নামাজে তাকবিরে তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধার পর সানা পড়তে হয়। একাকী বা জামাতের নামাজে সবার জন্যই সানা পড়া সুন্নত। এটি পুরা নামাজে একবারই পড়তে হয়, একাধিকবার পড়ার নিয়ম নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একাধিক হাদিস থেকে এ সময় বিভিন্ন দোয়া পাঠের বর্ণনা পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে এ সানাটি পড়তেন বলে বর্ণনায় এসেছে—
سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَ بِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَالِىْ جَدُّكَ وَ لَا اِلَهَ غَيْرُكَ
বাংলা উচ্চারণ: সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি এবং তোমারই শোকর আদায় করি। তোমার নাম বড়ই বরকতপূর্ণ। তোমার মর্যাদা সর্বোচ্চ। তুমি ছাড়া কোনো সত্যিকারের উপাসক নেই। (তিরমিজি, হাদিস: ২৪২; আবু দাউদ, হাদিস: ৭৭৫)
আরও পড়ুন: নামাজে চোখের দৃষ্টি কোথায় রাখবেন?
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে দাঁড়িয়ে তাকবিরে তাহরিমার পর কিরাত পাঠ শুরু করার আগে অল্প সময় চুপ থাকতেন। একবার আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমার পিতা-মাতা আপনার ওপর কোরবান হোক। আপনি নামাজে তাকবিরে তাহরিমার পর কিরাত শুরু করার আগে সামান্যক্ষণ চুপ থাকেন। এ সময় আপনি কী পাঠ করেন? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি এ সময় বলি—
اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বায়িদ বাইনি ওয়া বাইনা খতাই। কামা বায়াদতা বাইনাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিবি। আল্লাহুম্মা নাক্কিনি মিনাল খাতায়া কামা ইউনাক্কিস সাউবুল আব ইয়াজু মিনাদ দানাসি। আল্লাহুম্মাগ সিলনি মিন খাতায়া বিলমায়ি ওয়া সালজি ওয়াল বারাদি।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি আমার ও আমার পাপের মাঝে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন, যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ, আমাকে পাপ থেকে এমনভাবে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করুন, যেভাবে সাদা ধবধবে কাপড়কে নোংরা থেকে পরিচ্ছন্ন করা হয়। হে আল্লাহ, আমার পাপরাশিকে পানি, বরফ ও শিলা দিয়ে ধৌত করে দিন।’ (বুখারি, ১/২৫৯; মুসলিম, ১/৪১৯)
লেখক: আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক