
আয়াতুল কুরসি কোরআনের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আয়াত। এটি মুমিনদের কাছে এক বিশেষ দোয়া ও নিরাপত্তার প্রতীক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি বস্তুরই শীর্ষদেশ রয়েছে। কোরআনের শীর্ষস্থানীয় সুরা হলো সুরা বাকারা। এতে এমন একটি আয়াত রয়েছে যেটি কোরআনের আয়াতগুলোর মধ্যে প্রধান। সেটি আয়াতুল কুরসি।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৮৭৮)
মুমিন-মুসলমানদের উচিত, এই আয়াত বেশি বেশি পাঠ করা। সকাল-সন্ধ্যার আমলে এই আয়াত গুরুত্বের সঙ্গে তেলাওয়াত করা।
আয়াতুল কুরসি—
اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম। লা তা খুজুহু সিনাতুও ওয়ালা নাওম। লাহু মা ফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান জাল্লাজি ইয়াশ ফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইজনিহি। ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়া মা খলফাহুম। ওয়া লা ইউ হিতুনা বি শাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা আ, ওয়া সিয়া কুরসি ইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়া উ দুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলি ইয়ুল আজিম।
আয়াতুল কুরসির বাংলা অর্থ
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
আরও পড়ুন: ইসতেখারার দোয়া
মুখস্থ করার সহজ উপায়
আয়াতুল কুরসি আয়াতটি একটু বড়। তাই একবারে মুখস্থ না করে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে মুখস্থ করা যায়। মুখস্থ করার মূল চাবিকাঠি হলো, নিয়মিত অনুশীলন, অর্থ বোঝা ও বারবার পুনরাবৃত্তি করা। ভালো কারির কাছে গিয়ে অথবা ইউটিউবের সহায়তা নিয়েও দ্রুত মুখস্থ করা যায়।
আল্লাহর কালাম মুখস্থ করা ইবাদত। কোরআন তার হাফেজদের আত্মাকে প্রশান্তি দেয় এবং রক্ষা করে। কোরআন মুখস্থ করা থেকে দূরে থাকা ব্যক্তিরা সামগ্রিক কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যার মধ্যে কোরআনের কোনো অংশ নেই, সে একটি বিরান ঘরের মতো।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯১৩)
লেখক: আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক