মানুষ সৃষ্টির সেরা। মানুষের আকার, আকৃতি ও গঠন অন্যান্য সৃষ্টির থেকে উন্নত। মানুষ দেখতেও অনেক সুন্দর। মানুষের আছে কাণ্ডজ্ঞান ও বুদ্ধি। মানুষের এই সব গুণাবলির জন্য মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বলা হয়েছে। মানুষের আছে সুন্দর সুন্দর নাম। বাবা-মা ও আত্মীয়রাই মানুষের নাম রাখে। তারা খুব ভালোবেসে যত্নসহকারে নাম রাখে। নিজেদের রাখা নামে ডেকে মনে শান্তি পায়। কারও নাম ব্যঙ্গ করে ডাকা যাবে না। ইসলামে নাম ব্যঙ্গ করে ডাকা নিষিদ্ধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) ব্যঙ্গ করে নাম ডাকতে নিষেধ করেছেন।
বর্তমান সমাজে নাম ব্যঙ্গ করে ডাকার ব্যাপারটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে বন্ধু মহলে অনেকেই একে অন্যের নাম ব্যঙ্গ করে ডাকে, যা একদম ঠিক নয়। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, কোনো মুমিন সম্প্রদায় যেন অপর কোনো মুমিন সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে তারা উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং নারীরা যেন অন্য নারীদের উপহাস না করে। কেননা যাদের উপহাস করা হচ্ছে তারা উপহাসকারিণীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে। আর তোমরা একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করো না এবং তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি নিকৃষ্ট। আর যারা তওবা করে না, তারাই তো জালিম বা অত্যাচারী।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) মন্দ নাম পাল্টাতে কুণ্ঠাবোধ করতেন না। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মন্দ নাম বদলে দিতেন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৮৯) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। সে তার ওপরে জুলুম করে না, তাকে সহযোগিতা করা পরিত্যাগ করে না এবং তাকে লাঞ্ছিত ও হেয় করে না। কোনো ব্যক্তির জন্য তার কোনো মুসলিম ভাইকে হেয় ও ক্ষুদ্র জ্ঞান করার মতো অপকর্ম আর নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৭৭৫৬) কারও নাম ব্যঙ্গ করা মারাত্মক গুনাহের কাজ। এটি ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ।
লেখক: সিনিয়র স্টাফ নার্স, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল