না। এভাবে নিয়মিত তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস গড়ার হুকুম কী? এতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা আছে কি?

উত্তর : অজুর অঙ্গগুলো তিন বার করে ধোয়া সুন্নত। তাই তিন বার ধোয়ারই অভ্যাস করা চাই। তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস করা উচিত নয়। আর তিনের অধিক ধোয়াকে উত্তম মনে করে এর উপর আমল করা গুনাহ। পক্ষান্তরে তিনবার ধোয়ার পরও কোনো স্থানে পানি পৌঁছার ব্যাপারে সন্দেহ হলে সে স্থানটি আবার ধুয়া। তবে শুধু ওয়াসওয়াসার ভিত্তিতে এরূপ করা যাবে না।

[তথ্যসূত্র: সুনানে আবু দাউদ ১/১৮, বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৩, শরহুল মুনিয়্যা ২৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২, আলবাহরুর রায়েক ১/৪৬]

নামাজের মধ্যে সময় দেখতে ঘড়ির দিকে তাকানো কী হবে?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
নামাজের মধ্যে সময় দেখতে ঘড়ির দিকে তাকানো কী হবে?
নামাজরত মুসল্লির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : আমাদের মসজিদের সামনের দেওয়ালে একটি ডিজিটাল ঘড়ি লাগানো আছে। অনেক সময় যোহরের নামাজ পড়তে এসে সময় না দেখেই সুন্নত নামাজ শুরু করে দেই। জামাত দাঁড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হলে সুন্নত শেষ করতে পারব কি না, তা নিশ্চিত হতে ঘড়ির দিকে তাকাই। আমার প্রশ্ন হলো, নামাজের মধ্যে সময় দেখার জন্য ঘড়ির দিকে তাকালে কি নামাজের কোনো ক্ষতি হয়?


উত্তর : নামাজের মধ্যে সময় দেখার উদ্দেশ্যে ঘড়ির দিকে তাকানো মাকরূহ (অপছন্দনীয়)। এটি নামাজের খুশুখুযু বা একাগ্রতার পরিপন্থী কাজ। তাই এমনটা করা থেকে বিরত থাকা উচিত। নামাজে আমাদের মন এবং দৃষ্টি শুধুমাত্র আল্লাহর দিকে নিবদ্ধ থাকা উচিত। ঘড়ি বা অন্য কোনো বস্তুর দিকে তাকালে মনোযোগ বিঘ্নিত হয়, যা নামাজের মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। যদিও এতে নামাজ পুরোপুরি ভেঙে যায় না, তবে এটি নামাজের পরিপূর্ণতা ও সওয়াব কমিয়ে দেয়।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি যে, সুন্নত নামাজ শুরু করার আগে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে শুরু করা উচিত, যাতে জামাত শুরু হওয়ার আগেই তা শেষ করা যায়। যদি মনে হয় সময় কম, তাহলে সুন্নত বাদ দিয়ে সরাসরি ফরজ নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

[তথ্যসূত্র : বুরহানী (২/১৫৯), খুলাসাতুল ফাতাওয়া (১/৯৯), ফাতহুল কাদীর (১/৩৫১), শরহুল মুনইয়া (পৃ. ৪৪৭), আলবাহরুর রায়েক (২/১৪), এবং আদ্দুররুল মুখতার (১/৬৩৪)]

এসব গ্রন্থ অনুযায়ী, ছোটখাটো নড়াচড়া বা দৃষ্টির কারণে নামাজ ভেঙে যায় না, তবে তা নামাজের একাগ্রতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া এড়িয়ে চলা উত্তম।

 

আ দিয়ে মেয়ে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ২

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৪০ এএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:১১ পিএম
আ দিয়ে মেয়ে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ২
মেয়ে শিশুর ছবি । সংগৃহীত

শিশুর জন্য একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করা সব মা-বাবারই স্বপ্ন। নামের মাধ্যমেই শিশুর ব্যক্তিত্ব পরিচয় ফুটে ওঠে। ইসলামিক আধুনিক রুচির সমন্বয়ে '' অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া কিছু চমৎকার নামের তালিকা এখানে দেওয়া হলো, যা আপনার আদরের কন্যার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। প্রতিটি নামের রয়েছে বিশেষ অর্থ, যা আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অনুপ্রেরণামূলক হবে।

ক্রমিক

নাম

অর্থ

.

আদিবা

শিষ্ট, ভদ্র

.

আদিলা

ন্যায়পরায়ণ

.

আফিফা

পবিত্রা, সচ্চরিত্রা

.

আমেনা

নিরাপদ, নিশ্চিন্ত

.

আমিরা

রাজকন্যা

.

আয়েশা

সচ্ছল (উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রা.-এর নাম)

.

আরুবা

সোহাগিনি

.

আলিফা

বান্ধবী

.

আলিমা

জ্ঞানী

১০.

আলিয়া

উচ্চ

১১.

আসমা

মহত্তর, উচ্চতর

১২.

আসিফা

ঝড়ো বাতাস

১৩.

আসিমা

হেফাজতকারিণী, রাজধানী

১৪.

আসিয়া

চিকিৎসক (ফেরআউনের স্ত্রীর নাম)

১৫.

আহিদা

প্রতিজ্ঞাকারিণী

১৬.

আনিয়া

ঘনিষ্ঠ

১৭.

আতিফা

দয়ালু

১৮.

আতিয়্যা

দান, উপঢৌকন

১৯.

আজওয়া

আলো

২০.

আজিজা

শক্তিশালী, সম্মানিত

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

কালিমা তাইয়্যিবা পড়ার পর দুরূদ পড়ার বিধান কী?

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
কালিমা তাইয়্যিবা পড়ার পর দুরূদ পড়ার বিধান কী?
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : কালিমা তাইয়্যিবা পড়ার পর কি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলা জরুরি? 

উত্তর : কালেমা তাইয়িবা তো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ এতটুকুই। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কালেমার অংশ নয়। তাই রাসুলুল্লাহর নামের পর দুরূদ শরিফ পড়তে হয়, এ নিয়ম অনুযায়ী কালেমার পরেও তা পড়া যাবে। তবে কালেমার সাথে একেবারে মিলিয়ে নয়; বরং কালেমার পর ওয়াকফ করে এরপর পড়বে। যেন দরূদ শরিফকে কালেমার অংশ মনে না হয়।

[সূত্র : ফাতাওয়া উসমানী ১/৫৮]

 

খতিব কি খুতবার সময় মুসল্লিদের সতর্ক করতে পারবেন?

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
খতিব কি খুতবার সময় মুসল্লিদের সতর্ক করতে পারবেন?
মসজিদে জুমার খুতবা দেওয়ার ছবি। সংগৃহীত

যখন খতিব সাহেব খুতবা দেন, তখন যদি তিনি এমন কোনো কাজ দেখেন যা শরিয়ত বিরোধী, যেমন মুসল্লিরা কথা বলছে বা অন্য কোনো বিশৃঙ্খলা করছে, তখন তিনি তাদের সতর্ক করতে পারবেন। খুতবার মাঝখানে মুসল্লিদের চুপ থাকার নির্দেশ দিলে বা তাদের সতর্ক করলে খুতবার কোনো ক্ষতি হবে না। এতে দোষের কিছু নেই, বরং এটা খতিব সাহেবের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তিনি চাইলে এ বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিতে পারেন।

ফতোয়ার কিতাবসমূহে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা (২/২৫), বাদায়েউস সানায়ে (১/৫৯৫) এবং খুলাসাতুল ফাতাওয়া (১/২০৬)-এর মতো নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলোতে এই বিধানের কথা উল্লেখ আছে। তাই খতিব সাহেবের জন্য খুতবার মাঝখানে মুসল্লিদের সতর্ক করা সম্পূর্ণ বৈধ। এটি খুতবার সম্মান এবং পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জরুরি।

অতএব, মুসল্লিদের উচিত খুতবার সময় সম্পূর্ণ নীরবতা ও মনোযোগ বজায় রাখা। অন্যদিকে, খতিব সাহেব যদি দেখেন যে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে, তাহলে তিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।