মানুষ ঘুমের ঘোরে প্রায়ই স্বপ্ন দেখে। কখনো সাহাবা, তাবিয়ি বা মুসলিম মনীষীদের দেখে। স্বপ্নে যদি কেউ সাহাবা বা তাবিয়িদের যেকোনো একজনকে বা সকলকে জীবিত দেখে, তা হলে এটা তার এবং তার পরিবারের দ্বীনি শক্তি ও যোগ্যতার প্রমাণ। যে স্বপ্নে দেখেছে, তার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। আপন কর্মকাণ্ডে সে হবে প্রশংসিত। যদি দেখে, সে তাদের একজনে পরিণত হয়েছে, তা হলে কঠিন বিপদে পড়বে; পরে অবশ্যই সে জয়ী থাকবে। তাদেরকে যদি কয়েকবার স্বপ্নে দেখে, তা হলে সেটা তার উত্তম পন্থায় জীবিকা নির্বাহকে বুঝাবে।
- আবু বকর (রা.)-কে জীবিত স্বপ্নে দেখা, আল্লাহর বান্দাদের প্রতি দয়া ও মমতার গুণে স্বপ্নদ্রষ্টাকে গুণান্বিত করার ইঙ্গিত করে।
- উমর (রা.)-কে স্বপ্নে দেখা, স্বপ্নদ্রষ্টাকে ধর্মীয় শক্তি, ন্যায়পরায়ণতা এবং অধীনস্থদের প্রতি সদ্ব্যবহারের গুণে গুণান্বিত করা বুঝায়।
- উসমান (রা.)-কে জীবিত স্বপ্নে দেখা, লজ্জা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের গুণে গুণান্বিত হওয়ার লক্ষণ, যার হিংসুক বেড়ে যাবে।
- আলী (রা.)-কে জীবিত স্বপ্নে দেখা, জ্ঞান, পরিশুদ্ধ সাহস ও তপস্যার গুণে সম্মানিত হওয়ার আলামত।
- যে কেউ স্বপ্নে কারীদের এক জায়গায় জড়ো হতে দেখে, তা হলে সেখানে রাষ্ট্রের প্রধান, সুলতান, বণিক এবং বিদ্বানরা জড়ো হবেন।
- মৃত কোনো নেককার ব্যক্তিকে কোনো শহরে জীবিত দেখা, ওই শহরবাসীর সচ্ছলতা লাভের লক্ষণ। এ ছাড়া শাসকদের পক্ষ থেকে দেশবাসী ন্যায়বিচার পাবে এবং নেতৃস্থানীয় লোকদের মাঝে শুদ্ধি দেখা দেবে।
(স্বপ্নের ব্যাখ্যাবিদ মুহাম্মাদ ইবনে সিরিনের বিখ্যাত বই তাফসিরুল আহলাম বা স্বপ্নের ব্যাখ্যা থেকে সংক্ষেপিত)
লেখক: আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক