ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

দোয়া মাসুরা কি, কেন পড়া হয়?

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
দোয়া মাসুরা কি, কেন পড়া হয়?
প্রত্যেক নামাজের শেষ বৈঠকে দোয়া মাসুরা পড়া সুন্নত। ছবি: ইন্টারনেট

দোয়া মাসুরা গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। প্রত্যেক নামাজের শেষ বৈঠকে দোয়া মাসুরা পড়া সুন্নত। এটি নামাজে দরুদ শরিফ পাঠের পরই পড়া হয়। দোয়া মাসুরা পাঠের পর নামাজ শেষ করার জন্য সালাম ফেরাতে হয়। দোয়া মাসুরা পড়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। গুনাহের ক্ষমা চাওয়া হয়। কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া হয়। 

দোয়া মাসুরার বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি জুলমান কাসিরাও, ওয়া লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা, ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা, ওয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রহিম। 

দোয়া মাসুরার বাংলা অর্থ
হে আল্লাহ, আমি নিজের ওপর অনেক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া সে অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার ওপর রহমত বর্ষণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’

একবার আবু বকর সিদ্দিক (রা.) আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে বললেন, আমাকে নামাজের মধ্যে পড়ার জন্য একটি দোয়া শিখিয়ে দিন। তখন তিনি বললেন—

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি জুলমান কাসিরাও, ওয়া লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা, ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা, ওয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রহিম। 

বাংলা অর্থ: আল্লাহ, আমি নিজের ওপর অনেক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া সে অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার ওপর রহমত বর্ষণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (বুখারি, হাদিস: ৮৩৪)

লেখক: আলেম ও অনুবাদক

ছবি বা জুতার সামনে সিজদা করা যাবে কী ?

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
ছবি বা জুতার সামনে সিজদা করা যাবে কী ?
সিজদারত মুসল্লির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন: আমরা জানি আল্লাহ ছাড়া কাউকে সিজদা করা হারাম। আমার প্রশ্ন হলো, নামাজের সময় যদি আমাদের সামনে মুসল্লিদের জুতা থাকে বা মসজিদের আসবাবপত্রে কোনো প্রাণীর ছবি থাকে, তাহলে কি আমরা জুতা বা ওই ছবিকে সিজদা করছি বলে গণ্য হবে? 


উত্তর: আপনার প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেকের মনেই এমন বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ইসলামি শরিয়তের বিধান এ বিষয়ে স্পষ্ট। প্রথমত, নামাজের সময় প্রাণীর ছবি সামনে রাখা মাকরূহ। যদি স্পষ্ট দৃশ্যমান কোনো প্রাণীর ছবি নামাজির সামনে থাকে, তবে নামাজ মাকরূহ হয়। ছবি যদি এক হাতের কম দূরত্বেও থাকে, তবুও একই বিধান প্রযোজ্য। তাই, ছবি বা প্রতিকৃতি সামনে রাখা থেকে বিরত থাকা উচিত, যাতে নামাজের পূর্ণ মনোযোগ বিঘ্নিত না হয়।

কিন্তু আপনার মূল প্রশ্নটি হলো, জুতা বা ছবিকে সিজদা করা হচ্ছে কি না। এর উত্তর হলো না, এতে জুতা বা ছবিকে সিজদা করা হয় না। সিজদা হওয়ার জন্য যাকে সিজদা করা হচ্ছে, তাকে উদ্দেশ্য করা জরুরি। একজন নামাজি যখন সিজদা করেন, তখন তার একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে মহান আল্লাহকে সিজদা করা। তার সামনে কোনো বস্তু বা ছবি থাকলেই তিনি সেটিকে সিজদা করছেন, এমনটি মনে করার কোনো সুযোগ নেই। নামাজি তার মন ও শরির দিয়ে কেবল আল্লাহর প্রতিই নিবিষ্ট থাকে।
এ বিষয়ে ফিকাহর কিতাবে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, নামাজি কেবল আল্লাহকেই সিজদা করে, অন্য কিছুকে নয়। সুতরাং, নামাজির সামনে জুতা-স্যান্ডেল বা প্রাণীর ছবি থাকলে তা সিজদার কারণ হয় না, যদি না নামাজির উদ্দেশ্য সেই বস্তুকে সিজদা করা হয়।

                    [তথ্যসূত্র: আলবাহরুর রায়েক (২/২৭), আদ্দুররুল মুহতার (১/৬৪৮) এবং ফাতাওয়া হিন্দিয়া (১/১০৭)]

 

২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) কবে?

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) কবে?
আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করার ছবি। সংগৃহীত

বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদযাপিত হতে পারে ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি তারিখে। যা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) হিসেবে সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত ও শ্রদ্ধার। তবে চূড়ান্ত তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।

১২ রবিউল আউয়াল এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেন ইসলামের শেষ নবি, বিশ্বমানবতার পথপ্রদর্শক হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আশ্চর্যের বিষয়, একই দিনে তিনি ইন্তেকালও করেন। তাই দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে স্মরণ ও শ্রদ্ধার, আবেগ ও ভালোবাসার।

৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের সম্ভ্রান্ত পরিবারে মা আমিনার কোলজুড়ে জন্ম নেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর পিতা আবদুল্লাহ তাঁর জন্মের আগেই ইন্তেকাল করেন, মাত্র ছয় বছর বয়সে তিনি পিতাকে হারান। সেই এতিম শিশুই একদিন হয়ে উঠেন বিশ্বের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয়, প্রভাবশালী ও ন্যায়নিষ্ঠ পুরুষ।

আল্লাহতায়ালা তাঁকে প্রেরণ করেন রহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে সারা বিশ্বজগতের জন্য রহমত ও করুণার উৎস রূপে। নবি মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের পূর্বে আরব সমাজ ছিল চরম অবক্ষয়ের মধ্যে। পৌত্তলিকতা, নারী অবমাননা, অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নিপীড়নের করাল গ্রাসে আচ্ছন্ন ছিল মানবতা। সেই সময়ের সমাজকে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়াত তথা অজ্ঞতার যুগ।

এই অন্ধকার যুগেই তিনি আগমন করেন সত্য, শান্তি ও ন্যায়ের আলোকবর্তিকা হয়ে। শৈশব থেকেই তিনি সততা, ধৈর্য, সহমর্মিতা ও চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্য পরিচিত ছিলেন। আরব সমাজ তাঁকে আল-আমিন উপাধিতে ভূষিত করে।

৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকা অবস্থায় আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি প্রথম ওহি নাজিল হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় ইসলামের নবযাত্রা একটি ঐশী ধর্মের উদ্ভব, যা আজ প্রায় ২০০ কোটি অনুসারীর বিশ্বাস ও জীবনপদ্ধতি।

পরবর্তী ২৩ বছর তিনি মহান আল্লাহর পথনির্দেশনায় ইসলামের আহ্বান ছড়িয়ে দেন। দুঃসহ প্রতিকূলতা, নিরবচ্ছিন্ন ত্যাগ ও অমানুষিক কষ্ট সহ্য করেও তিনি মানবতার কল্যাণে ইসলামের আলো পৃথিবীর কোণে কোণে ছড়িয়ে দেন।

ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান নবিজির স্মৃতিচারণায় বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় মেতে উঠেন। মসজিদে মসজিদে মিলাদ মাহফিল, দোয়া, কোরআন তিলাওয়াত ও জীবন গঠনের আলোচনার মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিনটি। এ দিনটি শুধুই আনন্দ বা উৎসবের নয় বরং বিশ্বনবির আদর্শ ও জীবনচর্যার অনুসরণে নিজেকে প্রস্তুত করার এক মহান উপলক্ষ।

ই দিয়ে ছেলে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ১

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩০ এএম
ই দিয়ে ছেলে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ১
ছেলে শিশুর ছবি। সংগৃহীত

একটি নতুন প্রাণের আগমন প্রতিটি পরিবারে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ ও সীমাহীন উচ্ছ্বাস। এই শুভক্ষণে বাবা-মায়ের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো তাদের ছোট্ট সোনামণির জন্য একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম নির্বাচন করা। নাম কেবল একটি পরিচয় নয়, এটি একটি শিশুর ভবিষ্যৎ, ব্যক্তিত্ব এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। ইসলামিক সংস্কৃতিতে নামের গুরুত্ব অপরিসীম। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের নাম এবং তোমাদের পিতার নামে ডাকা হবে। অতএব, সুন্দর নাম রাখো।

ই অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া কিছু চমৎকার এবং অর্থবহ নামের একটি তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো। 

বাংলা নাম

উচ্চারণ

ইংরেজি

আরবি

নামের অর্থ

 

ইউনুস

ইউনুস

Yunus

يونس

অনন্য মানুষ, একজন নবীর নাম

 

ইউশা

ইউশা

Yusha

يوشع

একজন নবীর নাম

 

ইউসুফ

ইউছুফ

Yusuf

يوسف

একজন নবীর নাম

 

ইউহান্না

ইউহান্না

Yuhanna

يوحنا

আল্লাহর দয়া, হযরত ঈসা (আ.)-এর একজন শিষ্য

 

ইকনা

ইকনা

Iqna

إقناع

তৃপ্তকরণ, তুষ্টকরণ

 

ইকনান

ইকনান

Iqnan

عقتان

খাঁটি সোনা

 

ইকবাল

ইকবাল

Iqbal

إقبال

সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি, উন্নতি

 

ইকরাম

ইকরাম

Ikram

إكرام

সম্মান প্রদর্শন, মর্যাদাবান, সম্মান, মর্যাদা

 

ইকরামুল হক

ইকরামুল হক

Ikramul Haque

إكرام الحق

সত্যের মর্যাদাদান

 

ইকমিল

ইকমিল

Ikmil

إكميل

পূর্ণতা, সমাপ্তি

 

ইখতিয়ার

ইখতিয়ার

Ikhtiyar

اختيار

পছন্দ, নির্বাচন, বাছাই

 

ইখতিয়ারুদ্দীন

ইখতিয়ারুদ্দীন

Ikhtiyaruddin

اختيار الدين

দ্বীনের নির্বাচিত ব্যক্তি, বাছাই

 

ইগনা

ইগনা

Igna

إغناء

ধনীকরণ, সমৃদ্ধকরণ

 

ইছনা

ইছনা

Isna

إثناء

প্রশংসাকরণ, স্তুতি বর্ণনা

 

ইছফা

ইছফা

Isfa

إصفاء

আন্তরিকতা, মনোনয়ন

 

ইছমত

ইছমাত

Ismat

عصمت

পবিত্রতা, সংরক্ষণ, সাহাবির নাম

 

ইছলাহ

ইছলাহ

Islah

إصلاح

সংস্কার, পুনর্বাসন, শান্তিস্থাপন

 

ইছলাহুদ্দীন

ইছলাহুদ্দীন

Islahuddin

صلاح الدين

দ্বীনের সংস্কারক

 

ইছহাক

ইছহাক

Ishaq

إسحاق

হযরত ইসহাক (আ.)

 

ইদরাক

ইদরাক

Idraq

إدراك

বুদ্ধিদৃষ্টি, উপলব্ধি

 

ইদরীস

ইদরীস

Idris

إدريس

হযরত ইদরিস (আ.)

 

ইনছাফ

ইনছাফ

Insaf

انصاف

ন্যায়বিচার, সুবিচার

 

ইনজাদ

ইনজাদ

Injad

إنجاد

সাহায্যকরণ, উদ্ধারকরণ

 

 

অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?
অজু করার দৃশ্য। সংগৃহীত

প্রশ্ন : এক ব্যক্তি অজুতে প্রতিটি অঙ্গ অন্তত ৪-৫ বার ধৌত করে। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, এ ছাড়া আমার মন পরিতৃপ্ত হয় না। এভাবে নিয়মিত তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস গড়ার হুকুম কী? এতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা আছে কি?

উত্তর : অজুর অঙ্গগুলো তিন বার করে ধোয়া সুন্নত। তাই তিন বার ধোয়ারই অভ্যাস করা চাই। তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস করা উচিত নয়। আর তিনের অধিক ধোয়াকে উত্তম মনে করে এর উপর আমল করা গুনাহ। পক্ষান্তরে তিনবার ধোয়ার পরও কোনো স্থানে পানি পৌঁছার ব্যাপারে সন্দেহ হলে সে স্থানটি আবার ধুয়া। তবে শুধু ওয়াসওয়াসার ভিত্তিতে এরূপ করা যাবে না।

[তথ্যসূত্র: সুনানে আবু দাউদ ১/১৮, বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৩, শরহুল মুনিয়্যা ২৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২, আলবাহরুর রায়েক ১/৪৬]

নামাজের মধ্যে সময় দেখতে ঘড়ির দিকে তাকানো কী হবে?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
নামাজের মধ্যে সময় দেখতে ঘড়ির দিকে তাকানো কী হবে?
নামাজরত মুসল্লির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : আমাদের মসজিদের সামনের দেওয়ালে একটি ডিজিটাল ঘড়ি লাগানো আছে। অনেক সময় যোহরের নামাজ পড়তে এসে সময় না দেখেই সুন্নত নামাজ শুরু করে দেই। জামাত দাঁড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হলে সুন্নত শেষ করতে পারব কি না, তা নিশ্চিত হতে ঘড়ির দিকে তাকাই। আমার প্রশ্ন হলো, নামাজের মধ্যে সময় দেখার জন্য ঘড়ির দিকে তাকালে কি নামাজের কোনো ক্ষতি হয়?


উত্তর : নামাজের মধ্যে সময় দেখার উদ্দেশ্যে ঘড়ির দিকে তাকানো মাকরূহ (অপছন্দনীয়)। এটি নামাজের খুশুখুযু বা একাগ্রতার পরিপন্থী কাজ। তাই এমনটা করা থেকে বিরত থাকা উচিত। নামাজে আমাদের মন এবং দৃষ্টি শুধুমাত্র আল্লাহর দিকে নিবদ্ধ থাকা উচিত। ঘড়ি বা অন্য কোনো বস্তুর দিকে তাকালে মনোযোগ বিঘ্নিত হয়, যা নামাজের মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। যদিও এতে নামাজ পুরোপুরি ভেঙে যায় না, তবে এটি নামাজের পরিপূর্ণতা ও সওয়াব কমিয়ে দেয়।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি যে, সুন্নত নামাজ শুরু করার আগে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে শুরু করা উচিত, যাতে জামাত শুরু হওয়ার আগেই তা শেষ করা যায়। যদি মনে হয় সময় কম, তাহলে সুন্নত বাদ দিয়ে সরাসরি ফরজ নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

[তথ্যসূত্র : বুরহানী (২/১৫৯), খুলাসাতুল ফাতাওয়া (১/৯৯), ফাতহুল কাদীর (১/৩৫১), শরহুল মুনইয়া (পৃ. ৪৪৭), আলবাহরুর রায়েক (২/১৪), এবং আদ্দুররুল মুখতার (১/৬৩৪)]

এসব গ্রন্থ অনুযায়ী, ছোটখাটো নড়াচড়া বা দৃষ্টির কারণে নামাজ ভেঙে যায় না, তবে তা নামাজের একাগ্রতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া এড়িয়ে চলা উত্তম।