আসর হলো সালাতুল উসতা (মধ্যবর্তী নামাজ)—যা সময়মতো বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা নামাজসমূহ, বিশেষ করে সালাতে উসতার (আসরের নামাজ) হেফাজত করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৩৮)
বুরাইদাহ ইবনে হাসিব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে আসরের নামাজ ছেড়ে দিল তার আমল নষ্ট হলো।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৫৩)
আসরের ফরজ নামাজ চার রাকাত। চার রাকাত সুন্নতও রয়েছে; তবে এ সুন্নত আদায়ে শরিয়তে বাধ্যবাধকতা নেই। মুসাফির অবস্থায় আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়তে হবে।
আল্লাহতায়ালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে এর জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। জোহরের সময় শেষ হলেই আসরের সময় শুরু হয়। কোনো বস্তুর ছায়া সমপরিমাণ/দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আসরের নামাজের সময় শুরু হয়। সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত আসরের নামাজের সময় থাকে। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) এমন সময় আসর নামাজ আদায় করেছিলেন যে সূর্যরশ্মি তখনো তাঁর ঘরের মধ্যে ছিল, ছায়া তখনো তাঁর ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েনি।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘সূর্য যখন হলুদ রং হয় এবং শয়তানের দু’শিংয়ের মাঝখানে এসে যায়; তখন মুনাফিকরা নামাজ পড়ে।’
কোরআন ও হাদিসে আসরের প্রতি বেশ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যথা সময়ে যথাসম্ভব জামাতের সঙ্গে আসর নামাজ আদায় করতে হবে। কোনোভাবেই জামাত ছাড়া যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির আসর নামাজ ছুটে গেল, (তার অবস্থা এমন) যেন তার পরিবার-পরিজন ও ধন সম্পদ সবকিছু লুণ্ঠিত হলো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৬৮৫)
লেখক: আলেম ও গবেষক