ইমাম রুকু থেকে ওঠার সময় ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা’ বলবে এরপর বলবে ‘রব্বানা লাকাল হামদ’। আর মুক্তাদি শুধু ‘রব্বানা লাকাল হামদ’ বলবে। একাকী নামাজি ব্যক্তি উভয়টি বলবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা’ বলে রুকু থেকে উঠতেন। এরপর ‘আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ বলতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৭৯৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা’ বলবে, তখন তোমরা বলবে ‘আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল’ হামদ। কারণ তোমাদের যার এ বলা ফেরেশতাদের বলার সঙ্গে মিলে যাবে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭৯৬)
আরও পড়ুন: রুকুতে কতবার তাসবিহ পাঠ করতে হবে?
রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে মোট চারভাবে ‘রব্বানা লাকাল হামদ’ বাক্যটি পাঠ করার বর্ণনা পাওয়া যায়—
- রব্বানা লাকাল হামদ।
- রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ।
- আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ।
- আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ।
রিফা ইবনে রাফি (রা.) বলেন, ‘একবার আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পেছনে নামাজ আদায় করলাম। তিনি যখন রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা’ পড়লেন, তখন পেছন থেকে এক সাহাবি পড়লেন, ‘রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ হামদান কাসিরান তাইয়িবান মুবারাকান ফি’। নামাজ শেষে রাসুলুল্লাহ (সা.) জানতে চাইলেন, কে এমনটা পাঠ করেছে? সে সাহাবি বলল, আমি হে আল্লাহর রাসুল, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি দেখলাম ৩০ জনের অধিক ফেরেশতা এ আমলের সওয়াব লেখার জন্য নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছে।’ (বুখারি, হাদিস: ৭৯৯)
লেখক: আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক