ইসলামি বইমেলায় তারকা আলেম লেখকদের গল্প শুনে মুগ্ধ হয়েছেন শ্রোতারা। নবীনরা পেয়েছেন লেখক হওয়ার অনুপ্রেরণা ও পাথেয়। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল এক অন্যরকম ভালোলাগা ও নান্দনিকতার ছোঁয়া।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের আয়োজনে বায়তুল মোকাররমের পূর্ব চত্বরে ইসলামি বইমেলার মূল মঞ্চে এ মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়। ‘লেখক হওয়ার গল্প শুনি’ ছিল অনুষ্ঠানের মূল বিষয়। এতে দেশের বিশিষ্ট আলেম লেখকরা তাদের লেখক হওয়ার গল্প বলেছেন।
লেখকদের গল্পে উঠে এসেছে কেন তারা লেখক হলেন, কীভাবে হলেন, কাদের লেখা পড়েছেন, লেখালেখির কৌশল কী ইত্যাদি। শ্রোতারা বেশ প্রেরণা ও খোরাক পেলেন তাদের কথায়। শ্রোতাদের কেউ কেউ প্রশ্নও করলেন। লেখকরা সাধুবাদ জানিয়ে চমৎকার করে উত্তর দিলেন। প্রাণবন্ত এক আড্ডায় রূপ নিয়েছিল সে আয়োজন। যেন লেখকদের সাহিত্যসভা চলছে।
বিকেল ৪টার আগেই মূল মঞ্চে দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ে। বেলা গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীর কলকাকলি বাড়তে থাকে। তাদের চোখে-মুখে নতুন কিছু জানবার আগ্রহ। পাথেয় সংগ্রহের তৃষ্ণা। অনেকের হাতে বই। কারও হাতে খাতা-কলম। অতিথিরাও যথাসময়ে শুনিয়ে গেলেন জীবনের গল্প। তন্ময় হয়ে শুনলেন অনেকে। কেউ নোট করলেন পছন্দের কথা। মনে গাঁথলেন ভালো লাগার অমৃত বাণী। কেউ কেউ প্রশ্নও ছুঁড়লেন লেখককে।
ফোরামের সভাপতি মুনীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিন ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লেখক হওয়ার গল্প শোনান বিশিষ্ট লেখক ও মুহাদ্দিস মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, মাসিক আদর্শ নারীর সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান শামসাবাদী, মাসিক মদিনার সম্পাদক আহমদ বদরুদ্দীন খান, লেখক ও শিক্ষক জুবাইর আহমদ আশরাফ, ঢাকামেইলের বার্তা সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, লেখক ও সাংবাদিক মাসউদুল কাদির, লেখক ও শিক্ষাবিদ মাওলানা মুসলেহুদ্দীন গহরপুরী, লেখক ও আলোচক হাবিবুর রহমান মিছবাহ, লেখক ও শিক্ষক আমীর ইবনে আহমদ, লেখক ও প্রকাশক মাহমুদুল ইসলাম, লেখক ও প্রকাশক মুফতি আমিমুল এহসান, লেখক আব্দুল মুমিন প্রমুখ। এ ছাড়া ইসলামি লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
গল্প শোনার ফাঁকে ফাঁকে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়। উপস্থিত সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগতাও হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয় চমৎকার চমৎকার গ্রন্থ।
লেখক ফোরামের এ আয়োজনটি যেন শেষ হতে চাইছিল না। সময় ফুরিয়ে যায়, গল্প ফুরোয় না। কিন্তু রাত গভীর হওয়ার আগেই যে ভাঙতে হবে গল্পের আসর। পথ ধরতে হয় গন্তব্যের। এক সময় মজমা ভাঙলেও শ্রোতাদের মন পড়ে থাকে লেখকদের গল্পে। এ গল্পের ফিতা দীর্ঘ হলে বেশ হয়। কুড়ানো যাবে আরও মণিমুক্তা, জীবন চলার পাথেয়। মুগ্ধতার আবহ ছড়িয়ে থাকে লেখক ও শ্রোতাদের দেহ ও প্রাণে। মুগ্ধতা ও পাথেয় নিয়ে ফিরেন তারা।
রায়হান/সালমান/