
পাঁচ বছর আগে পৃথিবীর মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছিল করোনাভাইরাস। গেল বছরের আগস্টের দিকে এমপক্স ভাইরাস কাঁদিয়েছিল পৃথিবীর অনেক মানুষকে। চলতি বছরের শুরুতেই চীনে দেখা দিয়েছে নতুন এক ভাইরাস। নাম হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি। এতে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বে অনেক বড় সংকট তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে জাপান, মালয়েশিয়া ও ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। বাংলাদেশেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব ধরনের ভাইরাস থেকে বাঁচতে আল্লাহর সাহায্যের বিকল্প নেই। তিনিই মানুষকে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি দেন।
যাবতীয় ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া শিখিয়েছেন। সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি বেশি বেশি পড়তে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবে—
বাংলা উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লা- হিল্লাজি লা ইয়াদুররু মা আসমিহি শাইউন ফিল আরজি, ওয়া লা ফিস সামায়ি, ওয়া হুয়াস সামি উল আলিম’। সকাল হওয়া পর্যন্ত তার প্রতি আকস্মিক কোনো বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর আচমকা কোনো বিপদ আসবে না।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৮৮)
এইচএমপিভিসহ যাবতীয় রোগ থেকে বাঁচার জন্য নিচের দোয়াটি বেশি বেশি পড়া যেতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) মহামারি ও রোগের প্রকোপ দেখা দিলে এ দোয়া পড়তেন—
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুজামি, ওয়া মিন সাইয়িইল আসকাম।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, আমি শ্বেত রোগ থেকে, পাগলামি থেকে, খুজলি-পাচড়া থেকে এবং দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তোমার কাছে আশ্রয় পার্থনা করছি। (নাসায়ি, হাদিস : ৫৫০৮)
আরও পড়ুন: কানটুপি পরে সিজদা দিলে নামাজ হবে?
মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, বিপদাপদ ও বিপর্যয় আসবেই। সে সময় ভেঙে পড়া যাবে না। ধৈর্য ধরতে হবে। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। দোয়া পড়তে হবে। বিপদাপদ বা মহামারির সময় কোরআনে বর্ণিত এ দোয়াটি পড়া যেতে পারে—
বাংলা উচ্চারণ: আন্নি মাছছা নিয়াজ জুররু ওয়া আনতা আরহামুর রহিমিন।
বাংলা অর্থ: আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সব কাজে সব সময় আল্লাহর সাহায্য চাইতেন। দোয়া করতেন। নতুন সৃষ্ট রোগ থেকে বাঁচতে তিনি পড়তেন—
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাকি, ওয়াল আমালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।’
বালা অর্থ: হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি তোমার কাছে খারাপ (নষ্ট-বাজে) চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং বাজে অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগবালাই থেকে আশ্রয় চাই।’ (তিরমিজি)
লেখক: আলেম ও সাংবাদিক