নামাজে দাঁড়িয়ে কিরাত পাঠ শেষ করার পর সঙ্গে সঙ্গে রুকুতে না গিয়ে সামান্য বিরতি নিয়ে রুকু করতে হবে। সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে (নামাজে) দুটি বিরতির জায়গা মুখস্থ করেছি। আর ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) বলেন, আমি (নামাজে) একটি বিরতির জায়গা মুখস্থ করেছি। সামুরা (রা.) বলেন, আমরা এর মীমাংসার জন্য মদিনায় উবাই ইবনে কাব (রা.)-এর কাছে চিঠি লিখলাম। তিনি উত্তরে জানালেন, সামুরা (রা.) সঠিক মুখস্থ রেখেছ। সাইদ (রহ.) বলেন, আমরা কাতাদাকে (রা.) জিজ্ঞাসা করলাম, (নামাজে) বিরতি দুটি কোন কোন জায়গায়? তিনি বললেন, যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে প্রবেশ করতেন মানে তাকবিরে তাহরিমা বলার পর এবং যখন তিনি কিরাত শেষ করতেন মানে রুকুতে যাওয়ার আগে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৫১)
জামাতের নামাজে ইমাম তাকবির বলে পুরোপুরি রুকুতে যাওয়ার পর মুক্তাদিদের রুকু করতে হবে। ইমামের আগে, বহু পরে ও সমানতালে কোনো রুকন আদায় করা যাবে না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি কি ভয় পাচ্ছে না, যে ইমামের আগেই রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে নেয়, আল্লাহতায়ালা তার মাথাকে গাধার মাথায় রূপান্তরিত করবেন বা তার গঠনকে গাধার গঠনে পরিণত করবেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৯১)
আরও পড়ুন: স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে কোরআন তেলাওয়াত করতে হয়
আবু মুসা আশআরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ইমাম তোমাদের আগেই রুকু করবেন এবং তোমাদের আগেই রুকু থেকে মাথা উঠাবেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৪০৪)
ইমামের আগে কখনো কোনো রুকন আদায় করা যাবে না। ইমাম রুকু করার পর রুকু, সিজদা করার পর সিজদা, ওঠা-বসার পর ওঠা-বসা ও সালাম আদায়ের পর মুক্তাদি সালাম আদায় করবে। আনাস (সা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আমার আগে রুকু, সিজদা, ওঠা-বসা ও সালাম আদায় করো না।’ (মুসলিম, হাদিস: ৪২৬)
লেখক: আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক